প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীসহ অনিয়মিত ৩৭৭ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় থামছেই না ধরপাকড়। অনিয়মিত অভিবাসীদের আটক যেন নিয়মে পরিণত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে অভিযান চালাচ্ছে অভিবাসন বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে যৌথ অভিযানে বাংলাদেশীসহ অনিয়মিত ৩৭৭ অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিযার অভিবাসন বিভাগ।
অভিযানের পর দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন বিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মালয়েশিয়ার সড়ক পরিবহন বিভাগ(জেপিজে)-এর সঙ্গে যৌথভাবে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে পুত্রজায়া সড়কের আশেপাশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মোট ৬০০ জন অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর এদের মধ্য থেকে ৩৭৭ জন অভিবাসীর কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২৫০ নারী ও ১২৭ জন পুরুষ রয়েছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। তবে কত জন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির কাজাং এবং বাঙ্গির দিক থেকে পুত্রজায়ায় প্রবেশের প্রধান সড়কে জেপিজে এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের ২টি স্থানে চেকপয়েন্ট বসিয়ে বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বেশির ভাগই স্থানীয় আলম ফ্লোরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজে বাস যোগে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আটক অভিবাসীরা অভিবাসন বিভাগ আইনে ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ লঙ্ঘন করেছেন বলে জানায় অভিবাসন বিভাগ।
আটক অভিবাসীদের পরবর্তী তদন্তের জন্যে দেশটির সেলাঙ্গর সেমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিচালক বলেছেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজে নিয়োগ দেন, তাহলে ওই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩- এর অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।