প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লন্ডনে উৎসবমুখরতায় দ্বাদশ বাংলাদেশ বইমেলা
বিলেতের বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সেতুবন্ধন রচনা করে বহুজাতিক সমাজে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারকে আরো বেগবান করতে ২০০৯ সালে গঠিত হয় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ । প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১০ সালের ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী প্রথম বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। তখন থেকে শুরু হয় লন্ডনে বই মেলার । তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের দ্বাদশ বাংলাদেশ বইমেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায়। মাইল এন্ড পার্কের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়ন সেন্টারে মেলাটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা । অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হেমলেটস-এর স্পিকার সাইফ উদ্দিন খালেদ, বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি শামিমা আজাদ সহ লন্ডনের এবং অন্যান্য দেশের বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও গুণীজনরা ।
বক্তারা বলেন, বইমেলা একটি জাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং সেই জাতিকে করে সম্মানিত। নানান প্রতিকূলতার মুখে বিদেশের মাটিতে যারা এ আয়োজন করেন, তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ তারা মহতী কাজের সাথে লিপ্ত আছেন। এবারের মেলায় মোট ১২ টি বইয়ের স্টল রয়েছে । এখানে সব বয়সের মানুষের সমাগম ঘটেছে । কেউ বই কিনছেন, কেউ নাচ দেখেছেন, কেউ বা কবিতা আবৃত্তি শুনেছেন, কেউবা আবার স্বরচিত কবিতা পাঠ করেছেন । সব মিলিয়ে মেলা একটি উৎসবে পরিণত হয় ।
এই মেলা ছিলো ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুদিন । মেলার মধ্যে ছিলো আলোচনা পর্ব, কমিটি পরিচিতি, তৃতীয় বাংলা'র মোড়ক উন্মোচন , সাহিত্য সম্মাননা পদক প্রদান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সেমিনার, বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত নতুন বইয়ের উন্মোচন, কবি পরিচিতি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ, নতুন প্রজন্মের অনুষ্ঠান, পোয়েট্রি ইন আদার ল্যাংগুয়েজ, প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময় ও সম্মাননা স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
প্রতি বছরের মতো এবারের সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য সাহিত্য পদক লাভ করেন ফারুক আহমেদ রনি। এই পদক প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন যে, এটি তার কাজের স্বীকৃতি এবং তিনি এই সম্মানের জন্যে সম্মিলিত সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ রকম সম্মান জানালে গুণীজন সৃষ্টি হবে সমাজে।
সংগঠনের সভাপতি মইনুর রহমান বাবুল জানান, এবারের বইমেলায় তারা বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাড়া পেয়েছেন এবং সবাই অংশগ্রহণ করেছেন । মানুষের বিশাল উপস্থিতি জানান দেয় এই মেলার সার্থকতার ।
সাধারণ সম্পাদক একেএম আব্দুল্লাহ জানান, এবারের বইমেলায় প্রকাশক এবং বই ক্রেতার উপস্থিতি অনেক ভালো ছিলো।
উৎসবমুখরতায় অনুষ্ঠিত এই মেলার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার লাভ করবে বলে প্রত্যাশা করেন এদেশের সাধারণ ব্রিটিশ বাঙালিরা।