প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
সৌদি আরবে জিসিসি’র সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নবদিগন্ত উন্মোচন
প্রথম সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত
৭ মে বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি)-এর মধ্যে অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক রিয়াদস্থ জিসিসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জিসিসির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং জিসিসি প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করেন জিসিসি সচিবালয়ের সহকারী মহাসচিব (রাজনৈতিক) ড. আব্দুল আজিজ আল উয়াইশেগ। এছাড়াও বৈঠকে জিসিসি সদস্য রাষ্ট্র সমূহ থেকে আগত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের (২০২৪-২০২৮) রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার খসড়া যৌথ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ছাড়া ফিলিস্তিন পরিস্থিতি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, লোহিত সাগরে পরিবহণ নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবেলা, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষায় পররাষ্ট্র সচিব সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করলে জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র সচিবের প্রস্তাবনার মধ্যে চুক্তিভিত্তিক কৃষি উৎপাদন (ঈড়হঃৎধপঃ ঋধৎসরহম), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে সহযোগিতা এবং কর্মপরিকল্পনাতে অন্তর্ভুক্ত ক্ষেত্রসমূহে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার জন্যে কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব জানান, জিসিসি'র সদস্য রাষ্ট্র সমূহের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশে অবিচল সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, জিসিসি অঞ্চলে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন, যারা বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কল্যাণের জন্যে কাজ করায় তিনি জিসিসিভুক্ত দেশসমূহের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আলোচিত খসড়া কর্মপরিকল্পনা পরবর্তী পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সভাতে চূড়ান্ত করার জন্যে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর তারিখে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি)-এর সাথে বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।