রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

মিশরে আশ্রিত তিনশ’ ফিলিস্তিনির হাতে বাংলাদেশিদের পাঠানো উপহার

আফছার হোসাইন ॥
মিশরে আশ্রিত তিনশ’ ফিলিস্তিনির হাতে বাংলাদেশিদের পাঠানো উপহার

গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের পর হাজারো ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের দেশ মিশরে। কেউবা এসেছেন পরিবার হারিয়ে, কেউ বা এসেছেন পরিবারে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট সদস্যদের নিয়ে।

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষ গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সহযোগিতা ও অনুদান নিয়ে।

অনুদানগুলো গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের বেশ ক'টি চ্যারিটি সংস্থা। দেশের সাধারণ মানুষের এবং দেশের বাহির থেকে প্রবাসীদের দেওয়া এসব অনুদান সঠিক ভাবে আমানতদারির সাথে অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এ সকল চ্যারিটি সংস্থা। আর তাদের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এগিয়ে এসেছে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কিছু বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশীদের দেওয়া অনুদানগুলো মিশর থেকে আল আজহার চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় পাঠানোর পাশাপাশি মিশরে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মাঝেও বিতরণ করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার কায়রোর নাসের সিটি দারুল আকরাম ইসলামিক সেন্টারে তিনশ' ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে ডেকে এনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, প্রতিটি পরিবারের জন্যে অন্তত ১৫দিনের খাবার, শিশুদের খেলনা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন হাফিজ্জি হুজুর সেবা ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান মাওলানা রজীবুল হক মিশরের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চ্যারিটি ফান্ড ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় নিজেই শরণার্থীদের হাতে তুলে দেন এ সকল অনুদান ও উপহার সামগ্রী।

বাংলাদেশীদের পাঠানো উপহার নিতে আসা বেশ ক'জন শরণার্থীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে একজনের নাম মিস রেহাব মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ইসরাইলের হামলায় আমার মা-বোন সহ পরিবারের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। আমি আমার ৮৫ বছর বয়সী বাবাকে নিয়ে গাজার তূফফা থেকে জর্দান হয়ে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে কায়রো এসেছি। গাজায় আমার বাড়িঘর সবই ছিল। ইসরাইলিদের হামলায় আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। বেঁচে থাকা আমার পরিবারের সদস্যরা এখন খান ইউনিস আশ্রয় কেন্দ্রের একটি তাঁবুতে কোনোরকম ভাবে অবস্থান করছি। আমি তোমাদের দেশের মানুষের পাঠানো সাহায্য নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এখানে বেঁচে আছি। মিস রিহাব ভিডিও কলের মাধ্যমে খান ইউনিস শিবিরের ঐ তাঁবুতে থাকা তার মায়ের সাথেও কথা বলিয়ে দেন এই প্রতিবেদককে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়