শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

পরকালে থাকবে না কেউ পাশে

-----------------ইসরাত জাহান তন্বি-----------------

অনলাইন ডেস্ক
পরকালে থাকবে না কেউ পাশে

এই সুন্দর দেহটা একদিন পড়ে থাকবে এক অজানা অন্ধকার স্থানে। সেদিন আপন লোক ছেড়ে যেতে হবে সুদূরে। চাইলেও কখনো ফিরে আর আসা যাবে না। এই আলতামাখা সুন্দর দেহ সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড় খাবে। ভাবতেই কেমন শিউরে উঠে শরীর। তখন এতো অহঙ্কার চলবেনা। কপাল ভালো হলে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে বরণ করবেন। আর যদি বদ নসীব হয় তাহলে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে মিলবে অনেক শাস্তি যা কাউকে কখনো বলা যাবেনা। এতো আপন থাকবে দুনিয়ায় কেউ এ শাস্তির অংশিধার হবেনা বা হতেও আসবেনা। যখন শরীর থেকে রুহ্ চলে যাবে মৃত্যু বলে ঘোষণা করা হবে তাড়াতাড়ি কবরে রেখে চলে আসবে। কবরের পাশে দিয়ে রোজ চলাচল করবে তবুও কবরের দোয়াটা ও পড়বেনা।

একটা সময় চলে আসবে সবাই ভুলে যাবে।তখন কী করবে বল? তাই দিন থাকিতে নিজের হাল ধরো। নামাজ পড়ো, রোজা রাখ, যাকাত দাও, দান-সদকা করো, পর্দা করো মনে রাখবে এগুলোই তোমার সাথে যাবে। ধন-দৌলত, বড় অট্টালিকা, জমি-জমা, স্বর্র্ণ, হীরে, মানিক, মুক্তা এসব কিছুই দেয়া হবেনা সাথে। মাত্র সাড়ে তিন হাত সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিয়ে চলে আসবে। তুমি মৃত্যুবরণ করার পর কে কী নিবে সকলে সে চিন্তায় মগ্ন থাকবে। দুনিয়ার মোহে পড়ে তোমাকে ভুলেই যাবে। তাহলে কীসের অহঙ্কারে দুনিয়ায় এমন করো। কখনো কী ভেবে দেখেছো স্বাদের অট্টালিকা ছেড়ে কীভাবে অন্ধকার কবরে থাকবে। যেখানে সাথীহীন কাটাতে হবে সকল সময়। থাকবে না কোনোআলো। চারপাশে শুধু কাঁচা বাঁশের চাউনী আর কলা পাতায় ঘেরা মাটি দিয়েই আবদ্ধ থাকবে। সকল আপনজন থেকেও নিয়তির নিয়মে কাউকে পাশে পাওয়া যাবেনা। তখন একাই একাকিত্ব বহন করে অসহায় হয়ে আলোবিহীন, বাতাস ছাড়া কাটাতে হবে।

মনে রাখবে এ কবর তোমায় দিনে সাতবার (৭) বার ডাকে। তাই বলতেছি দুনিয়ার রং তামাশা ছেড়ে পরকালের চিন্তায় মগ্ন হও। হাদিস পড়, কোরআন তেলোয়াত করো। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখ যাতে করে মৃত্যুর সময় কালেমা পড়ে শেষ নিঃশ্বাস নিতে পারো এবং অন্ধকার কবরে অসহায় যেন না হতে হয় তার আগেই প্রভুকে ডেকে সন্তুষ্ট করো।

সূরা আল-ইমরান ১৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- কুল্লুন নাফসুন জা ই কাতুল মউত। অর্থ : প্রত্যেক প্রাণীকেই মরনের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।

রব্বুল আলামিন পবিত্র কালামে, সূরা নাযিয়াতে আরো বলেছেন, ওমাম্মা মান খপপা মা কমা রব্বিহি ওনাহান নাফ্সা ইন্নাল হাওয়া ফাইন্না জান্নাতা হিল মায় ওয়া। অর্থ : আর যে স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কু-প্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে বেহেশ্তই হবে তার আবাস। উপর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে পরকালের কথা স্মরনে রেখে এ জীবন পরিচালিত করলেই মিলবে জান্নাত পাবো চিরতরের সুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়