শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

বাণী

অনলাইন ডেস্ক
বাণী

অন্ধকার হতে আলোর পথে উত্তরণের এক বিশ্বস্ত ও কার্যকর পন্থা হলো মুক্তবুদ্ধির চর্চা। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে পারলে সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন সম্ভব হবে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে দেশের মানুষের মন ও মননশীলতাকে উন্নত করে তুলতে হবে। কুসংস্কারের অন্ধকারকে তাড়াতে হলে চাই উন্নত ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির নিরন্তর চর্চা। বিতর্ক শিল্পের নিরন্তর অনুশীলন ও প্রসারের মাধ্যমে আমরা মধ্যযুগীয় আঁধারকে সহজেই দূর করতে পারি। বিতর্ক এমন একটি শিল্প যা কেবল পরমতসহিষ্ণুতা ও মুক্তবুদ্ধির জন্মই দেয় না বরং সংস্কৃতির অন্য ধারাগুলোর জন্যও সহায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্কচর্চা এমন একটি সমাজের জন্ম দেয় যে সমাজে জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোর জয়ী হয়। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, চাঁদপুরে জেলাব্যাপী প্রান্তিক পর্যায় হতে বিতর্ক শিল্পের চর্চা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। এই কর্মযজ্ঞে নিরন্তর নিজেদের ব্যাপৃত রেখেছে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজকবৃন্দ। এমন উদ্যমী বির্তক সংগঠকদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞপন করছি।

পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া বিধৌত নদীমাতৃক এ জনপদ ঐতিহাসিকভাবেই চাঁদ সওদাগরের কিংবদন্তি নিয়ে বিখ্যাত। তার উপর বিশ্বখ্যাত ইলিশ চাঁদপুরকে দিয়েছে অনন্য মর্যাদা। এর পাশাপাশি বিতর্ক চর্চা ও তার প্রসারের মাধ্যমে চাঁদপুর আবারও নিজেকে উচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। এই উত্তরণ অব্যাহত থাকুক, এই হোক আমাদের নিরন্তর কামনা।

যে কোন আয়োজনকে পূর্ণতা দেয় একটি সমৃদ্ধ প্রকাশনা। প্রতিযোগিতার নির্যাসকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে মানসম্পন্ন প্রকাশনার কোনো বিকল্প নেই। পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার যুগপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত 'বিতর্কায়ন' মুখপত্রটি আমাদের দেশের বিতর্ক শিল্প জগতে এক অনন্য সংযোজন। এটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসকে লালন করা হলো। একজন সাবেক বিতার্কিক হিসেবে এর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমি এ আয়োজনের সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

জয় বাংলা।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

রাজীব কুমার সরকার

উপসচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ সচিবালয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়