প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের স্বায়ত্ত শাসনের দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাঙালি সেটেলারদের জুলুমণ্ড অত্যাচার বন্ধ এবং পার্বত্য অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন ও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশের আদিবাসী সম্প্রদায় ‘জুম্মা পিপলস নেট ওয়ার্কে'র ব্যানারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস দশ নাম্বার ডাউনিং স্ট্রীটের সামনে সমাবেশ করেছে। শনিবার দুপুর ২টায় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে অংশ নেন শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষ ও শিশু।
ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৯ সালের পর থেকে আদিবাসীরা বাঙালি সেটেলার ও আইনশৃঙ্লা বাহিনীর দ্বারা ক্রমাগতভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের কোনো সরকারই আদিবাসীদের মঙ্গল চায়নি। বিশেষ করে ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ । গেল জুন মাস থেকে এ যাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫০০টিরও বেশি আদিবাসীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বাঙালি সেটেলারদের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) আদিবাসী সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। সেটেলার বাঙালিদের হামলায় জুনান চাকমা, ৭০ বছর বয়সী ধনরঞ্জন চাকমা, রুবেল ত্রিপুরা এবং লেনিন চাকমা সহ অন্তত নয়জন নিরীহ আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি হাসপাতালে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এসব মৃত্যুর পাশাপাশি দীঘিনালা সদরে শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সহিংসতায় শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষ আহত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সমাবেশ শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে আদিবাসীদের জানমাল রক্ষায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
প্রিয়ন্তী চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুব্রত চাকমা, অভি বড়ুয়া, পবন বড়ুয়া, লাল আমলাই, আশু চাকমা প্রমুখ।