বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০

হাশেম খানের আপনভুবন
মুহাম্মদ ফরিদ হাসান

বাংলাদেশের চিত্রকলা আজ বিপুলভাবে সমৃদ্ধ। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের শিল্পীরা সমাদৃত হচ্ছেন। তাঁদের চিত্রকর্ম প্রশংসিত হচ্ছে দেশে দেশে। এই অগ্রযাত্রায় যাঁরা সম্মুখভাগের যাত্রী, শিল্পী হাশেম খান তাঁদেরই একজন। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেকদী গ্রামের কৃতীসন্তান।

হাশেম খানের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৬ই এপ্রিল। বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ খান ছিলেন কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মা নূরেন্নেসা খানম। হাশেম খান ১৪ ভাইবোনের মধ্যে ৬ষ্ঠ। শৈশব ও কৈশোর কাটে তাঁর গ্রামে এবং চাঁদপুর শহরে। তাঁর গ্রাম ও শৈশব-যাপন সম্পর্কে নিজেই লিখেছেন :

‘ছোটবেলা থেকেই সবকিছুর প্রতি ছিল আমার অদম্য কৌতূহল। কাকের ডানায় রঙ নেই কেন?... প্রজাপতি এত রঙ কোথায় পেল? এই সবকিছুই আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলত। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। অনেক গাছপালা আচ্ছাদিত বাড়ি ছিল আমাদের। বাড়ি সংলগ্ন পুকুর। তাতে শান বাঁধানো ঘাট। সেই ঘাটে বসে আমি কাটিয়ে দিতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেখানে বই পড়তাম।... নির্জনে বসে পাখি দেখা, বক দেখা, গুইসাপ দেখা ছিল আমার নিত্যদিনের কাজ।... এইসব দেখার যে কী আনন্দ!’

হাশেম খানের পড়াশোনা শুরু হয় সেকদীর মুন্সিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৪৯ সালে ভর্তি হন চান্দ্রা ইমাম আলী হাইস্কুলে। এরপর পড়াশোনা করেন চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাইস্কুলে। এ সময় তিনি শহরে থাকতেন। এ স্কুলটি হাশেম খানকে শিল্প-সংস্কৃতিমনস্ক করতে ভূমিকা রেখেছিল। স্কুলটির পাঠাগার ছিল খুবই সমৃদ্ধ। যেখানে তিনি প্রবাসী, বসুমতী, বালক, মৌচাক, সন্দেশসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা ও বইপাঠের সুযোগ পান। হাশেম খান নিজেই বলেছেন, ‘এই পাঠাগারটির মাধ্যমে আমি শিল্প-সাহিত্য জগতের সন্ধান পাই’। অন্যদিকে স্কুলের শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী হাশেম খানকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং ভালো বইয়ের সন্ধান দিতেন।

হাশেম খানের বড় ভাই সোলেমান খান। তিনি পড়ুয়া মানুষ ছিলেন। হাশেম খান তাঁর কাছে ছবি আঁকার উৎসাহ পেয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে হাশেম খান বলেছেন, ‘আঁকার বিষয়টি পেয়েছিলাম আমার বড় ভাই সোলেমান খানের কাছ থেকে। বাবা আমাদের দুজনের জন্য রিক্সির একটি রঙিন বাক্স দিয়েছিলেন। এটিই ছিল ছবি আঁকার একমাত্র সম্পদ। তখন থেকেই আমি সমস্ত খাতার পৃষ্ঠাজুড়ে নানা ছবি এঁকে ভরে রাখতাম। পরে তিনি বাক্সটা আমাকে দিয়ে দেন।’

হাশেম খান চাঁদপুর থেকে ইত্তেফাক পত্রিকায় রোকনুজ্জামান দাদাভাইয়ের কাছে লেখা ও ছবি পাঠাতেন। কিন্তু সেগুলো ছাপা হয়নি। তাঁর বাবা-মা চেয়েছিলেন ছেলে ডাক্তার হোক। তাই তাঁর পড়াশোনা ছিল বিজ্ঞান বিভাগে। কিন্তু তিনি ম্যাট্রিকে ভালো ফল করতে পারেননি। তখন সোলেমান খান তাঁকে আর্ট কলেজে ভর্তি হতে উৎসাহিত করেন। ১৯৫৬ সালে হাশেম খান ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন। তাঁর ভর্তির খবর শুনে শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী খুশি হয়েছিলেন। তিনি সোলেমান খানের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন : ‘প্রিয় সুলেমান। নানা কারণে হঠাৎ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশ ছেড়ে কলকাতা যাচ্ছি।...তোমার ছোটভাই কবি, ছবি আঁকার কলেজে ভর্তি হয়েছে শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। কবির যে নিষ্ঠা ও সাহস আছে, তাতে আমি বলতে পারি কবি একজন ভাল শিল্পী হতে পারবে। সে ঠিক পথটিই বেছে নিয়েছে।’ হাশেম খান সম্পর্কে সুরেশ চক্রবর্তীর অনুমান যে ঠিক ছিল তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর্ট কলেজে হাশেম খান শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, শফিকুল আমিন, সফিউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল হক, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ কিবরিয়ার মতো বরেণ্য শিল্পীদের। তবে তাঁর প্রাথমিক পথচলা সহজসাধ্য ছিল না। তাঁরা দশ ভাইবোন প্রত্যেকে পড়াশোনা করতেন। তাই আর্থিক টানাপোড়েন ছিল। হাশেম খানের কাছে রঙ-তুলি কেনার টাকা থাকতো না। ফলে টিফিন আওয়ারের পর তিনি ক্লাস করতেন না। এসব প্রতিকূলতার মধ্যে ১৯৬১ সালে তিনি চিত্রকলায় প্রথম শ্রেণি পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ বছরই তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে মৃৎশিল্পে রিচার্স স্কলার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে জাপান থেকে শিশু পুস্তক অলঙ্করণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। পেশাগত জীবনে হাশেম খান ১৯৬৩ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাচ্যকলা বিভাগে যোগ দেন। চার দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা করে তিনি ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের প্রগতিশীল সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে হাশেম খানের অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৫২ সালে তিনি স্কুলছাত্র ছিলেন। চাঁদপুরে ভাষার দাবিতে মিছিল হলে তিনি এতে অংশ নেন। তাঁর একটি জনপ্রিয় কাজ ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ পোস্টার। ১৯৭০ সালে সালে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে তুলনামূলক বৈষম্যের চিত্র ধারণ করেছিলো পোস্টারটি। প্রকাশের পর এ পোস্টারটির কথা মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় অল্পের জন্যে হাশেম খান প্রাণে বেঁচে যান। যুদ্ধের শুরুতে বড় ভাই সোলেমান খানসহ তিনি চাঁদপুরে এসে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। ফলে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্ষুশূলে পরিণত হন তাঁরা। ২৬ এপ্রিল রাতে তাঁদের বাড়িতে হামলা হয়। স্বাধীনতাণ্ডবিরোধীদের গুলিতে সোলেমান খান শহিদ হন। হাশেম খান, তাঁর মা ও ভাগ্নি গুলিতে আহত হয়েছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাশেম খানকে স্নেহ করতেন। ছয়দফার লোগো করার মাধ্যমে তিনি প্রথমবার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পান। সে অভিজ্ঞতা ছিলো রোমাঞ্চকর। স্মৃতিকথায় হাশেম খান লিখেছেন :

‘প্রায় সাত-আটদিন অনেক নকশা এঁকে, জল্পনা-কল্পনা করে ছয়-দফার লোগো, পতাকার নকশা, পোস্টার ও অন্যান্য শিল্পকর্ম দাঁড় করালাম। শেখ ফজলুল হক মণি ও নূরুল ইসলাম কাজগুলোসহ আমাকে নিয়ে একেবারে নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মুখোমুখি। তৎকালীন হোটেল ইডেনের সামনের মাঠে সভার ব্যবস্থা করে ছয়-দফা জনসাধারণের সম্মুখে ঘোষণা দেয়া হবে। তার প্রস্তুতি পর্বের কাজের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন হোটেল ইডেনের বারান্দায় আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের সাথে বসে আলাপ করছেন। শেখ মণি ও নূরুল ইসলাম আমার আঁকা নকশা ও অন্যান্য শিল্পকর্ম তাঁর সামনে তুলে ধরল। এই প্রথম আমি বঙ্গবন্ধুর সামনে, তাই খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমার আঁকা নকশা, পোস্টার ইত্যাদি তাঁর পছন্দ হবে তো!’

ছয় দফা লোগো বঙ্গবন্ধুর পছন্দ হয়েছিল, তিনি কাজের প্রশংসাও করেছিলেন। পাশাপাশি হাশেম খানকে তিনি ছয় দফা ঘোষণা মঞ্চেরও অঙ্গসজ্জার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সংবিধান গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গ্রন্থের ছবি, নকশা, অলঙ্করণ বিষয়ে আলোচনার জন্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে হাশেম খান দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর কাছে যান। ওই সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু শিল্পাচার্যের কাছে ছয়দফা নকশার প্রশংসা করেন। তিনি হাশেম খান সম্পর্কে বলেন, ‘ও আমার ছয়-দফার মনোগ্রাম, নকশা, পোস্টার করেছিলো। ছয়-দফা ঘোষণার জন্যে যে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল তার ব্যাকসিনটা ও এত সুন্দরভাবে করেছিল আমার এখনো সব মনে আছে। ছয় রঙ, ছয়টি গঠন ও আকৃতি ইত্যাদি দিয়ে সেদিন ছয়-দফার যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলো আমি আগে ভাবতেই পারিনি আমার রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও বাঙালিদের ন্যায্য অধিকারসহ নকশা, ছবি দিয়ে ছয়-দফার এত চমৎকার ব্যাখ্যা হয়।’

বাংলাদেশ সংবিধান গ্রন্থের অলঙ্করণে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচজন শিল্পী কাজ করেন। শিল্পী হাশেম খান ছাড়াও ছিলেন জুনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী ও আবদুর রউফ। সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ড. কামাল হোসেন। তাঁরা চারমাস নিরলস পরিশ্রম করে সংবিধান গ্রন্থের অলঙ্করণ করেন। মুদ্রণের পর সংবিধান গ্রন্থটি দেখে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হন। তিনি জয়নুল আবেদীনকে বলেন, ‘আবেদীন ভাই, এত সুন্দর কী করে করলেন! আমি যে ভাবতেই পারছি না! কিছুই তো ছিল না, ভাঙ্গা প্রেস, ভাল কালি নেই- তারপরও আপনি কি অসাধ্য সাধন করলেন। আপনারা শিল্পীরা কত সুন্দর ও পরিপাটি করে বাংলার মানুষের জন্য সংবিধান গ্রন্থ তৈরি করলেন।’

হাশেম খান বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনি জার্মানি, বুলগেরিয়া, জাপান, চেকোস্লোভাকিয়া, চীন, ভারত, নেপালে বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন। তিনি অনেক কর্মশালায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে তাঁর বহু একক ও যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাঁর শিল্পচর্চায় চাঁদপুরের পরিবেশ-প্রকৃতির ভূমিকা রয়েছে। এ কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষ্যে : ‘গ্রামের মানুষদের সাথেও ছিল আমার নিবিড়তা। আমি নৌকায়, হেঁটে স্কুলে যেতাম। স্কুলে যাওয়ার সময় গ্রাম দেখা, মাছ ধরা দেখাও ছিল আমার অন্যতম আনন্দের বিষয়। এই যে প্রান্তিক পরিবেশ ও জনজীবনের সঙ্গে আমার বেড়ে ওঠা এসবই আমাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল। জীবনে এগুলো আমার অনেক বড় অর্জন। যা আমার ছবি আঁকার পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমার ছবির চরিত্রও সেইসব গ্রামীণ অনুষঙ্গ, সেইসব মানুষ আর বন্ধুদের মুখ।’ হাশেম খান বহু পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী ও আলঙ্করিক। তিনি শিশুসাহিত্য নিয়ে লিখেছেন। তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২০টি। এছাড়াও তিনি চারুকলা ও ললিতকলা বিষয়ক ৫টি পাঠ্যবইয়ের লেখক। তাঁর লেখা বইগুলো ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠ্য রয়েছে।

হাশেম খান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে হাশেম খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত স্বাধীনতা স্তম্ভ-এর জুরি বোর্ড ও বাস্তবায়ন কমিটি, জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় নাট্যশালা এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র বাস্তবায়ন স্টিয়ারিং কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। টাকা জাদুঘর বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। এছাড়াও ঢাকা নগর জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পেছনে তাঁর অর্থবহ অবদান রয়েছে। ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ৩০০টি ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এটির সম্পাদকম-লীর সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন হাশেম খান।

হাশেম খান ৬২ বছর ধরে শিল্পচর্চা করছেন। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার। তিনি ১৯৯১ সালে চারুকলায় একুশে পদক, ২০১২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৬ বার জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পুরস্কার ও ৩ বার অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তাঁকে চাঁদপুর ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

সূত্র :

১. বঙ্গবন্ধু, শিল্পাচার্য ও কিছু অনুভব, হাশেম খান

২. বহুমাত্রিক শিল্পী হাশেম খান, সাক্ষাৎকার গ্রহণে : শেখ মেহেদী হাসান; বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৬ জুন ২০১৪

৩. চেতনাঋদ্ধ এক সৃজনশীল মানুষ হাশেম খান, এম নজরুল ইসলাম; বিডিনিউজ২৪ ডটকম, ১৪ এপ্রিল ২০২০

৪. যাঁর তুলিতে বাংলার মুখ, ফারুক আহমেদ, ইত্তেফাক, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

৫. হাশেম খান, গুণীজন ওয়েবসাইট

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়