মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

রোদে পোড়া পালিশ
অনলাইন ডেস্ক

(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ॥ আট.

পুলিশের কথা মতো বিকেলে নিপু থানায় হাজির হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, শুভ কোথায়? ওকেও আসতে বলেছি।

- শুভকে আসতে বলেছেন আমিতো জানি না। সে গতকাল ঢাকা চলে গেছে। আইইএলটিএস কোর্স করবে। তাই মামার কাছে চলে গেছে। তাছাড়া শুভকে আসতে বলা হয়েছে তাতো আমি জানি না।

- কেন আমিতো তার মায়ের কাছে ফোন করে বলেছি তাকে যেন নিয়ে আসে। তার সাথেও কিছু কথা আছে।

- আমিতো জানি না। সে গতকাল আমার সাথে দেখা করে ঢাকা চলে গেছে। আমিতো ভেবেছি শুধু আমাকেই আসতে বলা হয়েছে।

সাথে সাথে শুভর মাকে ফোন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। ওপর প্রান্ত থেকে কল রিসিভ করে শুভর মা।

- আপনাকে বলেছি, শুভকে নিয়ে আজ বিকেলে থানায় নিয়ে আসতে। শুনেছি শুভ নাকি ঢাকায় চলে গেছে?

- জ্বি। ওরতো ক্লাস শুরু হবে তাই গতকালই চলে গেছে। আমি ভুলে গেছি আপনি যে থানায় যেতে বলেছেন।

- আপনি ওকে আগামী দুই দিনের মধ্যে আসতে বলুন। না হয় আমরা ঢাকায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসবো।

- কেন? আমার ছেলের অপরাধ কী?

- আপনাকে বলেছি তার সাথে ওসি স্যার কথা বলবে। আপনিতো বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলেন না।

- ওসির সাথেতো শুভ ঘটনার দিনেই কথা বলেছে। আর কী কথা বলবে?

- তারপরেও তার সাথে কিছু কথা ছিলো। যাহোক আপনার ছেলেকে থানায় আনার ব্যবস্থা করুন বলে লাইন কেটে দেয় মেহেদী।

থানায় অনেক ভিড়। আজ সকালে নলুয়া গ্রামে একটি ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওটিও হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধু¤্রজাল। এ নিয়ে থানায় চলছে হট্টগোল।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী নিপুর কাছে এসে বলেন, অন্য একটা ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের পর তোমার সাথে ওসি স্যার কথা বলবে। তুমি থাকো।

- জি¦ আচ্ছা।

পুলিশের এমন নির্দেশে বিচলিত হয় শুভর মা রাহেলা বেগম। তিনি দ্রুত কল করেন শুভর বাবার কাছে। শুভর বাবাই বা কী বলবে বুঝতে পারছে না। তবে এ ঝামেলায় কেন শুভকে জড়াবে বিষয়টি এখন ভাবনার। তারপরেও ছেলে যেহেতু কোনো অপরাধ করেনি তবে ওকে খবর দিয়ে নিয়ে এসো বলে শুভর বাবা। পুলিশের কাছে কয়েকদিনের সময় নিয়ে নিতে হবে। তারপর দেখা যাবে বিষয়টি কিছুটা শান্ত হবে। কিছু সময় কিল হোক। তখন পুলিশ অন্য কোনো ঘটনা পেলে সেখানে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এমন কতো ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। আমরা কতো ঘটনার খবর রাখি। পুলিশ সব ঘটনার খবর রাখে না। না হয় দেশে এতো এতো ঘটনা সব ঘটনারই বিচার হতো। আইনের বিচার প্রতিষ্ঠা পেতো। অবশ্য পুলিশও তো আর একটা ঘটনা নিয়ে বসে থাকবে না। প্রতিদিনই অনেক ঘটনা ঘটে। এর চেয়ে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটলে দেখা যাবে পেছনের ঘটনা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। প্রবাসে বাংলাদেশের মানুষের সন্ধ্যার পর খবর দেখে। টিভি অনলাইনের মাধ্যমে দেশের খোঁজখবর রাখে। দেশের অনেক ঘটনা নিয়েই সমালোচনা-আলোচনা করেন তারা। যদিও এসব আলোচনা-সমালোচনা দেশের গ-িতে এসে পৌঁছায় না। এভাবে নানা বিষয়ে কথা বলে শুভর মা ফোন রাখে। ঘরোয়া কাজ গুছাতে মনোযোগী হয় রাহেলা বেগম। এখন এ বিষয় নিয়ে চিন্তার সময় নাই। পরেরটা পরে ভাবা যাবে। তারপরেও মাথা ভার যেনে বাড়তে থাকে। (চলবে)

[পরের পর্ব আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়