প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রোমে অবস্থিত গুলিয়েমো মার্কনি গ্রন্থাগারের যৌথ উদ্যোগে গ্রন্থাগারে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ‘বাংলাদেশ কর্নার’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বিদেশি অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এবং মার্কনি গ্রন্থাগারের পরিচালক মিজ্ কিয়ারা পমা, ইতালির লুমসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সংস্কৃতির অধ্যাপক ফ্রান্সেস্কো যানিনি।
বাংলাদেশী-ইতালিয়ান লেখিকা এবং সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের প্রাক্তন অধ্যাপক নিমান সোবহান, ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক, এশিয়া বিষয়ক ইতালিয়ান থিংকট্যাংকের মহাসচিব ডোমিনিকো পালমিয়েরি এবং ইতালিয়ান ফটোসাংবাদিক স্টিফানো রোমানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান বিপুল বাংলাদেশিদের কর্মস্থল রোমের একটি স্বনামধন্য গ্রন্থাগার গুলিয়েমো মার্কনিতে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং লাইব্রেরির পরিচালককে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উপহার হিসেবে প্রদত্ত ৭০টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী (বাংলা ও ইতালিয় ভাষায় অনূদিত), বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন প্রকাশনা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাংলা ভাষায় বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা বিষয়ক প্রকাশনা এবং ইতালিয় ভাষায় রচিত ও অনূদিত বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার ওপর প্রকাশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রা বিষয়ক কয়েকটি প্রকাশনাও স্থান পায় গ্যালারিতে। রাষ্ট্রদূত ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাইকে বই পড়া, বাংলা ভাষা চর্চা এবং জ্ঞানার্জন করতে আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্য বক্তা দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্নার’ বন্ধুত্বপূর্ণ দু দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত এবং গ্রন্থাগারের পরিচালক যৌথভাবে অন্যান্য অতিথির উপস্থিতিতে ফিতা কেটে বাংলাদেশ কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, ইতালিয়ান পাঠক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের উদ্যোগটি চলমান জনকূটনীতি (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি) কার্যক্রমের একটি অংশ।