প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাণী

সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করি
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখে গেছেন। তিনি বলেছেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। বর্তমান বিশ্ববাস্তবতার নিরিখে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সোনার মানুষ বা স্মার্ট নাগরিক যাই-ই বলি না কেন--তার জন্য জ্ঞানচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আজকাল সারাবিশ্বে যোগাযোগ দক্ষতাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবা হচ্ছে। জ্ঞান ও যুক্তিনির্ভর বিতর্ক এই যোগাযোগ দক্ষতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেদিক থেকে বিতর্কের চর্চা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
নান্দনিকভাবে যুক্তি দিয়ে নিজের মত প্রকাশের দক্ষতা সবার থাকে না। ধীরে ধীরে নিজেকে সেই দক্ষতা অর্জনের জন্যে তৈরি করে নিতে হয়। বিতর্ক একই সঙ্গে সভ্যতার অন্যতম চালিকাশক্তি এবং সভ্য মানুষ তৈরির শিল্প হিসেবেও বিবেচিত হয়ে আসছে। বিতর্ক আত্মোন্নয়নের হাতিয়ারও বটে। যে বা যারা বিতর্ক চর্চায় নিজেদের ব্যাপৃত রেখেছে তাদের আত্মিক ও বৌদ্ধিক উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। জাতি বিনির্মাণে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে বিতর্ক শিল্পের চর্চা ও প্রসার জরুরি। আমাদের সাংস্কৃতিক মুক্তির যে আন্দোলন তাতে বিতর্ক শিল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতাকে যারা একটানা একযুগ ধরে টেনে নিয়ে গেছেন তারা নিঃসন্দেহে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। আমি এই কার্যক্রমের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করি।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব তথা উল্লাসে যারা উন্নীত হয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। যারা আজ বিজয়ী হবেন তাদের জন্যে আমার আগাম শুভ কামনা রইলো। বিতর্কচর্চা দীর্ঘজীবী হোক।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
মিনার মনসুর
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রাবন্ধিক এবং
পরিচালক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র।