বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০০:০০

দ্রোহ ও সাম্যের কবি নজরুল
মোঃ নূর ইসলাম খান অসি

বাংলা সাহিত্যে দ্রোহের কবি, সাম্যের কবি, মানবতার কবি, সঙ্গীত ভুবনের সুমহান অধিপতি, সব্যসাচী লেখক, যুগস্রষ্টা কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম পরাধীন ভারতে দারিদ্র্যকে নিত্য সঙ্গী করে পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে বনেদি কাজী পরিবারে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ/ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের কারণে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশিদূর এগোতে পারেনি। জীবনের ছন্দপতন হয়েছে বারবার। কিন্তু চিন্তাশীল নজরুল অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রচুর পড়াশুনা করে এবং জীবিকার প্রয়োজনে বহু বিচিত্র পেশায় সংশ্লিষ্ট হয়ে সমৃদ্ধ করেছেন তার চিন্তা ও অভিজ্ঞতার জগৎ। বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সংগীতকার তিনি। তাঁর মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য, তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি। মসজিদের মোয়াজ্জিন-ইমাম, হোটেলের বয়-বেয়ারা, লেটোর দলের সদস্য, গীতিকার, সৈনিক, পত্রিকা সম্পাদক, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, সর্বোপরি রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতা সব মিলিয়ে তাঁর জীবন ছিল নানা বৈচিত্র্যে ভরা।

বাংলা সাহিত্যে তাঁর আগমন উল্কার মত অন্যায়, অসত্য, অবিচার, অসাম্যের বিরুদ্ধে চরম বিদ্রোহ নিয়ে ‘বল বীর, চির উন্নত মম শির’। সাহিত্যের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি তাঁর উজ্জ্বল প্রমাণ রেখে গেছেন। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত ও সমাজ সংস্কৃতির উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তিনি। তিনি বাঙালি জাতির হৃদয়ে এদেশের প্রকৃতি, মাটি-মানুষ এবং নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভালোবাসার প্রেরণায় সঞ্চালিত করেছেন। তাঁর জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। সৈনিক জীবন ত্যাগ করে নজরুল বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে মুজফ্ফর আহমদের সাথে বাস করছিলেন। মুজফ্ফর আহমদ ছিলেন এদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। এখান থেকেই নজরুলের রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ শুরু হয়। মুজফ্ফর আহমদের সাথে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমিতি, বক্তৃতায় অংশ নিতেন এবং সেই সময় থেকেই সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সাথে পরিচিত হন। রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব তাঁকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। তাঁর ‘লাঙল’ ও ‘গণবাণী’ পত্রিকায় তিনি প্রকাশ করেন সাম্যবাদী ও সর্বহারা কবিতাগুচ্ছ। এরই সাথে প্রকাশ করেছিলেন কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর অনুবাদ ‘জাগো অনশন বন্দী ওঠরে যত’। তাঁর পত্রিকায় প্রকাশিত হয় রেড ফ্ল্যাগ-এর অবলম্বনে রচিত রক্তপতাকার গান।

১৯২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। তাঁর সাথেই তিনি প্রথম কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা সেনগুপ্ত দেবীর সাথে, যার সাথে তাঁর প্রথমে প্রণয় ও পরে বিয়ে হয়েছিল। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের জন্ম দেন। এই দুটি হচ্ছে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও ‘ভাঙার গান’ সঙ্গীত। এগুলো বাংলা কবিতা ও গানের ধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। বিদ্রোহী কবিতার জন্যে নজরুল সবচেয়ে বেশি জনপিয়তা অর্জন করেন। একই সময় রচিত আরেকটি বিখ্যাত কবিতা হচ্ছে ‘কামাল পাশা’। এতে ভারতীয় মুসলিমদের খিলাফত আন্দোলনের অসারতা সম্বন্ধে নজরুলের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমকালীন আন্তর্জাতিক ইতিহাস-চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তাঁর কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তাঁর মানবিকতা, ঔপেনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহ, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় এক শত বছর যাবৎ বাঙালির মানসপীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে। ‘গাহি সাম্যের গান / মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’। কবি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করেছেন শোষণ-বঞ্চনামুক্ত এক আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নজরুলের কণ্ঠ ছিল সোচ্চার। তাইতো তাঁকে বলতে শুনি-- ‘জাগো অনশন বন্দী, ওঠরে যত,/ জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্য হত’। কিংবা ‘ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত,/ আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,/ আমরা টুটাব তিমির রাত,/ বাধার বিন্ধ্যাচল’। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কবিতা, গান ও প্রবন্ধ আমাদের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছে। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাপার/ লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুঁশিয়ার’ কিংবা রণ সঙ্গীত ‘চল চল চল, ঊর্ধ্বে গগনে বাজে মাদল’সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছে উজ্জীবনী শক্তি ও বিপুল সাহস। বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাবে পরাধীন বাংলাকে করেছিল আলোকিত, আন্দোলিত ও শৃঙ্খলমুক্ত। এ ঘুণেধরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরাধীন দেশ, সমাজ ও জাতিকে তাঁর অগ্নিঝরা অজস্র লেখার মাধ্যমে জাগ্রত করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম জীবনে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মনগড়া মিথ্যা বিভেদ মানেননি। অসাম্প্রদায়িক নজরুলের সর্বদা আকর্ষণ ছিল সাম্য ও মৈত্রীর দিকে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরাধীন সমাজ ও জাতির নেতেৃত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জগতের জাত বিচারের হীনমন্যতা ও ক্ষুদ্রতাকে বিরূপ করে তিনি লিখেছিলেন ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন/ কাণ্ডারি! বলো ডুবছে মানুষ,সন্তান মোর মার’। কিংবা, ‘জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাত জালিয়াত খেলছে জুয়া/ ছুঁলেই তোর জাত যাবে, জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।’ ১৯১৯ হতে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ মাত্র ২৩ বছরের লেখালেখির জীবনে নজরুলের ৩৬টি কাব্য ও সঙ্গীত গ্রন্থ, ৩টি কাব্যানুবাদ, ৩টি ছোট গল্প গ্রন্থ, ৩টি উপন্যাস, ৩টি নাটক ও ৫টি প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া তিনি তিন হাজারের অধিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর গান রেখে গেছেন। সম্পাদনা করেছেন দৈনিক নবযুগ, ধূমকেতু ও লাঙল। নানামুখী সংকট, প্রতিকূল পরিবেশ ও ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত নজরুল তাঁর মেধা-মনন ও অবিনশ্বর লেখনীর মাধ্যমে ‘সব্যসাচী নজরুল’ হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদ, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর কণ্ঠ ছিল সোচ্চার ও প্রতিবাদী। তিনি ছিলেন বিশ্ব মানবতাবাদী একজন খাঁটি বাঙালি ও শাশ্বত বাঙালি। যিনি পরাধীনতার অন্ধকার যুগে দিশেহারা পথভ্রান্ত বাঙালি জাতিকে শেকল ভাঙার গান শুনিয়েছেন। কবি নজরুল এমনই একজন সফল ও ভাগ্যবান কবি-শিল্পী যে, পৃথিবীর আর কোনো বড় মাপের কবি সংখ্যার বিচারে তাঁর মত এত রসোত্তীর্ণ গান লিখতে পারেননি। তিনি একাধারে ধর্মীয় (গজল ও শ্যামা সঙ্গীত), দেশাত্মবোধক, আধুনিক সব ধরনের গান রচনা করেছেন। যা তিনি নিজে সুর দিতেন এবং গাইতেনও। কবি নজরুল আধুনিক বাংলা গানের নন্দন তত্ত্বে নূতন মাত্রা যোগ করেছিলেন। কি বাণী, কি সুর এ যেন ‘সোনায় সোহাগা’। নজরুলের কাব্যে ও গানে আছে বিপুল প্রাণাবেগ, আছে সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার জয়গান। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু, আর আমি জাগিব না/ কোলাহল করি সারাদিন মান কারো ধ্যান ভাঙিব না/ নিশ্চল নিশ্চুপ/ আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধ বিধূর ধূপ’।

১৯৪২ সালের জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহে এই অসীম প্রতিভাবান মানুষটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ফুলেরও জলসায় নীরব হয়ে গেলেন গণমানুষের কবি। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সালে ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে দায়মুক্তি ও হৃদয়ের টানে ‘রাজনীতির কবি’ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বাংলা কাব্যের কবি’ কাজী নজরুলকে ভারত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে তাঁর বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডিলিট’ প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালে মহান ‘একুশে পদকে’ সম্মানিত করা হয় শাশ্বত বাঙালি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। কবির বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সরকারি আদেশ জারি করা হয়। একই বছর তাঁকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। এরপর যথেষ্ট চিকিৎসা সত্ত্বেও নজরুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কবির গানের কলি- ‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই’, এটাকেই তাঁর অন্তিম আবেদন মনে করে ১৭৭৬ সালে ২৯ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। তাঁর রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল’ বাংলাদেশের রণসংগীত হিসেবে গৃহীত।

নজরুলের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে (বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়) ২০০৫ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নামক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবির স্মৃতিতে নজরুল একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও শিশু সংগঠন বাংলাদেশ নজরুল সেনা স্থাপিত হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারিভাবে স্থাপিত হয়েছে বহু স্কুল-কলেজ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা শহরের একটি প্রধান সড়কের নাম রাখা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের অহংকার, আমাদের অলংকার, আমাদের গর্ব।

লেখক : মোঃ নূর ইসলাম খান অসি। সাবেক পরিচালক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচি (সিপিপি), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মোবাইল ফোন : ০১৭১১-৫৮৫৮৭

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়