প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
এতোটা নির্বাসনে কাটালে তুমি
অনিবার্য মৃত্যুকে ভুলে ফিরে এলে প্রিয় বাংলায়,
কত ক্ষত কত রক্তের দাগ কত মৃত্যু মাঠের
সবুজে পলিমাটি জুড়ে
রিক্ত শরীরে ফিরে এলে গৃহকোণে
দেখলে রবীন্দ্রনাথকে ওরা ভষ্ম করেছে,
হ্যাঁ রবীন্দ্রনাথ মানে তোমার সংগ্রহে লালিত রবীন্দ্র রচনাবলি
তুমি কেঁদে উঠলে শিশুর মতো
শ্রাবণের বৃষ্টির মত অশ্রুধারা,
কতোটা কোমল তুমি!
অথচ সাড়ে সাত কোটি মানুষের সবুজ দ্বীপের দুর্ভোগে
তুমি দাঁড়ালে বজ্র কঠিন রোষে, মানুষের পাশে, ঊর্ধ্বমুখী তর্জনী,
মেঘ গম্ভীর কণ্ঠস্বরে, স্বাধীনতার ডাক দিলে, সমুদ্রের ঢেউয়ে,
আকাশ মন্দ্রিত করে তৃণের মাটির প্রাণের ভিতর।
তারপর পাকিস্তানি ঘাতকদের সীমাহীন অত্যাচার,
হত্যা লুণ্ঠনে ক্ষত বিক্ষত তোমার সোনার ভূমি,
রচিত হলো কত বীরত্বগাথা,
আত্মত্যাগ লাল সবুজের মৃত্তিকা জুড়ে,
অবশেষে মুক্তি এলো তোমারই হাত ধরে, প্রান্তরে, মাঠে ঘাটে, গৃহকোণে,
তুমি কাঁদলে তোমার সংগ্রহে রাখা
রবীন্দ্রনাথের জন্যে,
লোকদেখানো ভাল মানুষের ভিতরে যে থাকে কত অকৃতজ্ঞ মানুষ, ঘাতকের চোখ
তোমার মহৎ খোলা হৃদয় তা দেখেনি কোনোদিনও
তোমার পবিত্র রক্ত ছুঁয়ে জেগে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ
অদৃশ্য থেকে যেন বললেন--
‘ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময় তোমারই হোক জয়।’