প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
জার্মানির মানহাইম শহরে দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সেবা দিয়ে আসছে সিএলএস কম্পিউটার। প্রবাসী বাংলাদেশি দেওয়ান শফিকুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে গড়ে তুলেন এই প্রতিষ্ঠানটি।
উচ্চশিক্ষা আর উন্নত জীবনের সন্ধানে ১৯৮৬ সালে জার্মানি পাড়ি জমিয়েছিলেন টগবগে তরুণ দেওয়ান শফিক। ছাত্রজীবন শেষ করে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করেছিলেন নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিএলএস কম্পিউটার। সেদিনের ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান আজ জার্মানির তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে মানহাইমে সিএলএস-এর হেড কোয়ার্টারে দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে ৩০ বছরপূর্তির এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিপুল সংখ্যক কাস্টমার, যারা দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানের সেবাগ্রহণ করে আসছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সিএলএস টিম এবং এর কর্নধার দেওয়ান শফিকুল ইসলামকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন।
ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে সততার সমন্বয় থাকলে সহজেই সফলতা লাভ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দেওয়ান শফিকুল ইসলাম। তিনি জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে জার্মান ভাষা শিখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, সিএলএস কম্পিউটারের মাধ্যমে দেওয়ান শফিকুল ইসলাম অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। দেওয়ান শফিকুল ইসলাম স্ত্রী ডাঃ হালিমা আক্তার এবং দুই কন্যা সন্তানসহ মানহাইম শহরে বসবাস করেন।