সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

প্রতীক্ষা
অনলাইন ডেস্ক

ঈদ মনেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদকে ঘিরে মুসলমানদের ঘরে ঘরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। এ শব্দটি আলাদা একটি আনন্দ অনুভূতি বহন করে। অন্য শব্দে বোধহয় এমন আনন্দ অনুভূতি পাওয়া যায় না। এদিন মুসলমানরা বর্ণ-বিভেধ ভুলে উঁচু নিচু শ্রেণি বিবেধ ভুলে সকলে এক হয়ে যায়। ‘আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে’ এটাই ঈদ আমাদের শিক্ষা দেয়। বছরের ৩৬৫ দিনের দুঃখ কষ্ট লাঘব করে দেয় বছরে দুটি ঈদ। একটি হলো ‘ঈদুল ফিতর’ আরেকটি হলো ‘ঈদুল আযহা’। ঈদুল আযহা থেকে ঈদুল ফিতরে আলাদা অন্যরকম আনন্দ। সারাবছরের আনন্দণ্ডঅনুভূতি সবটুকুই যেনো ঈদের দিনে ফুটে উঠে।

ঝগড়া, বিভেদ, বিরোধ ভুলে সকলেই এক কাতার হয়ে আনন্দ উদ্‌যাপন করে। ঈদ আমাদের মধ্যে গড়ে তোলে সাম্য ও ভাতৃত্ববোধ। এটি দ্বারা দূর হয়ে যায় শ্রেণি-বৈষম্যের হার। আমাদেরকে শিক্ষা দেয় ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উত্তম পন্থা। এটি চালু করে সাম্য সমুদয়। এ ঈদ বহন করে ইহকালীন ও পরোকালীন কল্যাণ ও ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় ত্যাগের মহিমা। ঈদ হৃদয়-মনকে সতেজ করে দেয়। ছোট বড়, শিশু-কিশোর যে যার স্থান থেকে ঈদকে এবং ঈদের আনন্দের স্মৃতিগুলোকে হৃদয় গেঁথে নেয়।

সকল মানুষেই তার জীবনের ঈদের দিনকে মনে রাখে। চাই এটা শৈশবের হোক বা কৈশোরের বা বাকি জীবনের। জীবনের সকল ঈদ থেকে শৈশবের ঈদগুলোই আলাদা হয়ে থাকে। যে দিনগুলো বাকি জীবন থেকে আলাদা আনন্দময়। যা ভুলবার মতো না। কারণ শৈশবেই জীবনের আনন্দণ্ডউৎফুল্ল উদ্‌যাপনের বয়স এবং শৈশবের দিনগুলো বহুল স্মৃতি জড়িত ও জীবনের সুন্দরতম একটি সময়।

শৈশবই তো হাস্যোরসময় রঙিন জীবন। সারাক্ষণ খেলাধুলা, না খেয়ে বাহিরে বাহিরে ঘোরা বন্ধুদের সাথে পুকুরে ঝাঁপ মায়ের বকা খাওয়ার বয়সই তো হলো শৈশব। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই তার শৈশবটা কাটে গ্রামে। গ্রাম্যজীবন শহুরে জীবন থেকে আলাদা তো বটেই, সে দীনগুলোতো প্রতিটি সোনায় মোড়ানো দিন। গ্রামে কাটানো শৈশবটা যে কত আনন্দ অনুভূতির মধ্যে দিয়ে কাটানো হয় যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। গ্রামে কাটা দিনগুলো হৃদয়ের দৃশ্যপটে সারা জীবনের জন্যে আঁকিয়ে রাখার মতো। তেমনি তেমনি শৈশবে গ্রামে কাটানো ঈদও কত যে আনন্দ ময়। শৈশবে কাটানো ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত সারা জীবনের জন্যে হৃদয়ের স্মৃতিচারণ হয়ে থাকে। যা ভুলবার মতো না।

ঈদুল ফিতর যা শুরু হয় রমজান শেষে। আর এ ঈদুল ফিতর আমাদের ত্যাগী হওয়ার। না খেয়ে থাকা মানুষগুলোর কষ্ট বোঝার, দুঃখিত মানুষগুলোর কষ্ট লাঘব করার শিক্ষা দেয়। যা আমাদের মধ্যে সাম্যবাদ গড়ে তুলে। গ্রাম্য পরিবেশে শৈশবের ঈদুল ফিতরের যতটুকু বিনোদন ছিলো আর বর্তমানে যা যা মনে আছে, তার কিছু অংশ স্মৃতি আকারে লিখা হয়েছে এ লেখায়।

রোজা : শাবন মাসের শেষ হলে শুরু রমজানের। রমজানে কাটানো দিনগুলো আলাদা আনন্দ অনুভূতি। ইফতার খাওয়া সেহরি খাওয়া যে কি আনন্দের ছিলো ছোটবেলায়। পরিবারের সবাই একসাথে বসে গল্প করে আনন্দের মধ্যে দিয়ে সেহরি ও ইফতার করতো আমিও সেহরি ও ইফতার করতাম। আমার বয়স যখন ৯/১০ বছর। তখন থেকে রোজা রাখতাম। ভোর রাতে মুয়াজ্জিন যখন মাইকে হুইসেল দিতো সেহরি খাওয়ার জন্যে, তখন সবাই উঠতো। আমাকে মা উঠনোর জন্যে যতোই ডাকতো গভীর ঘুমে থাকতাম শুনতাম না কোনো ডাক। যেদিন উঠতাম তাণ্ডও শেষ সময়ের দিকে কোনো মতে খেতাম, না হয় মা খাইয়ে দিতো ওইদিন রোজা রাখতাম। আর যেদিন ডাকলেও জাগ্রত হতাম না, সকালে বলতাম মা আপনি কেনো আমাকে ভোর রাতে সজাগ করেন না, এই বলে করতাম জেদ। মা বলতো তুইতো সজাগ হচ্ছিলি না। উল্লেখ্য, রোজা রাখলেও শুধু বলতাম, মা আজান দেবে কখন। মা তো জেদ করে বলতো, তোকে কি কেউ বলে রোজা রাখতে। রমজানে কিন্তু অন্য মাসের তুলনায় নিয়মিত নামাজ-রোজা ইবাদত করা হতো। চারদিকে সারাদিন মাইক দিয়ে কোরআন পাঠের আওয়াজ শোনা যেতো। দিনের বেলায় সহপাঠীদের সাথে বলতাম কে কয়টা রোজা আমি তো সবগুলো, সবাই আমার মতো একই কথা বলতো। মসজিদে তারাবিহ পড়তে গিয়ে সবাই আগে থেকে যুক্তি করে যেতাম সবাইকে বলতাম আজ তুই লবণ-মরিচ তুই আম আনবি। উল্লেখ্য, প্রতি বছরেই রমজান আমের মৌসুমে হতো। সবাই নামাজের পেছন থেকে চলে আসতাম তার পর আম খেতাম ফাটিয়ে। এর জন্যে যে ঘরে কত বকা শুনতাম। আহা শৈশবের দিনগুলো যে কি মাজার ছিলো। যেনো মন বারবার শৈশবের দিকে ফিরে যেতে চায়।

ঈদের নতুন জামা : ঈদের নতুন জামার আনন্দণ্ডঅনুভূতি বোধহয় শৈশব ছাড়া আন্য বয়সে বোঝা যায় না। সে যে কি আনন্দ যা বলে বুঝবার মতো না।

রমজান আসার পর থেকেই মনের মধ্যে শুধু ঘোরপাক খেতো কবে কিনবো ঈদের নতুন জামা। মাকে শুধু বিরক্ত করতাম কবে ঈদের জামা কিনে দেবেন। আর ঈদের জামা কিনে দিলে তা তো কাউকে ধরতে দিতাম তো দূরের কথা দেখাইতাম না। মনে মনে এ কথার বিশ্বাস ছিলো যে ঈদ চলে যাবে কাউকে দেখালে। তাই লুকিয়ে রাখতাম। কিন্তু এখন যতই নতুন জামা-কাপড় কিনি নেইতো আর সেই শৈশবের আনন্দ।

চাঁদ দেখা : রমজানের শেষ কাল ঈদ হবে আজ সন্ধ্যা যদি চাঁদ দেখে। আপেক্ষা তো চাঁদ দেখার জন্যে আজ যদি চাঁদ না দেখে না হলে রোজা আরেকটা বেশি হবে। রোজা আরেকটা বেশি হবে এটাতো মেনে নেয়া যায় না, কেননা কাল ঈদ হবে এর জন্যে অধীর আগ্রহে বসে আছি। যদি বলে কাল ঈদ হবে না এতো আনন্দের আগুনে পানি ডেলে দেয়ার মতো। মনে মনে তো দোয়া করতাম আল্লাহ যেন কাল ঈদ হয়। যখনই ঘোষনা হতো কাল ঈদ আহা কে দেখে আনন্দ। বের হতো আনন্দ মিছিল। সহপাঠীদের নিয়ে আওয়াজ করে হৈ-হুল্লোড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যেতো। সে যে কি আনন্দ মুখরিত মুহূর্ত ছিল। কিন্তু এখন চাঁদ দেখা নিয়ে তেমন কোন প্ল্যান থাকে না। সে আনন্দও নেই।

ঈদে আতশবাজি ও মেহেদী লাগনো : ঈদ বলে কথা বয়সও তো এখন আনন্দের বয়স। অনেক প্রতিক্ষার পর আজ ঈদ। আতশবাজি হই-হুল্লোর না হলে যেনো গোটা ঈদেই মাটি। এদিকে আতশবাজি জন্য আগে থেকেই প্লান করা থাকতো। এ নিয়ে তো মাটির ব্যাংকে টাকাও জমানো শুরু করে দিতাম। সহপাঠীদেরকেও বলা হতো টাকা জামনোর কথা সবাই তা করতো। এমনকি স্কুলে খাওয়ার জন্যা যে টাকা দিত তা থেকেও কিছু জমানো হতো। এভাবে ঈদের কিছু দিন আগে জমানো টাকা গুলো

গুছিয়ে নিতাম। সবাইকে বলা হতো টাকা আনার জন্য সবাই তা করতো। কেউ বেশি দিত কেউ একটু কম দিত কিন্তু আনন্দ সবাই একসাথে একসমান করতাম। সবার মধ্যে একতা ছিলো। জমানো টাকা যদি কম হতো তা হলে মার কছে বায়না ধরতাম টাকা দেন আতশবাজি ফোটানো জন্য। আহা চাঁনরাতে চারদিকে আতশবাজির শব্দ হই হুল্লোড়ে মুখোরিত পরিবেশ।

এদিকে মেহেদি লাগানোর জন্য যেতাম বাড়ির বড় আপুদের বাসায়। বাজারে বিক্রি করা কেমিক্যাল মেহেদি লাগাতাম। পড়ে যেত দীর্ঘ লাইন। সবাইকে লাগাতে লাগাতে তনেক রাত হয়ে যেত। মনে মনে ভয় তো কাজ করতোই আজ মায়ের হতে মাইর খাবো। তবুও আতশবাজি করে মেহেদী লাগিয়ে ঘরে পিরতে পিরতে ভোর রাত হয়ে যেত। এর জন্য মাইরও খেতাম। আনেক রাত্রে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম কিন্তু কষ্ট হলেও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম।

ঈদে সকালে গোসল : ঈদের দিন সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতাম যদিও রাত্রে ঘুমাতে পারিনি। কিন্তু কষ্ট হলেও কি। আজ তো ঈদ। নির্দিষ্ট কিছু সময় আতশবাজি করে এরপর গোসলের জন্য দিতাম পুকুরে লাফ। শৈশবে পুকুরে সহপাঠীরা সহ লাফ দিয়ে গোসলের মজাটাই তো আলাদা। এ যেন আন্যরকম এক অন্যরকম পূর্তি সুরু হতো। এরপর সবাই মিলে পুকুরে দফাদফি ও সাঁতার কাটার পর উঠে যেতাম।

নতুন জামা গায়ে দেয়া ও সেমাই খাওয়াঃ বহুল প্রতিক্ষার পর আজ ঈদ এর দিন এটি যেন সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্তের একটি। আর শৈশবের ঈদের আনন্দ তো একটু আলাদাই হয়। নতুন জামা গায়ে দিলে নিজের কছে একটু আলাদা আনন্দ অনুভব হয়। যা বলে বুঝানোর মতো নয়। নতুন জামা গায়ে দেয়ার পর একটু সেমাই বা আন্য অন্য কোন মিষ্টি জিনিস খাওয়া হতো। এ সেমাই খাওয়াও যেন ছিল আনন্দের প্রতিক। ঈদে তো সচরাচর সবার ঘরেই সেমাই রান্না করা হয়। ঈদের দিনে কারো ঘরে গেলেই সেমাই খেতে দেয়া হতো। যা আনন্দ ময় মুহুর্তে আরও একটু আনন্দ যোগ করতো।

ঈদগাহে যাওয়া : নতুন জামা গায়ে দেয়ার পর ঈদগাহের দিকে যেতাম। ঈদের সময় মসজিদের কাছে হরেক রকমের দোকানের সারি বসতো। সেখানে বিক্রি হরেক রকম খেলনা, বেলুন, আচার, চকলেট ইত্যাদি। সেখান থেকে খেলনাটাই বেশি কিনা হতো বিশেষ করে খেলনা পিস্তল ইত্যাদি। বাবাকে তো শুধু বিরক্ত করাতাম, বলতাম বাবা এটা কিনে দেন ওটা কিনে দেন। অনেক খেলনা কিনার পরে বাড়িতে আসলে মায়ের বকাও শুনা লাগতো। কারন আমি কোন কিছু তাড়াতাড়ি ভেঙে ফেলতাম এই আভ্যাসটা ছিলো।

সালামি : ঈদের নানজের পর বাবাকে সালাম দিয়ে সালামি নিতাম। এরপর দাদা দাদি, চাচা এরপর বাড়ির আন্যান্য কাছ থেকে সলামি নিতাম। তখনকার সময় ২০, ৩০, ৫০, ১০০ টাকার প্রচলন ছিলো। এটাতে আলাদা একটা মজা ছিলো। যা ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দের একটি। সলামি পেলে মনে মনে যে কত খুশি হতাম। সালামি যদিও অল্প কিছু টাকা পেতাম কিন্তু এর আনন্দ অনুভূতিটা ছিল লক্ষ টাকার সমান। যা শৈশবে সবাই উপভোগ কর যায়। সালামির যে টাকাটা পেতাম তার থেকে অল্প কিছু ভেঙ্গে বাকিটা মাটির ব্যাংকের মধ্যে যোগাতাম। এর মধ্যেও মনের একটি আনন্দ ছিলো।

ঈদের দিন : ঈদের দিনে সহপাঠীদের সাথে মহল্লার এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াতাম। একজন আরেকজনের বাড়িতে যেতাম। ঈদ থেকে কেনা খেলনা পিস্তল ইত্যাদি নিয়ে তাদের সাথে ঘুরতাম। এমনকি কোন ঈদের মাঠে ভালো খেলনা বিক্রি করে সে খানে যেতাম। সহপাঠীদের সাথে। আড়ি দিতা কে কার থেকে দামি খেলনা কিনতে পারি। একদুপুর ঘুরাঘুরির পর বাড়িতে আসতাম। এরপর খাওয়া দাওয়া করতাম। সারা দিন কাটতো আনন্দ উৎফুল্ল এর মধ্য দিয়ে। ঈদের দিন তো বাড়িতে বিশেষ কিছু রান্না করা হতো। আমাদের বাড়িতে ঈদের দিন অন্যান্য আত্মীয়স্বজনরা আসতো। এরপর বিকেল বেলায় কাছের কোন বিশেষ জায়গায় যেতাম। সে দিনের আনন্দটা যে কি ছিলো। যতই বয়স হচ্ছে ততই সে আনন্দটা হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সৃতি গুলো হৃদয়ের মধ্যে থাকবে যুগ যুগ ধরে।

ঈদের পরের বাকী দিন গুলোত বেড়ানোর জন্য যাওয়া হতো নানার বাড়ি, পুপুর বাড়ি, খালার বাড়ি ইত্যাদি। মনে মনে আনন্দ থাকতো নানির বাড়ি যাবো। কারন সরা বছর স্কুলের ক্লাস খোলা থাকার করনে যেতে পারতাম না তাই ঈদের সময়ই যাওয়া হতো। আরেকটা আনন্দ থাকতো নানার বাড়ি সহ আন্যান্য আত্মীয় স্বজন দের বাড়িতে গেলেই সালামি পাবো। শৈশব কালে সচরাচর সবার মধ্যেই এ আনন্দ টা থাকে। শৈশবের সেই দিন গুলো যে কত রঙিন ছিলো।

আহা কিযে রঙিন ছিল শৈশবের দিনগুলো, শৈশবে কাটানো ঈদগুলো। তা কি চাইলেই ফিরে পাওয়া যায়। হৃদয়ের দৃশ্যপটে আজও তা ভেসে ওঠে সেই দিনগুলো। কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালি দিন গুলো সেই আজ আর নেই। কালের বিবর্তনে বাস্তবতার কারনে হারিয়ে গেলো সেই দিনগুলো।

এখন যত আনন্দই হোক না কেন সব আনন্দতেই যেন ভাটা পড়ে। পওয়া তো যায়না আর শৈশবের মতো সে আনন্দ। এখন মনে হয় ছোট বেলার দিনগুলোই ছিল মুধুময়। এখন তো আর সেই শৈশবের মতো আবেগময় নেই হৃদয় সবকিছুই যেন আবেগহীন যান্ত্রিক রোবটের মতো মনে হয়। এখন তো আর ঈদকে ঘিরে তেমন আনন্দও থাকে না ঈদের চাঁদ দেখা, হতে মেহেদী দেয়া নিয়ে থাকে না কোন মাতামাতি। এখনো ছোটবেলার সেই ঈদগাহে যাই নামজ আদায় করি, বন্ধু বান্ধবদের সাথে কোলাকুলি মতবিনিময় করি ভেসে উঠে সেই সৃতি গুলো। কিন্তু চাইলেও কি সে দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া যায় সেই দিনগুলোতে ভেবে হয়ে যাই আনমনা। সকলের জন্য ঈদ বয়ে আনুক আনন্দ মুচে যাক সকল গ্লানি ঘুচে যাক সকল কষ্ট ও ঝরা। সকলের জন্য রইলো ঈদের শুভেচ্ছা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়