রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

চলতি বছরে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা কমেছে

প্রবাসীকণ্ঠ ডেস্ক ॥
চলতি বছরে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা কমেছে

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এ কথা জানিয়েছে ভেল্ট আম সনটাগ। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাসাইলাম এজেন্সির একটি পরিসংখ্যানের কথা রিপোর্ট করেছে। সনটাগ বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছর ২০ শতাংশ কম আবেদন জমা পড়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা বছরের প্রথমার্ধে অনেকটাই কমেছে। আগের বছরের তুলনায় এ দেশে আশ্রয় আবেদন কমলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আশ্রয় আবেদন করেছেন।

এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার ঘেষণা করেছিলেন, সামঞ্জস্যপুর্ণ আশ্রয় নীতির সাফল্য চোখে পড়ছে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন,২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের সময় শত শত মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৭ হাজারের বেশি 'অনুমতিবিহীন' প্রবেশ আটকানো হয়েছে।

জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন এসেছে সিরিয়া (২৯ শতাংশ), আফগান (১৮ শতাংশ) এবং তুরস্ক (দশ শতাংশ) থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের শরণার্থীরা মূলত জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্যে আবেদন করেন। সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্যে আবেদন করেছেন, যেখানে আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের মতো জার্মানিতে আগের বছরের একই সময়সীমার তুলনায় আশ্রয়-আবেদন অনেকটাই কমেছে৷ তবে আবেদনকারীর সংখ্যা কিন্তু প্রচুর ৷ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে৷ এই সংখ্যাটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকটাই কম।

চরম ডানপন্থি নেতার হুমকি

এদিকে জার্মানির চরম ডানপন্থি অল্টারনেটিভ (এএফডি) নেতা টিনো ক্রোপাল্লা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, সেপ্টম্বর মাসের নির্বাচনের পর দুটি রাজ্যে তারা ক্ষমতায় গেলে অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ চালু করবে৷ গত রোববার জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে তিনি এ কথা জানান।

এএফডি দল ক্ষমতায় এলে ১৬টি রাজ্যের মধ্যে অভিবাসী বণ্টনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি ৷ তার কথায়, "প্রথম ১০০ দিনের জন্যে একটা অনুষ্ঠান করা হবে ৷ যেখানে আমরা বেশ স্পষ্টভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কথা বলবে৷"

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়