প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুরে সরিষার আবাদ ৪ হাজার ৮শ’ হেক্টর ॥ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৬ হাজার মে. টন
চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ বছর চাঁদপুরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪ হাজার ৮শ’ ৪৪ হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২শ’ ৯৭ মে. টন।
নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপক হারে এ সরিষা চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে।
মেঘনার পশ্চিম তীরে রয়েছে ১১টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পিঁয়াজ, রসুন ও ভুট্টার পরেই সরিষার স্থান। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক সরিষা চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দুঃখের বিষয়, নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।
চরাঞ্চলগুলো হলো : মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, সবজিকান্দি, জহিরাবাদ, ৬ষ্ঠখণ্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর। এই চরগুলোতে বিপুল পরিমাণে সরিষা চাষাবাদ হয়ে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৬শ’ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭শ’ ৯০ মে. টন। মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫শ’ ৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯শ’ ৫৬ মে. টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭শ’ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯শ’ ৩৬ মে. টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৮শ’ ৫৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১শ’ ১১ মে. টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ২শ’ ২৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ’ ৯০ মে. টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ৫শ’ ১৪ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ’ ৬৮ মে. টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ২শ’ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ’ ৬০ মে. টন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ২শ’ ৫০ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শ’ ২৫ মে. টন। জেলার ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও কৃষি ব্যাংকে এ বছর ৫৪ লাখ টাকা ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টা চাষাবাদে ঋণ হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করেছেন বলে ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে ।