মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

বাণী

অনলাইন ডেস্ক
বাণী

একটা জাতি কতটুকু উন্নত এবং অগ্রসর তা পরিমাপের এক উল্লেখযোগ্য মানদ- হলো তার সাংস্কৃতিক চর্চা। কোনো জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তার সমৃদ্ধির প্রধান চাবিকাঠি। জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তাতে আমাদের সাংস্কৃতিক মুক্তির দিকটিও জড়িত। জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়িত করতে হলে আগামী প্রজন্মকে শুদ্ধ ও সঠিক সাংস্কৃতিক চর্চায় নিয়োজিত রাখতে হবে এবং এর মাধ্যমে জাতিকে ভবিষ্যতের জন্যে তৈরি করতে হবে। বহুমুখী ও চৌকষ সাংস্কৃতিক চর্চার যে কয়টি ধারা আছে তার মধ্যে বিতর্ক চর্চা অন্যতম মাধ্যম। বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ যেমন বিনির্মাণ করা যায় তেমনি ভিন্নমতকে আমলে নিয়ে সামগ্রিক অগ্রগতির দিকে ধাবিত হওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই অস্থির চর্চার সময়ে বিতর্কের মতো একটি বুদ্ধিবৃত্তিক শিল্পকে যারা নিরন্তর চর্চায় ঘরে ঘরে তৃণমূলের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই এক অসাধ্য সাধন করে চলেছেন। ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে দীর্ঘ বারো বছর ধরে এই চর্চা ধরে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। সমাজ বিনির্মাণের এই নান্দনিক চর্চার সাথে আজ সংশ্লিষ্ট হতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। রাজধানীর বাইরে মফস্বলের একটি জেলায় এ রকম নিরন্তর বিতর্ক শিল্পের চর্চা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্যে সত্যিই আশা জাগানিয়া।

পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার এই বৃহৎ মঞ্চে যারা আলো ছড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও আলো ছড়াবেন, তাদের সবার জন্যে আমার নিরন্তর শুভ কামনা। যারা দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই প্রতিযোগিতাকে স্বপ্নের মতো করে সযতনে আগলে রেখে প্রতিনিয়ত এর প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন নতুন বিতার্কিক তৈরি করা ও তাদের যুক্তি-বুদ্ধির তূণে শাণ দেওয়ার এই ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞ যতদিন অব্যাহত থাকবে ততদিন বাংলাদেশের আশার প্রদীপটিও জ্বল জ্বল করে জ্যোতির্ময় হয়ে উঠবে। আমি জানতে পেরেছি, পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার যুগপূর্তি উপলক্ষে 'বিতর্কায়ন' নামে একটি প্রকাশনা আলোর মুখ দেখেছে। আমি অত্যন্ত হৃষ্টচিত্তে এই প্রকাশনার সার্থকতা কামনা করছি এবং ভবিষ্যতের কাছে এই প্রকাশনাটি আজকের কর্মযজ্ঞকে সঠিক তাৎপর্য নিয়ে উপস্থাপন করবে বলে আশা করছি। বিতর্কের জয় হোক, সংস্কৃতির জয় হোক।

জয় বাংলা।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

খলিল আহমদ

সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়