প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাব সভাপতি জমির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আল মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একটা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র তখনই অনিরাপদ হয়ে যায় যখন সেই দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা বাধার সম্মুখীন হয়। যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে বার বার বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা, সেখানে নতুন করে যোগ হয়েছে ছাত্রদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ! এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা পরিচালিত হচ্ছে।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকতার ঊর্ধ্বে রুদ্র ইকবাল একজন শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থীকে তার বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে বলে আমাদের মনে হয় না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য নির্ভর সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরার অপচেষ্টা মেনে নেয়ার মতো নয়। সেটা সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে যেভাবেই ঘটুক তার বিপক্ষে ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে প্রস্তুত থাকবে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর বারবার বাধা আরোপ করা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের কার্যকলাপ হতে পারে না। সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশে বারবার বাধার সম্মুখীন হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। অনতিবিলম্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সাংবাদিক রুদ্র ইকবালের ওপর আরোপকৃত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।