প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
সুপ্রিয়,
সাহিত্য জগতে শিল্প সৌন্দর্যে সৃষ্ট একটি অঙ্গন তুমি ‘পাঠক ফোরাম’। তোমাতে যেমনি রয়েছে সাহিতপ্রেমীদের বাস্তব আর কল্পনার আলিঙ্গনে সৃষ্ট অনুভূতি, তেমনি রয়েছে তা অনুভব করার অসংখ্য পাঠক। এক হাজার একতম সংখ্যা প্রকাশে, তোমার সুদীর্ঘ পথচলায় সঙ্গী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি আমার ভীষণ ঝোঁক ছিল। কিন্তু লেখাগুলো কীভাবে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দেবো সেটা আমার জানা ছিলো না। ২০০৪ সালে আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়েছে ‘বনলতা’ নামের অনিয়মিত একটি ম্যাগাজিনে। ‘চাঁদপুর কণ্ঠে’ লেখার প্রত্যাশা সবসময়ই থাকতো। ২০০৬ সালে প্রথম লিখেছিলাম চাঁদপুর কণ্ঠে। আজও মনে পড়ে সেদিনের কথা, হেঁটে গিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের অফিসে জমা করেছিলাম আমার লেখা একটি গল্প। এরপর থেকে আমার চেনা পরিবেশটি পরিবর্তনের কারণে লিখলেও প্রকাশের জন্য কোথাও জমা করতে পারিনি। কিন্তু আমি প্রতিটি সাহিত্যপাতা সংগ্রহে রেখেছি। আমার মন খারাপের দিনে একমাত্র তুমিই আমার সঙ্গী ছিলে। আজও মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে সংগৃহীত সংখ্যাগুলো আমি পড়ি। সাহিত্য রসে সিক্ত করি হৃদয়। আমি শুধু পড়িই না, এখন নিয়মিত তোমাতে লেখার চেষ্টা করি। শুধু আমার ক্ষেত্রেই না, প্রতিটি মানুষের জীবনেই কখনো না কখনো নিঃসঙ্গতা এসে ভর করে, তাদের জীবনের একমাত্র নিঃস্বার্থ সঙ্গী হতে পারে সাহিত্য পাঠ। আর সেটা যদি হয় ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ পত্রিকার ‘পাঠক ফোরাম’ সংখ্যা তাহলে তো মন ভালো করার টনিকের গুণাগুণের কথা বাড়িয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। শ্রদ্ধা জানাই চাঁদপুর কণ্ঠের এএইচএম আহসান উল্লাহ ভাইয়ের প্রতি, যিনি ২০০৬ সাল থেকে লেখালেখির জন্য আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন (চাঁদপুর প্রবাহে লেখাকালীন সময়ে)। চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে জড়িত প্রত্যেক সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং পাঠক ফোরাম সৃষ্টিকারী সকলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। পাঠক ফোরামের পালক বিভাগীয় সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদ হাসানের প্রতি রইলো অসংখ্য কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। তিনি যথেষ্ট বিচক্ষণতার সাথে লেখকদের লেখাগুলো সম্পাদনা করছেন, পাঠকদের মনোরঞ্জন করার লক্ষ্যে।
তোমাতেই সৃষ্টি হোক নতুন নতুন সাহিত্যকর্ম। মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ হোক লেখনীর মাধ্যমে। আত্মা শুদ্ধ হোক পাঠকদের পড়ার আনন্দে। এভাবেই হাজার হাজার সংখ্যা সৃষ্টি করে যুগ যুগ ধরে পথ চলুক পাঠক ফোরাম। শুভ কামনা।