প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
বাঁশবনে গুই সাপের হাঁ-করা মুখ দেখে অকস্মাৎ
যারা দেয় আপ্রাণ দৌড়
আমি তাদের শঙ্কাচ্ছন্নতায় মুচকি হাসি। সন্ধ্যার অশ্বত্থ শাঁখে
নাকী সুর শুনে জুতো খুলে ছুঁড়েছিলাম ঢিল
শাঁখচুন্নিদের- সেই সুবাদে খোয়া গেছে
বাঁ পায়ের একপাটি নাগড়া চটি। যাক, দুঃখ নেই তাতে।
একটা সময় ছিল-
গোরস্তানের মাঠে ঝুঁকে থাকা তাল গাছটায়
পারিনি চড়তে কিছুতেই
অথচ এখন তরতর উঠে যাই
দেবদারুর চূড়ায় তোয়াক্কা না করে বিষ পিঁপড়ের কামড়। সময়
মানুষকে করতে শেখায় সব।
আকাশে উড়ছে শকুন
বাতাস দ্বিখণ্ডকর চিৎকারে। ওরা মৃত্যু ভালবাসে
এবং চায় ভেজাতে চঞ্চু জীবন্তের রক্তে। আমাদের চৌদিকে
গাঢ় আগুনের আঁচ, বরফে মশাল
জ্বলছে ভীষণ দাউ দাউ।
আমার কণ্ঠে তাই বজ্রপাতের মতো
তুমুল হুংকার, হাতের পতাকা যেন জ্বলে ওঠা বাতিস্তম্ভ।
আমাদের মুমূর্ষু মানুষগুলো
জলে ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ আঁকড়ে ধরে তৃণ উঠে বসবেই
একদিন, আর আমি বলে রাখি- ইট চাপা হলুদ ঘাসেরা
ইট ঠেলে নিশ্চিত মাথা তুলবেই আকাশে।