রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ০০:০০

আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের কাছে না গিয়ে বর্তমানে মানুষ ইউটিউব থেকে দ্বীন শিখছে
অনলাইন ডেস্ক

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আন্দোলনের সভাপতি এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চাঁদপুর জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বোর্ড অব গভর্নস-এর সদস্য তিনি।

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)’, ‘চ্যানেল আই’সহ বিভিন্ন টেলিভিশনে ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং ইসলামিক নানা বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাক্ষিক আয়োজন ‘ইসলামীকণ্ঠ’-এর মুখোমুখি হন।

সাক্ষাৎকার নেন মুফতি মুহাঃ আবু বকর বিন ফারুক।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন?

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান : ওয়ালাইকুমুস সালাম অ রহমাতুল্লাহি অ বারকাতুহ। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষা বিস্তার সম্পর্কে কিছু বলুন।

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান : বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। এদেশে নৈতিকতা শেখাতে হলে ধর্ম শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। মুসলমানদের জন্যে ইসলাম শিক্ষা করা ফরজ। মুসলমানের মধ্যে যখন ইসলামী আদর্শ থাকবে সে কখনও বিপদগামী হবে না। স্কুল, কলেজসহ শিক্ষার সর্বত্র ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে ইসলামের প্রচার-প্রসার হবে। এতে সঠিকভাবে ধর্মকে বোঝার সুযোগ হবে। সঠিকভাবে ধর্ম বোঝার সুযোগ হলে, সেখানে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ হবে না এবং সকল পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি দাবি জানাই, সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সারাদেশে একটি কথা শোনা যায়, সর্বদলীয় আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি। এ কথার বাস্তবতা কতটুকু মনে করেন।

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান : সর্বদলীয় আলেমদের ঐক্যবন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এজন্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদার উপর সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সহজ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বর্তমান যুবসমাজ মোবাইলে বিভিন্ন বক্তার আলোচনা শুনে এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

ড. এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান : বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউবে ধর্মীয় অনেক আলোচনা শোনার সুবিধা থাকলেও যুবসমাজ এর অপব্যবহার বেশি করে থাকে। অনেকে আবার এসব মিডিয়ায় ধর্মের নামে অধর্ম প্রচার করে। ওয়াজ ও ইসলামী আলোচনা করার জন্যে এলেম ও আমলের প্রয়োজন। অথচ এসব মিডিয়ায় যে কোনো অনুসারী তাদের মত প্রকাশ ও প্রচারের জন্যে ভিডিও তৈরি করে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব থেকে যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। কারণ, ফেসবুক, ইউটিউবে একই বিষয়ে বিভিন্ন বক্তার কয়েক রকম আলোচনা শুনে যুবসমাজ আমল করাই ছেড়ে দেয়। এসব মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মের নামে অধর্ম প্রচারও সহজ হয়। যার কারণে জঙ্গিবাদ তৈরি হওয়ার সুযোগ হয়।

আজ হতে চৌদ্দশ’ বছর পূর্ব থেকে আমরা যেভাবে ইসলাম পালন করে এসেছি, বর্তমানে এসে সে সব বিষয়ে একদল আলোচক বিশদাগার করছে। এটা জায়েজ নেই, সেটা জায়েজ নেই। নানাবিধ ভাষ্য। যা সত্যিই দুঃখজনক।

একসময় মানুষ আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের কাছে যেতো দ্বীন শেখার জন্যে। আর বর্তমানে ইউটিউব থেকে দ্বীন শিখছে। তাহলে তারা পুরোপুরি দ্বীন শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি মনে করি, জাতীয়ভাবে ওলামা বোর্ড করে কারা ওয়াজ-আলোচনা করতে পারবে এটা ঠিক করা দরকার। আল্লাহতা’য়ালা আমাদেরকে কল্যাণ দান করুক। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়