রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

মিশরে খুলে দেওয়া হলো সাঈদা জয়নব (রাঃ) মসজিদ ও মাজার

আফছার হোসাইন, মিশর থেকে ॥
মিশরে খুলে দেওয়া হলো সাঈদা জয়নব (রাঃ) মসজিদ ও মাজার

মিশরের আদিম রাজধানী ফুসতাত ও বর্তমানে ইসলামিক কায়রোর ব্যস্ততম একটি এলাকা ইল-সাঈদা জায়নব। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কন্যা ফাতেমা তুজ-জোহরা (রাঃ) ও হযরত আলী-ইবনে-আবু তালিব (রাঃ)-এর কন্যা সাঈদা জয়নাব বিনতে আলী (রঃ)-এর নামানুসারেই এলাকাটির নাম। এখানেই রয়েছে মিশরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম একটি মসজিদ, যা হযরত হাসান ও হোসেন (রাঃ)-এর বোন সাঈদা জয়নাব (রাঃ)-এর কবরের ওপর নির্মিত।

ইতিহাসবিদরা মনে করেন, সাঈদা জয়নাব (রাঃ)কে কারবালার যুদ্ধের কয়েক মাস পর মিশরে নির্বাসিত করা হয়েছিল। কারবালা থেকে নির্বাসিত হয়ে সাঈদা জয়নাব (রাঃ) মিশরে পৌঁছার পর তৎকালীন মিশরের গভর্নরের নেতৃত্বে মিশরীয়রা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় হযরত সাঈদা জয়নব (রাঃ) মিশরবাসীর জন্যে দোয়া করে বলেন, “হে মিশরবাসী, আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আল্লাহ আপনাদের সমর্থন করুন। আপনারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন, আল্লাহ আপনাদের আশ্রয় দিন। আপনারা আমাকে সাহায্য করেছেন, আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন, সমস্ত অসুবিধা থেকে মুক্তি এবং সমস্ত চিন্তা থেকে মুক্তির পথ তৈরি করে দিন।''

হযরত সাঈদা জয়নব (রাঃ) মিশরে নয় মাস স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর ইহজগত ত্যাগ করলে তাঁকে এই স্থানে সমাহিত করা হয়।

সাঈদা জয়নাবের কবরের ওপর বিশাল মসজিদটি কখন নির্মিত হয়েছিল তার কোনো সঠিক নথি না থাকলেও ১৫৪৭ সালে মসজিদটি অটোম্যান শাসনামলে মোহাম্মদ আলী পাশা প্রথম সংস্কার করেন।

১৭৬৮ সালে আবদুর রহমান কর্তৃক পূর্ণ সংস্কারের পর ১৯৪০ সালে পুরাতন মসজিদটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে বর্তমান মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই মসজিদটি ইসলামী ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে নিবন্ধিত করা হয় । মসজিদটির কেবলা প্রাচীরের সমান্তরালে সাতটি করিডোর নিয়ে গঠিত একটি বর্গাকার থালা ও একটি গম্বুজ দ্বারা আবৃত। কেবলা প্রাচীরের বিপরীত দিকে রয়েছে সাঈদা জয়নাব (রাঃ)-এর সমাধি।

করোনা মহামারীতে মসজিদটি বন্ধ থাকার পর আবারো ব্যাপক সংস্কার করে মসজিদ ও মাজারটি খুলে দিয়েছেন বর্তমান মিশর সরকার। গত সপ্তাহে মসজিদটিতে আসরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ মুসল্লি নামাজের পর মাজার জিয়ারত করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়