প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
ধীরে বহে মেঘনা নদী
দুই তীরে তার গ্রাম
দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে
মেঘনা নদীর নাম।
রূপালি স্রোত বুকে ধরে
বইছে এঁকে-বেঁকে
জলের নূপুর বাজিয়ে মধুর
বইছে জন্ম থেকে।
দীর্ঘ তার যাত্রাপথ
বিশাল তার ধারা
দুই তীরে তার কীর্তি কতো
কালের স্রোতে গড়া।
মেঘনা পাড়ে বসত-বাটি
সুখে বাঁধা নীড়
বালুচরে চখাচখি
নানান পাখির ভিড়।
বক-বালিহাঁস শঙ্খচিল
রঙিন ডানায় ওড়ে
জলতরঙ্গের নানা ছবি
ভাসে বুকের পরে।
মেঘনা নদীর মিষ্টি জল
শীতল করে প্রাণ
বউ-ঝিয়ারি কৃষাণ মজুর
সুখে করে স্নান।
রুই কাতলা বোয়াল চিতল
নানা জাতের মাছ
উজান-ভাটির স্রোতের ধারায়
ছুটছে বারোমাস।
ডিঙি নৌকায় ভেসে ভেসে
ইলিশ ধরে জেলে
আনন্দে প্রাণ ওঠে নেচে
রূপালি ইলিশ পেলে।
কতো কবির ছন্দগাঁথায়
মেঘনা আছে ছেয়ে
গ্রাম্য-কিশোর সুখে ভাসে
তালের নৌকা বেয়ে।
রঙিন পালের নৌকা কতো
ভাসতো মেঘনা বুকে
হারিয়ে গেছে সেসব ছবি
কালের ধূসরলোকে।
মেঘনা নদীর তীরে-তরঙ্গে
নেইকো শোভার শেষ
নীল আকাশের ছায়াতলে
দেখতে লাগে বেশ।
আকাশগাঙে ঘনায় যখন
মেঘের ঘনঘটা
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ঝরে
ছড়ায় রূপের ছটা।
জোর বাতাসে দুরন্ত ঢেউ
নাচে ফণা তুলে
মাঝি-মাল্লা সামাল সামাল
পানসি-তরী দোলে।
সূর্যডোবা দৃশ্য শোভা
কাড়ে সবার মন
ঢেউয়ের বুকে ছড়িয়ে পড়ে
লাল সুরুজের রং।
নদী-নিসর্গের অবদানের
নেইকো তুলনা
দূষণ-দখল মুক্ত থাকুক
সব-নদী আর মেঘনা।