প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
অবিকল প্রতিলিপি
বেঁচে থাকার আদলে নিদারুণ অভিনয়
মজ্জা মগজে হানা দেয় বিচ্ছিরি ঘুণপোকা-
ভাবনার আস্তরণে প্রগাঢ় অস্থিরতা
এ মহাকালের কালো গহ্বরে স্তিমিত যাত্রা।
আলো মূক হয় বেদনার গাঢ় নীলে
চারদিক ঠেকে নিঃস্তব্ধ ভীষণ কালোয়-
বালুচরের মতো জীবন তলিয়ে যায় জলে
সবই বিষণ্ন বিরহের অনুলিপির মতো।
অবিকল প্রতিলিপি যেন বিষণ্ন জীবনের
মহাশূন্যের রাশি রাশি নিহারিকার অপনোদন-
অমানিশার তীব্রতায় জীবন অন্ধকার সমুদ্র
জীবনের পাড় ভেঙ্গে দেয় অহর্নিশ, অবিরত।
বিরোধের রাজ্য
দূরত্বটা ক্রমেই বেড়ে চলছে আমাদের
ভালোবাসার দৈন্যতা হাত বাড়াচ্ছে সামনে
দ্বন্ধের বর্ণিল খেলায় মৃতপ্রায় ভালোবাসারা।
এলোমেলো পথে এগিয়ে চলছে আমাদের সত্তা
বিরোধের রাজ্যে আস্ত মাতালের মতো
হৃদয়ের আঙ্গিনায় আজ তীব্র এক অভিমান।
ভালোবাসার খরায় কাছে আসা চরম প্রতীক্ষিত
অথচ ভালোবাসার বৃষ্টি মেলে না, নিঃশ্বাসে মেলে ধোঁয়া
চারদিক ঘিরে রাখে মৃত্যু যন্ত্রণায়।
দূরে যাওয়ার সাইরেন বাজে, লাল বাতি জ্বলে উঠে
অযাচিত ইশারায় এলোমেলো হয় সব
আর আমরা হারিয়ে যাই ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে।
দ্বৈরথ সমরের নীলনদ
দ্বৈরথ সমরে পিছিয়ে নেই কেউ
তুমি কিংবা আমি;
‘ন’ আকারে সীমাবদ্ধ আমরা, ধীর লয়ের পৃথিবীর হিসেবে;
না তে আমাদের শুরু যেখানে, হ্যাঁ সে তো অলীক।
যুক্তির পর যুক্তি ছুটবে, মুক্তি সে তো খাতাণ্ডকলমেই
মগজে কূটাভাস নিয়ে এ পরাবাস্তব
মুক্তি খোঁজার মতো;
তবু আশাতেই থাকি, একদিন মিলবে সবই
দ্বৈরথ, দ্বৈরাজ্যতেই পরাস্ত হবে দ্বৈরথ সমরের শুকনো নীলনদ!