প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
স্বপ্ন যদি থাকে মনে সফলতা আসবেই দ্বারে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রবাসে এসেও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন রিয়াদ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাহা অথৈ।
পাঠকের সুবিধার্থে তার বিস্তারিত তুলে ধরছি।
নাম : সুমাইয়া তাহা অথৈ। বাবা মাসুম বিল্লাহ একজন প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধা, চাকুরিজীবী। মা রোমানা আক্তার একসময় একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেশের বাড়ি মাধাইয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা।
সুমাইয়া তাহা অথৈ ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে পিইসিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি এবং ২০২৩ সালে এসএসসিতে সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।
সুমাইয়া শুধু একজন শিক্ষার্থীই নন, তার পাশাপাশি রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের মাধ্যমে বেশ ক’টি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। যেমন : আমিনা সুন্দরী, ক্ষেপা পাগলার প্যাঁচাল, বাংলার মহানায়ক, রেমিট্যান্সযোদ্ধা ইত্যাদি। পাশাপাশি নাচ, গান, কবিতা উপস্থাপনাও করেন। সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়, যার মাধ্যমে খুব সহজেই সাধারণ মানুষের সেবা করা যায়। তবে ডাক্তার হওয়া যতোটা সহজ, তার চেয়ে বেশি কঠিন কাজ হচ্ছে মানবিক ডাক্তার হওয়া। তিনি বলেন, সকলের দোয়া নিয়ে মানবিক চিকিৎসক হতে চাই। পাশাপাশি সুস্থধারার সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরো জানান, প্রবাসের বিভিন্ন দেশিয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের চর্চা যে কেউ চাইলেই করতে পারে, আর এটা তখনই সম্ভব হয়, যখন পরিবার থেকে সহযোগিতা পায়। আমি রিয়াদ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের সদস্য হিসেবে কাজ করছি। আমার বাবাও নাটকে অভিনয় করেছেন। মা রোমানা সহযোগিতা করেছেন বলেই মেয়ে, বাবা একসাথে নাট্যকার মিলন কান্তি দের লেখা বাংলার মহানায়কে কাজ করতে পেরেছি। নাটকের নাট্যনির্দেশনায় ছিলেন রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ও নাট্যকার রোটারিয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়।
সুমাইয়া বলেন, রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়াম মঞ্চেও আমাদের সংগঠন বেশ ক’টি নাটক মঞ্চস্থ করে দর্শকনন্দিত হয়েছে। প্রবাসের শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতিতে বেশ ক’টি নাটকের পাবলিক শো হয়েছে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তিনি ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখতে দেশ ও প্রবাসের সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।