মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ভাষাকন্যা কাজী খালেদা খাতুন
অনলাইন ডেস্ক

নাম: কাজী খালেদা খাতুন-(ডা.)

জন্ম: ৭ আগস্ট ১৯৩৯, বরিশাল,

মা: হাকিমুন্নেসা খাতুন,

বাবা: কাজী মাজহার উদ্দিন আহমদ,

মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ঢাকায়,

মোট জনসংখ্যার ৫৬.৪০% লোকের মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে মাত্র ৩.৩৩% লোকের উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব কোন ভাবেই মানতে পারেনা বীর বাঙালীরা। তাইতো নিজের মাতৃভাষার লড়াইয়ে রাজপথে নামে নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, মুসলিম-অমুসলিন, ছাত্র জনতা সহ সকল শ্রেনীর মানুষ। আন্দোলনে মেয়েদের অংশগ্রহণ কখনই মূল ধারার বাইরে ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা প্রধান হলেও পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিনিয়ারদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে, আন্দোলনকে করেছে উজ্জীবিত। তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে মেয়েদের এই অংশগ্রহণও স্বীকৃতির দাবিদার। কিন্তু ৭০/৭১ বছর পরও ভাষাকন্যাদের তালিকায় রয়ে গেছে অনেক ফারাক।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টা ও বাংলাদেশ হেরিটেজ মিউজিয়াম এর সভাপতি এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কানাডা ইউনিট কমান্ডের নির্বাহী সদস্য দেলোয়ার জাহিদ বলেন,

"ভাষা সংগ্রামে নারীদেরও অগ্রণী ভূমিকা ছিল কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ ভুমিকা আজো অস্বীকৃতই রয়ে গেছে। নারী ভাষা সংগ্রামীদের নাম উচ্চারিতই হয় না বললেই চলে। ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এখনি আমাদের উদ্যোগী হতে হবে নতুবা ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষা রক্ষার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন সালাম, জব্বার, রফিক, শফিকসহ অনেকেই। ভাষা আন্দোলনে মেয়েদের দৃশ্যমান ভূমিকাগুলোকে বিগত ৬৪ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বা একে চরম অবহেলা বা অগ্রাহ্য করা হয়েছে।"(আমি ২০২২ সালে এই লেখা লিখছি আর দেলোয়ার জাহিদ আগে লিখেছেন বলেই এখানে ৬৪ বছর উল্লেখ করা)।

স্কুল বলতেই চোখে ভাসে কিশোর কিশোরীদের ছবি। কাজী খালেদা খাতুন আমাদের একজন কিশোরী ভাষা সৈনিক। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী থাকা কালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন (১৯৫২ সালে বয়স ১৩ বছর)। ১৯৩৯ সালের ৭ই আগস্ট বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির সম্ভ্রান্ত কাজী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাকন্যা খালেদা খাতুন। পিতা কাজী মাজহার উদ্দিন আহমদ এবং মাতার নাম হাকিমুন্নেসা খাতুন। খালেদা খাতুনের বড় ভাই কাজী সামসুল হক ও ছিলেন একজন ভাষাকর্মী।

কাজী খালেদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকার কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রভাষক হিসাবে। পরবর্তীতে কিউরটের পদমর্যাদায় উন্নীত হন। ১৯৭৮ সালে ইরাক

সরকারের অধীনে ইরাকে সাড়ে চার বৎসর কাজ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ঢাকাতে ফিরে এসে পুণরায় আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগ দেন। এর মাঝে কিছুদিন গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কাজ করেন। এরপর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটেও কাজ করেন তিনি। ১৯৯৮ সালে হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে অবসরে যান। সবশেষে কিছুদিন এসজিএম চৌধুরী মেমোরিয়াল হাইপারটেনশন সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।

ভাষা আন্দোলনে কেন্দ্রবিন্দু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আর অধিকাংশ সভা সমাবেশ ও ছিল এই এলাকায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ছিল কিছুটা সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডাকে সাড়া দেয় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদের মতো তখনকার স্বনামধন্য কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই ছাত্রীদের মধ্যে সকলের আগে ছিলেন কাজী খালেদা খাতুন। গাজীউল হক, আবদুল ওয়াদুদ, আফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চুসহ অন্যান্য ভাষা সৈনিকেরা সেই সময়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সমাজের সর্বস্তরের সকল মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী ভাষাকন্যা রওশন আরা বাচ্চুর প্রভাবে খালেদা খাতুন সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ভাষা আন্দোলনের উত্তপ্ত সময়ে কিশোরী খালেদা খাতুন রাজধানীর কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তিনি সে সময় মিছিল, সমাবেশ ও অবরোধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অফ বেঙ্গল স্টাডিস এর সহযোগী সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক আফরোজা খাতুন 'ভাষা আন্দোলনে মেয়েরা' শিরোনামের লেখায় লিখেন,

"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা-সৈনিক সুফিয়া আহমেদ অবশ্য বাড়ি থেকেই আসতেন।আন্দোলনের অগ্রণী ভূমিকায় থেকে তিনি একেক দিন ঢাকার একেক এলাকায় চাঁদা তুলে নিয়ে আসতেন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপস্থাপনায় কাজী খালেদা খাতুন, জুলেখা হক বা রওশন আহমেদ দোলনের মত অনেক স্কুল পড়ুয়া ২১-এর ভাষা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণের সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের গেটে উপস্থিত হয়ে স্কুলে না ঢুকে তাঁরা সভায় চলে আসেন। বাড়ি ফেরার পথ তাঁরা ঠিকমত চিনতেন না। মিছিল ছত্রভঙ্গ হলে, বহুকষ্টে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ঐ ছাত্রীরা পথ খুঁজে বাড়ি ফেরেন। যুদ্ধের ভূমিকে মজবুত করতে এই যে মেয়েরা সক্রিয় ছিলেন, মূলস্রোতে তাঁরা জায়গা না পেলে হয়তো বা ইতিহাস খনন করে তাঁদের জন্য আগামীতে আলাদা ইতিহাস রচিত হবে।"

১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ঘোষণা অন্যুায়ী প্রতিবাদস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের স্কুল কলেজে ধর্মঘট পালন করা হয়। আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি 'পতাকা দিবস' পালন করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. শামসুল হক কোরেশী সমগ্র ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে এক নির্দেশ প্রদান করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে কিনা সে বিষয়ে আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে আলোচনা হয় ৯৪ নবাবপুর রোডস্থ আওয়ামী মুসলিম লীগ অফিসে। আলোচনায় ১১-৩ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয় এবং সভায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তৃতার পর গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে সভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ছাত্রদের দু'তিনটি দল বাইরে বের হয়ে যাওয়ার পর পরই বের হয় ছাত্রীদের দল। কামরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একটি মিছিল বের হয় ভাষা আন্দোলনের পক্ষে। সেই মিছিলে সপ্তম শ্রেনীর রওশন আহমদ দোলন, অষ্টম শ্রেনীর খালেদা খাতুন সহ আরো কয়েকজন। ওদের মিছিলকে উৎসাহ দিয়েছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা আর আশেপাশের সাধারণ আমজনতা। এ সময় পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন কাজী খালেদা খাতুন। পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

ভাষাকন্যা কাজী খালেদা খাতুনকে নিয়ে আরেক ভাষাকন্যা রওশন আহমেদ দোলন স্মৃতিচারণ করে বলেন, "কামরুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী কাজী খালেদা খাতুন ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি মিছিল সমাবেশ ও পিকেটিংয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেয়া লিফলেট কামরুন্নেসা স্কুলে বিতরণ করা হয়েছিল। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার সমাবেশে অংশ নেন এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন। তিনি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী দলের সাথে যুক্ত হন এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বের হয়ে আসেন। এরপর তিনি অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে রশিদ বিল্ডিংয়ের পাশে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাস তাদের দিকে এসে পড়ে এবং তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। পুলিশ ধাওয়া করলে তিনি আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হলেও তার অনেক সহযোগীই পুলিশের লাঠির আঘাতের শিকার হন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বাকি দিনগুলোতেও তিনি কামরুন্নেছা স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে রাষ্ট্রভাষার দাবির পক্ষে মিছিল করেছেন সোচ্চার কণ্ঠে।"--(তথ্যসূত্র: ইতিহাস সম্মিলনী ৯ প্রবন্ধ সংগ্রহ, পৃ. ২৫৬-২৫৭)

১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ। যা বর্তমানে 'শহীদ মিনার' নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্মিত হয় প্রথম শহীদ মিনারটি। বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে শহীদদের রক্তভেজা স্থানে সাড়ে ১০ ফুট উঁচু এবং ৬ ফুট চওড়া ভিত্তির ওপর ছোট স্থাপত্যটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর গায়ে 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ' লেখা একটি ফলক লাগিয়ে দেওয়া হয়। নির্মাণের পরপরই এটি শহরবাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। ওই দিনই বিকেলে পুলিশ হোস্টেল ঘেরাও করে এটি ভেঙ্গে ফেলে।

প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারটি এভাবে ভেঙ্গে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয় ছাত্র সমাজ। অনুরূপ ভাবে ছোট ছোট করে শহীদ মিনার গড়ে তোলে শিক্ষাঙ্গনগুলিতে। ১৯৫৩ সাল থেকেই একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটিকে 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালন করতে থাকে। জানামতে দেশের শিক্ষাঙ্গনের মাঝে প্রথম শহীদ মিনার হয় কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রঙ্গণে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে তারা এই শহীদ মিনারটি তৈরি করেন। কাজী খালেদা খাতুন এবং অন্যান্য ভাষাকন্যারা মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রথমবারের মত শহীদ মিনার তৈরি করেন, এখানেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন ভাষাকন্যা খালেদা খাতুন।

কাজী খালেদা খাতুন এর বড় ভাই কাজী সামসুল হক একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। তিন কন্যা সন্তানের জননী ভাষাকন্যা কাজী খালেদা খাতুন ৭২ বছর বয়সে ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়