প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
বিধ্বস্ত গাজায় বাংলাদেশিদের অনুদানে উদ্বোধন হলো দ্বিতীয় মসজিদ
ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত হামলার কারণে ফিলিস্তিনিরা ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের তাঁবুতে। জায়নিস্টরা শুধু মুসলমানদের ঘরবাড়িই ধংস করেনি, তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো। হত্যার পাশাপাশি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এ সকল স্থাপনা।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের ও প্রবাসী সাধারণ মানুষের দেওয়া অর্থ দিয়ে গাজার খান ইউনিসের আল মাওয়াশিতে অস্থায়ীভাবে ১০০ মসজিদ নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আমেরিকায় রেজিস্টার্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের চ্যারিটি সংস্থা ‘আশ ফাউন্ডেশন' ও বাংলাদেশের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
তারই ধারাবাহিকতায় ১০ মে জুমার নামাজের আজান দিয়ে উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদানে দ্বিতীয় মসজিদ 'মসজিদ মোস্তফা'। কাঠ ও প্লাইউড দিয়ে তৈরি এই মসজিদে শতাধিক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয়কেন্দ্রের বিভিন্ন তাঁবু থেকে এসে জুমার নামাজ আদায় করার পাশাপাশি বাচ্চারা কোরআন শিক্ষারও সুযোগ পাবে।
এই সময় বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খুতবা দেন মসজিদের ইমাম।
এর আগে ‘আশ ফাউন্ডেশন’ অসহায় গাজাবাসীদের ত্রাণ, ওষুধ, শিশুদের জন্যে কাফনের কাপড় ও খাবার দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া অনুদানে ফিলিস্তিনে এটি আমাদের তৈরি দ্বিতীয় মসজিদ। গাজাবাসীর জন্যে এখানে হাজারো মসজিদের প্রয়োজন। আশ ফাউন্ডেশনের কর্মসূচিতে আপাতত বিভিন্ন ক্যাম্পে ১০০ অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামীতে গাজা পুনর্র্নিমাণের সময় এই মসজিদগুলো স্থায়ী মসজিদে রূপ নেবে।
উভয় ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন আরো জানান, বর্তমানে আশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জরুরি খাবারের পাশাপাশি গাজার বিভিন্ন ক্যাম্পে সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, টয়লেট নির্মাণ ও সুপেয় পানির সরবরাহের কাজ চলছে।
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে গাজায় মাঠ হাসপাতাল, এতিমখানা, মসজিদ ইত্যাদি নিয়ে ‘বাংলাদেশ কমপ্লেক্স’ নামে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালুর স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
তিনি জানান, দাতারা চাইলে নিজেদের নামেও এখানে স্বল্প বাজেটে অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় নিবন্ধিত আশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশের এনজিও আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন গত নভেম্বর থেকে গাজায় খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাচ্ছে।