বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০০:০০

বাঙালির বিজ্ঞান-সাহিত্য : সম্ভাবনার বনসাই
পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

বাঙালির বিজ্ঞানমনস্কতা যেমন ধীরে ধীরে মধ্যযুগমুখী তেমনি বাঙালির বিজ্ঞান-সাহিত্যও ক্রমশ পৌঁছে যাচ্ছে তলানিতে। যে সম্ভাবনা নিয়ে বাঙালি শুরু করেছিল তার বিজ্ঞান-সাহিত্য, কালের পরিক্রমায় আজ আমরা দেখছি সে সম্ভাবনা বট না হয়ে হয়ে গেছে বটের বনসাই। অথচ একসময় বলা হতো, বাঙালি আজ যা ভাবে অন্যরা তা ভাবে আগামীকাল বা পরশু। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার বা উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর রূপকথাতেও ছিল বিজ্ঞানমনস্কতার ছোঁয়া। শিশুশ্রোতাদের মন জয় করার জন্যে নিটোল বানোয়াট কাহিনী না বলে কখনো কখনো তাতে বিজ্ঞানমনস্কতার নির্যাস ঢেলে দেয়া হতো। ‘লাল কমল নীল কমল’ গল্পে লাল কমলকে চিত্রণ করা হয় রাক্ষসী ও মানুষের মিলনের ফসলরূপে। বাস্তবিকই আজ আমরা জেনেছি, বাঙালি হচ্ছে শংকরায়নের ফসল। আজ আমরা বুঝেছি মানুষের বিবর্তন কী জিনিস। বাঙালির আজকের বিজ্ঞানমনস্কতা হলো তেতোভাব এড়াতে মিষ্টির ভেতরে কুইনিন ট্যাবলেট দেয়া বাচ্চাটির মতো, যে মিষ্টির বিচি ফেলে দিয়ে তার মাংস খায় গোগ্রাসে। হাল আমলে করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়াতে গিয়ে বাঙালি কী মহাকাণ্ডই না করলো। তারপরও একহাতে টিকা নিয়ে অন্যহাতে ফুঁ দেয়া পানি পান করে টিকার কুপ্রভাব থেকে (পাগল হওয়া) রেহাই পেতে চেষ্টা করেছে। যে বিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসে ভালো বিজ্ঞান পাঠ দেন তিনিও দাঁতের ব্যথা হতে মুক্তি পেতে ডান হাতের বাহুতে অনেক কষ্টে জোগাড় করা তাবিজ বেঁধে নিশ্চিন্ত থাকেন। ঊনিশশো ঊনসত্তর সালে চন্দ্র বিজয় করা মানুষের কীর্তি উপেক্ষা করে বাঙালি এই সুদূর পৃথিবী থেকে চাঁদের বুকে মানুষের মুখ দেখতে পায় খালি চোখে এবং এই মহাঘটনা আবার বিজ্ঞান-আবিষ্কৃত মাইক ও ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয় মানবজাতির মহাকল্যাণে (!)। বাঙালির বিজ্ঞানমনস্কতা বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, যিনি একজন প্রণম্য বাঙালি বিজ্ঞানী। তিনি দুঃখ করে বলেছেন, ‘আমি ক্লাসে এত করিয়া ছাত্রদের পড়াইলাম যে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়িয়া চন্দ্রগ্রহণ হয়। তাহারা তা পড়িল, লিখিল নম্বর পাইল, পাস করিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল যখন আবার সত্যি সত্যি চন্দ্রগ্রহণ হইল তখন চন্দ্রকে রাহু গ্রাস করিয়াছে বলিয়া তাহারা ঢোল, করতাল, শঙ্খ লইয়া রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িল। ইহা এক আশ্চর্য ভারতবর্ষ।’ তাঁর আক্ষেপ হতে এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, বাঙালির বিজ্ঞানমনস্কতা সত্যিকারের এক মায়ামৃগ।

কেন বাঙালির বিজ্ঞানমনস্কতা দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হলো না, তা তলিয়ে দেখতে গেলে একদিকে যেমন আমাদের অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দায়ী করতে হয়, তেমনি দায়ী করতে হয় আমাদের অপুষ্ট বিজ্ঞান-সাহিত্যকে। দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সনদসর্বস্ব শিক্ষার কারণে বিজ্ঞানমনস্কতার পেছনে ধর্মান্ধতাকে এখানে লেলিয়ে দেয়া হয়। সেই ধর্মান্ধতাকে জয় করার জন্যে যে বিজ্ঞান-সাহিত্যের বিকাশ আমাদের দরকার ছিল তা আমরা করে উঠতে পারিনি। বরং অদ্ভূত কারণে আমরা বরং বিজ্ঞানচিন্তায় পূর্বে যতটুকু এগিয়ে ছিলাম তার চেয়ে বর্তমানে পিছিয়ে যাচ্ছি আরো বেশি। পাশ্চাত্যের দেশে যেখানে মাদাম মেরি কুরি আবিষ্কার করেছেন রেডিয়াম, সেখানে আমাদের দেশে এক নারীকে লেলিয়ে দেয়া হয় অন্য নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য পরিমাপের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে।

অথচ আমাদের দেশে বিজ্ঞান-সাহিত্যের যাত্রা হয়েছিল যাঁর হাত ধরে তিনি পৃথিবীকে ধন্য করে দিয়ে গেছেন তাঁর অমর একটা আবিষ্কার দিয়ে। শতবর্ষ আগেও একটা গাছের কয়টা প্রাণ এ ধরনের প্রশ্নে শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের তাবৎ মানুষের হকচকিয়ে যাওয়ার জোগাড় ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বিক্রমপুরের ছেলে বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্ভিদের প্রাণ আছে এ কথা আবিষ্কারের পর এ প্রশ্নের উত্তর আজ জলভাতের চেয়েও সহজ হয়ে গেছে, একটা গাছের যত কোষ তত প্রাণ। কারণ প্রোটোপ্লাজমই কোষের তথা জীবের প্রাণ। এই মহাসত্য আবিষ্কারের পর উদ্ভিদ হয়ে গেছে মানুষের বিজ্ঞানাগার। বিজ্ঞান-সাহিত্য দিয়ে পৃথিবীকে ধন্য করে গেছেন হারবার্ট জি. ওয়েলস্, জ্যুল ভার্ন এবং আইজ্যাক অ্যাসিমভ। এইচ জি ওয়েলসের টাইম মেশিন, জ্যুল ভার্নের আশিদিনে বিশ্ব ভ্রমণ কিংবা আইজ্যাক অ্যাসিমভের বিগিনিংস-এর মাধ্যমে মানুষ যত আন্দোলিত হয়েছে, কোনো বিজ্ঞান লেখকের সৃষ্টি দিয়ে বাঙালি তত আন্দোলিত হয়নি। কিন্তু বাঙালির বিজ্ঞান-সাহিত্যের যাত্রা বেশ সমৃদ্ধ ছিল। বাঙালি বিজ্ঞান-সাহিত্যের জনক হিসেবে ধরা হয় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে। ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ কিংবা ‘পলাতক তুফান’ গল্পে তিনি বিজ্ঞানের তত্ত্বকে কল্পিতভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যেভাবে ব্যবহার করেছেন, তা যদি বহুল প্রচারিত হতো তবে ঘূর্ণিঝড় যে স্রষ্টার গজব নয় সে বিষয়ে মানুষের ধারণা আরো স্পষ্ট হতো। আমরা মূর্খ বাঙালিকে দেখেছি ‘মোখা’ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব উপভোগ করতে সদম্পতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছে। অথচ আটাশ ফুট জলোচ্ছ্বাস যদি ধেয়ে আসতো তবে লাশ হতে বেশি সময় লাগতো না। এইচ জি ওয়েলসের ‘দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস্’-এর দশবছর আগেই জগদানন্দ রায় ‘শুক্র ভ্রমণ’ লিখে এলিয়েন বিষয়ে ধারণা দেন এবং মানুষের বিবর্তনের এক চমৎকার বর্ণনা দেন। তার ‘শুক্র ভ্রমণ’ গ্রন্থের বিষয় ছিল অন্য গ্রহে মানুষের ভ্রমণ কাহিনি। মানুষ অন্য গ্রহে যাতায়াতের সময় ইউরেনাসে ভিনগ্রহী জীব দেখতে পায়, যাদের বিবর্তনের সাথে আধুনিক বিবর্তনবাদী তত্ত্বের আশ্চর্য মিল লক্ষ্য করা যায়। রবীন্দ্রনাথ জগদানন্দের বিজ্ঞানচিন্তার গভীরতা টের পেয়ে তাঁর স্কুলের সর্বাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করলেও বাঙালি পাঠক তাঁর বিজ্ঞান-সাহিত্যের কদর বুঝে উঠতে পারেনি। হেমলাল দত্তের ‘দ্য মিস্টি’ বা ‘রহস্য’ নিয়েও পাঠককে বেশি উচ্চকিত হতে শোনা যায়নি। বেগম রোকেয়াকে নারীবাদী লেখিকা উপাধিতে আটকে রেখে তাঁর ‘সুলতানার স্বপ্ন’কে বিজ্ঞান-সচেতনতা নির্মাণে এগুতে দেয়া হয়নি। হেমেন্দ্র কুমার রায়ের ‘মেঘদূতের মর্ত্যে আগমন’ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলেও তাতে মঙ্গলগ্রহ নিয়ে আজকের মানুষের যে আগ্রহ তা প্রকাশ পেয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিক কল্পনায় ভীতির সঞ্চার করায় তা বিজ্ঞান-সাহিত্যে লক্ষ্য পূরণে এগুতে পারেনি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কুহকের দেশে’ উপন্যাসে বিজ্ঞানের চেয়ে অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্যের অবতারণা হয়েছে বেশি। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও আবিষ্কারের কোনো বিষয় এখানে পাঠককে আলোকিত করেনি। হয়তো মন ভরানোর কল্পকাহিনী পাঠককে মুগ্ধ করতে পারে, কিন্তু মস্তিষ্ককে পরিষ্কার করতে পারেনি। কাজী আব্দুল হালিমের ‘কসমসের কান্না’ কল্পবিজ্ঞানের একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস, যেখানে পদার্থবিদ্যার তত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞানের সূত্রের আভাস মেলে। তবু উপন্যাসটি আমাদের তরুণ পাঠকদের বিজ্ঞান-ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। কেননা, তাদের বুঁদ করে রেখেছে হিমু নামের হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে এক চরিত্র, যার কাজ হচ্ছে পাঠকের মস্তিষ্কের চর্চাকে শাণিত করা নয় বরং অতি আবেগের ভারে হৃদয়জট তৈরি করা। সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্র আসলে কোমল মনে রহস্যের কায়দায় বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার কৌশল ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা ফেলুদার কাছে বিজ্ঞানী ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু ম্লান হয়ে গেছেন। ফলে চরিত্র জনপ্রিয় হলেও সেই বহুল শ্রুত মিষ্টির বিচি ফেলে মাংস খাওয়ার আখ্যানে তা পরিণত হয়ে গেছে। হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলী মার খেয়েছেন হিমুর তারুণ্যের কাছে। ফলে বিজ্ঞানের চেয়ে এখানে প্রধান হয়ে উঠেছে মনস্তত্ত্ব। ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’ হুমায়ূন আহমেদের কল্পবিজ্ঞানের উপন্যাস হলেও এটা বিজ্ঞানের প্রচলিত তত্ত্বগুলোর ওপর পাঠককে ঋদ্ধ না করে কল্পনার জগতে টেনে নিয়ে যায়, যেখানে টাইফা নামের নতুন একটা গ্রহের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পাঠক দিনশেষ আখ্যানকে মনে রাখে, তত্ত্ব বা বিজ্ঞানকে নয়। এ ধরনের কাহিনি মানুষ যতটা না বিজ্ঞানের বলে মেনে নেয়, তারচে' বেশি আধিভৌতিক হিসেবে তাকে কাছে টেনে নেয়। বরং কল্পবিজ্ঞানের এইসব সাহিত্যের চেয়ে স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর তাঁর লেখা দিয়ে মানুষকে অনেক বেশি বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে পেরেছেন। ‘সত্যের সন্ধানে’ গ্রন্থের দ্বারা তিনি যেভাবে আত্মণ্ডজিজ্ঞাসার মাধ্যমে জ্ঞানকে অর্জনের পথ খুঁজে পেয়েছেন, তা-ই অনেক তরুণ ও বয়স্কের জন্যে অনুপ্রেরণামূলক। যে আক্ষেপ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় করে গেছেন আরজ আলী মাতুব্বর বরং বহুলাংশে সে আক্ষেপ ঘোচাতে পেরেছেন। তাঁর ‘সৃষ্টির রহস্য’ গ্রন্থটি মুক্তবুদ্ধিকে মারাত্মকভাবে প্রণোদিত করে। আরজ আলী মাতুব্বরদের মতো মুক্তহাতের বিজ্ঞান-লেখক তৈরি করতে পারাটাই এখন আমাদের জন্যে একটা আন্দোলন হওয়া উচিত। অভিজিৎ রায় মুক্তবুদ্ধির বিজ্ঞান চর্চার জন্যে নির্মমভাবে নিহত হলেও তাঁর বিজ্ঞান-ভাবনা মুখ্যত ব্লগকেন্দ্রিক হওয়ায় বৃহত্তর অংশকে তার চিন্তার সাথে শামিল করতে পারেননি। অল্পবয়সে নির্মমভাবে মৌলবাদীদের হাতে নিহত হওয়ায় জাতিকে বিজ্ঞানমনস্কতার পথে যতটুকু এগিয়ে নিতে পারতেন তা আর তার পক্ষে সম্ভব হলো না।

রবীন্দ্রনাথ কবি হয়েও আপাদমস্তক বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন। আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁকে বিজ্ঞানী বলে আখ্যা দিয়ে এ কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। যদিও রোগী হিসেবে অ্যালোপ্যাথিকে ভয় ছিলো, তিনি নিজেই হোমিওপ্যাথির চর্চা করতেন। সৌরজগৎ, ভূলোক, দ্যুলোক, গ্রহপরিচয় নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘বিশ্বপরিচয়’ নামে একটি বিজ্ঞানের বই। এ বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন আরেক তুখোড় পদার্থবিজ্ঞানী শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে। ভূমিকাতে তিনি বলেছেন, দশ-এগার বছর বয়সে পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ডালহৌসি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে তিনি গ্রহতারা চিনতে শিখেছেন। সেই বিদ্যা আর বিজ্ঞানের কয়েকটি বই হতে লব্ধ জ্ঞান দিয়ে তিনি রচনা করেছেন ‘বিশ্বপরিচয়’। তবে রবীন্দ্রনাথ কবি বলেই তাঁর বিজ্ঞানের বইটি অত বেশি পাঠক পায়নি। বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-লেখক ড. কুদরত ই-খুদা, ড. আব্দুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সুব্রত বড়ুয়ারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছেন বাংলায় বিজ্ঞান চর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলার। কিন্তু তাদের এই বিজ্ঞান-সাহিত্য অনুবাদ ও কাহিনিতে সীমাবদ্ধ বলে জনপ্রিয় হয়নি। বাঙালির বিজ্ঞান-সাহিত্য সবার জন্যে বোধগম্য করে তুলতে হবে এবং আখ্যানধর্মী নয় বরং সহজ উদাহরণযোগে তত্ত্বগুলোকে বুঝিয়ে দেয়ার মতো করে তৈরি করতে হবে। তাহলেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তা পৌঁছে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদের দরকার বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরি করা। আর সেজন্যে দরকার বিজ্ঞান-সাহিত্যকে জনপ্রিয় করে তোলা। সম্ভাবনার বনসাই নয়, আমরা চাই, বাংলা বিজ্ঞান-সাহিত্য হয়ে উঠুক আকাশ-সমান বড়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়