বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, স্ত্রীর আত্মহত্যা
  •   ভারতকে কড়া বার্তা শ্রম উপদেষ্টার
  •   আধুনিক নৌ টার্মিনাল প্রকল্প পরিদর্শনে চাঁদপুরে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা
  •   ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপি অভ্যন্তরস্থ খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

জান্নাত লাভের সহজ আমল

--------মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম-------

অনলাইন ডেস্ক
জান্নাত লাভের সহজ আমল

‘জান্নাত’ চির শান্তির স্থান। মানুষ ও জিনদের অন্তহীন চাওয়া-পাওয়া, পরম সুখ-শান্তি এবং ভোগ-বিলাসের অকল্পনীয় পূর্ণতা লাভের একমাত্র স্থান। এর প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করে শেষ করার মতো নয়।

আরবি ‘জান্নাত’ অর্থ ঘন সন্নিবেশিত বাগান। আরবিতে বাগানকে ‘রওজা’ এবং ‘হাদিকা’-ও বলা হয়। কিন্তু জান্নাত শব্দটি আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব একটি পরিভাষা। জান্নাত শব্দের মৌলিক অর্থ গোপন বা আবৃত থাকা। বাগান যেহেতু গাছপালা দ্বারা আবৃত থাকে, তাই বাগানকে জান্নাত বলা হয়। আর পরকালের জান্নাত অসংখ্য নেয়ামত দ্বারা আবৃত, তাই তাকে জান্নাত নামে নামকরণ করা হয়েছে। জান্নাত অর্থ উদ্যান, নন্দন কানন। ফুলে-ফলে ও নয়নাভিরাম দানে-উপাদানে সাজানো সে জান্নাতে মানুষের কোনো প্রত্যাশাই অপূর্ণ থাকবে না।

পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে-ফলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সংবলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবহমান বিভিন্ন ধরনের নদীনালা ও ঝরনাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান। জান্নাত মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফলকাম।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৮৫)

পার্থিব জীবন শেষে শুরু হবে পরকালীন জীবন। অনন্তকালের সেই জীবনই মানুষের আসল জীবন। পৃথিবীতে যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে তারা পরকালের জীবনে জান্নাতে বসবাস করবে। জান্নাত মূলত একটি। কিন্তু এর আটটি ফটক, গেইট বা দরজা ও একশ’র বেশি স্তর রয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে।

জান্নাতে একশটি স্তর রয়েছে। প্রত্যেক স্তরের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব পরিমাণ প্রশস্ততা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ ‘ বলেন, ‘জান্নাতে একশটি স্তর আছে। প্রত্যেক স্তরের মাঝে দূরত্ব হলো আকাশ ও জমিনের দূরত্বের সমান। আর ফেরদাউস তার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝরনা প্রবহমান। এর উপরে রয়েছে আরশ। তোমরা আল্লাহর নিকট জান্নাতের জন্য দোয়া করলে জান্নাতুল ফেরদাউসের জন্য দোয়া করবে।’ (তিরমিজি : ২৫৩১)

প্রতিটি মুমিনের শেষ ঠিকানা জান্নাত। জান্নাত অনন্ত সুখের শান্তি-সুনিবিড় আধার। জান্নাতে যাওয়ার পথ ও প্রক্রিয়া মহান আল্লাহ অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ নিজেই তার বান্দাদের জান্নাতের পথে ডেকেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন। (সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৫)

একজন ঈমানদারের জন্য আল্লাহর হুকুম পালন ও তার রাসুলের সুন্নাত পালন অপরিহার্য। তবে আমলের ফিরিস্তি দীর্ঘ করার ও জান্নাত লাভের অনেক সহজ ও ছোট ছোট আমল রয়েছে। কয়েকটি সহজ আমলের সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো।

মুখ ও গোপনাঙ্গের হেফাজত : রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উভয় ঠোঁটের মধ্যভাগ (জিহ্বা) ও দুই রানের মধ্যভাগ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের দায়িত্ব গ্রহণ করে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করি।’ (বুখারি, হাদিস নং ৬৪৭৪)

মাতাপিতার সেবা : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক’, তিনি আবারও বললেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক।’ কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! কে সে জন?’ রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতা উভয়কে বার্ধক্য অবস্থায় পেল অথবা যে-কোনো একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেল, তবুও জান্নাত অর্জন করতে পারল না, সে ধ্বংস হোক।’ (মুসলিম, হাদিস নং ২৫৫১)

জ্ঞান অর্জন : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে বের হবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস নং ২৬৯৯)

অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়া : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে এবং একাগ্রচিত্তে তনুমনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত।’ (আবু দাউদ : ১৬৯)

সময়মতো নামাজ আদায়ে যত্নবান হওয়া : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সময়মতো নামাজ আদায়ে যত্নবান হয়, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’ (আবু দাউদ : ১৪২০)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নবি! কোন আমল জান্নাতের অধিক নিকটবর্তী করে? তিনি বললেন, সঠিক ওয়াক্তে সালাত আদায় করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আর কোনটি, হে আল্লাহর নবি? তিনি বললেন, মাতাপিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আর কোনটি, হে আল্লাহর নবি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৫৫; ইসলামিক সেন্টার : ১৬১)

রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামাজ গুরুত্বসহকারে আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারি, হাদিস নং ৫৭৪)

প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি তিলাওয়াত করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের জন্য মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা নেই।’ (আস সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ি : ৯৮৪৮)

সালামের প্রচার-প্রসার : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি ঈমান আনবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ কোনো মুসলমান পরস্পর একে অন্যকে ভালোবাসবে না, ততক্ষণ তারা পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কী তোমাদের সে কাজটি বাতলে দেব, যা করলে পরস্পর ভালোবাসা সৃষ্টি হয়? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রচার-প্রসার করো।’ (মুসলিম, হাদিস নং ৫৪)

এতিমের দেখাশোনা করা : রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘আমি ও এতিমের লালনপালনকারী জান্নাতে একসঙ্গে এমনভাবে থাকব’ -এ কথা বলে তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলদ্বয়কে একত্রিত ও পৃথক করে দেখিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস নং ৫৩০৪)

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো :

একবার রাস্তার ওপর একটি গাছের ডাল পড়ে ছিল, যা মানুষের জন্য কষ্টদায়ক ছিল, অতঃপর এক লোক সেটি সরিয়ে দেন, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ)

অজুুর পর কালিমা শাহাদাত পাঠ : নবি করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ ১৬৯) আসমাউল হুসনা আয়ত্ত করা : আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার নিরানব্বইটি নাম আছে, যে ব্যক্তি তা আয়ত্ত করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (বুখারি, হাদিস নং ২৭৩৬)

রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজখবর নেওয়া : সাওবান রা. সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, “যখন কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে দেখতে যায়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ‘খিরকায়’ থাকে। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ‘খিরকা’ কী? রাসুল (সাঃ) বললেন, জান্নাতের ফল বাগান।” (মুসলিম, হাদিস নং ২৫৬৮)

বেশি বেশি দান করা : ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমরা দান করো, কেননা দানে পুণ্য অর্জন হয়। আর পুণ্যে জান্নাত মিলে। যে ব্যক্তি সর্বদা সত্য বলে এবং সত্যের প্রচার করে, আল্লাহর কাছে তার নাম ছিদ্দিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। তোমরা মিথ্যা থেকে বিরত থাকো! কেননা মিথ্যা পাপের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপ জাহান্নামে ঠেলে দেয়। যে বান্দা সর্বদা মিথ্যা বলে ও মিথ্যা প্রচার করে, আল্লাহর কাছে সে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস নং : ২৬০৭)

সূরা ইখলাস পাঠ : আনাস রা. থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি মসজিদে কোবায় আনসার সাহাবিদের ইমামতি করতেন। তিনি প্রতি রাকাতেই সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোন কারণে প্রতি রাকাতে এ সূরাটি পাঠ কর? উত্তরে সে সাহাবি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এ সূরাটি খুব পছন্দ করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, এ সূরাটি পছন্দ করার কারণেই তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ ৩/১৪১)

সালাতের পর তাসবিহ পাঠ : জান্নাতে প্রবেশের উপায়সমূহের মধ্যে আরও একটি হলো প্রতি সালাতের পর আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করা। রাসুলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবিহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর তাহমিদ বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবির বা আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করবে আর এভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারিকাণ্ডলাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর” (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক ও তার কোনো অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম) তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ মুসলিম ১২৩৯)

ঈমানের ওপর অবিচল থাকা : আবু জর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদিন আমি রাসুল (সাঃ)-এর খেদমতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি সাদা কাপড় পরা অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিলেন, কিছুক্ষণ পর আবার গেলাম, তখনো তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার গেলাম, তখন তিনি জাগ্রত হলেন, তখন আমি তাঁর দরবারে উপবিষ্ট হলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে এবং এর ওপর মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, যদিও সে ব্যভিচার করে এবং চুরি করে? তিনি বলেন, ‘যদিও সে ব্যভিচার করে এবং চুরি করে।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, যদিও সে ব্যভিচার এবং চুরি করে? তিনি বললেন, ‘যদিও সে ব্যভিচার এবং চুরি করে, এভাবে তিনবার বললেন। তারপর চতুর্থবার বললেন, আবু জরের নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আবু জর রা. তা বলতে বলতে বের হয়ে যান।’ (মুসলিম, হাদিস নং ১৫৪)

কিছু অভ্যাসের সমষ্টি : কয়েকটি বিচ্ছিন্ন আমল রয়েছে, যেগুলো একত্র হলে নবি করিম (সাঃ) জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন- একদিন রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে রোজা রেখেছে?’ আবু বকর রা. বলেন, ‘আমি রেখেছি।’ অতঃপর রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আজ কোনো মিসকিনকে খাবার খাইয়েছ?’ আবু বকর রা. বললেন, ‘আমি।’ রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আজ কোনো জানাজায় অংশগ্রহণ করেছ?’ আবু বকর রা. বললেন, ‘আমি।’ রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আজ কোনো অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ নিয়েছ?’ আবু বকর রা. বললেন, ‘আমি।’ তখন রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তির মধ্যে একই দিনে এসব অভ্যাস পাওয়া যাবে, সে জান্নাতে যাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০২৮)

লেখক : মুহাদ্দিস, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

০১৭১১৩৩৩৯৯৬

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়