প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিতর্কে অতিরিক্ত বক্তা হিসেবে যাত্রা, তারপর বারবার শ্রেষ্ঠ বক্তা হচ্ছে রিতমণি
শাহরাস্তিতে বিতর্কের বিস্ময় বালিকা হচ্ছে রিউনা তাহরিন (রিতমণি)। ২০১৯ সালে একাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে যে শাহরাস্তি ন্যাশনাল ভিক্টোরী স্কুল জেলা পর্যায়ে রানার্স আপ হয়, রিতমণি ছিলো সে স্কুলের বিতর্ক দলের সদস্য। অতিরিক্ত বক্তা হিসেবে এই বিতর্ক দলে প্রথমে তার ঠাঁই মিললেও প্রান্তিক, অভিযাত্রা, অগ্রযাত্রা, জয়যাত্রা ও জয়ধ্বনি পর্বে অর্থাৎ উপজেলা ও আন্তঃউপজেলা পর্বের বাছাই, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি-ফাইনাল পর্বে সে বারবার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়ে পুরস্কৃত হয়েছে। কেবল উল্লাস (ফাইনাল) পর্বে সে এমন পুরস্কার পায়নি।
করোনার কারণে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক বন্ধ ছিলো তিন বছরের অধিক সময়। ২০২৩ সালের শেষ কোয়ার্টারে দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হলে রিতমণিকে দেখা যায় আবার বিতর্কে। তবে ন্যাশনাল ভিক্টোরী স্কুলের প্রাথমিক শাখার ছাত্রী হিসেবে নয়, মেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে। এবারও সে একের পর শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়ে চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার সে অভিযাত্রা-২ পর্বে অংশ নিতে আসলে 'বিতর্কায়নে'র সাথে তার আলাপচারিতা হয়। সে আল আমিন একাডেমীর সাথে লড়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় এবং তার দল জয়লাভ করে।
রিতমণির বাবা শাহরাস্তির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ. এস. এম. রাসেল মজুমদার এবং মা উম্মে আইমান মাহবুবা মেহের ডিগ্রি কলেজের ইংরেজির প্রভাষক।
‘বিতর্ক কি শুধু জেতার জন্যে করো’ এমন প্রশ্নে সে ‘বিতর্কায়ন’কে বলে, আমার দল যখন ২০১৯ সালে
রানার্স আপ হয়েছিল, তখন অনেকেই বলেছিলো, তুমি কি আর বিতর্ক করবে? জবাবে আমি বলেছিলাম, যতোদিন পারি বিতর্ক করবো। কেননা এটা আমার ভালোলাগা। বিতর্ক থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি এবারো শিখতে এসেছি।
রিতমণির প্রতিটি বিতর্কে তার বাবা রাসেল মজুমদার উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন। গত শনিবারও তিনি উপস্থিত ছিলেন বিতর্কের ভেন্যু চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে। ‘বিতর্কের জন্যে আপনার এতো অনুরাগ কেন’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত আমার বড়ো মেয়ে রিতমণির আগ্রহের কারণে। এছাড়া অন্য কারণগুলো হলো : বিতর্কে আসলে অনেক কিছু শেখা যায়, বক্তব্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, নূতন নূতন মানুষের সাথে পরিচয় ও যোগাযোগ নিশ্চিত হয়। সর্বোপরি বিতর্কের কারণে ভালো-মন্দ মানুষ চেনার সক্ষমতা তৈরি হয়।
রাসেল চান, তার মেয়ে রিতমণি একজন ভালো মানুষ যাতে হয় এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে। রিতমণি বিতর্ক ছাড়াও হামদ, নাত, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে। ২০২৩ সালে সে হয়েছে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী। তাকে তার মা সকল সৃজনশীল কাজে অনেক সহযোগিতা করে বলে তার বাবা রাসেল ‘বিতর্কায়ন’কে জানান।