রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মিশর

আফছার হোসাইন ॥
মিশর

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিশরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্ যাপন করলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি সূচিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মিশরের মহামান্য রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দপ্তরের ‘চেম্বার লেইন’ বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সাথে দূতাবাসে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, এটি একটি বিরল সম্মানের বিষয় যে, মিশরের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই শুভেচ্ছা পৌঁছে দিবেন বলে জানান।

দুপুরে দূতাবাসের হল রুমে শিশির কুমারের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিতা মা-বোন, জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মোঃ ইসমাইল হুসাইন, দূতালয় প্রধান আতাউল হক ও ২য় সচিব শিশির কুমার প্রমুখ।

রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনার প্রারম্ভে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞচিত্তে আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা এবং যে সকল মা-বোন সম্ভ্রমহানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথা।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত ১৫ বছর ধরে অভূতপূর্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মত প্রকাশ করেন। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২,৮২৪ মার্কিন ডলার। অর্থনেতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলা, শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশী শিক্ষক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশী কর্মকর্তাবৃন্দ, মিশরের প্রসিদ্ধ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীবৃন্দ, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ।

অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অথিতিদের রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে বাঙালি ঐতিহ্যে ইফতার ও ডিনারে আপ্যায়িত করা হয়।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পবিত্র রমজান মাসে স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো, মিশর দিবসটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঈদ পরবর্তী সময়ে জমকালোভাবে উদ্ যাপন করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়