শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে চাঁদপুর সদর উপজেলা সিকেডিএফ সভাপতি

বিতর্ক অঙ্গনে আমাদের সরব পদচারণার পেছনে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কের ভূমিকা অনস্বীকার্য

------------------------------------------------------------------মাসুদুর রহমান

হাছান খান মিশু ॥
বিতর্ক অঙ্গনে আমাদের সরব পদচারণার পেছনে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কের  ভূমিকা অনস্বীকার্য

চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন (সিকেডিএফ) চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান ‘বিতর্কায়নে’র সাথে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটা বলার কমতি রাখে না যে, বিতর্ক অঙ্গনে আজ আমাদের যে সরব পদচারণা, এর পেছনে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি চাঁদপুর শহরের পূর্বদিকের প্রান্তিক এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বাবুরহাট হাই স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এবং বিতর্ক অন্তঃপ্রাণ ব্যক্তি। তাঁর কঠোর শ্রম ও নিষ্ঠার ফলে, সর্বোপরি অধ্যক্ষ মহোদয়ের সহযোগিতা ও সর্বাত্মক আনুকুল্যে তাঁর বিদ্যালয়ের বিতর্ক দল শুধু নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্যে নয়, পুরো জেলার জন্যে সুনাম বয়ে এনেছে বারবার। তিনি 'বিতর্কায়ন'কে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, প্রশ্নোত্তর আকারে নিচে তা হুবহু পত্রস্থ করা হলো :--

বিতর্কায়ন : ২০০৯ সালে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হবার পর এই প্রতিযোগিতা ছাড়াও আপনার বিদ্যালয়ের বিতর্ক দলের উল্লেখযোগ্য অর্জন কী কী?

মাসুদুর রহমান : ২০০৯ সালে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হলেও প্রথম দিকে বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেনি। আমার যতটুকু মনে পড়ে, সম্ভবত ২০১৪ সালে এ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং দুবার এ প্রতিযোগিতায় জেলা চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও আমার বিদ্যালয়ের আরো অনেক অর্জন রয়েছে। যেমন : আমরা সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্কে ৩ বার জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, ঢাকা অঙ্গনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছি; অযাচক আশ্রম আয়োজিত চরিত্র গঠন আন্দোলন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলা চ্যাম্পিয়ন, সনাক-টিআইবি আয়োজিত তথ্য অধিকার দিবসের বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম আলো-পুষ্টি বিতর্কে জেলায় রানার্সআপ, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদের ১৫ বছর পূর্তিতে আয়োজিত বিতর্কে জেলা চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত শিশুদের মৌসুমী প্রতিযোগিতায় বিতর্ক বিভাগে দুবার জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন স্কুল বিতর্কে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনে ইংরেজি ও বাংলা বিতর্কে আমরা দেশের অনেক বিখ্যাত স্কুলকে পরাজিত করেছি। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমাদের একজন বিতার্কিক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছে। আরেকজন বিতার্কিক উম্মে হাবিবা মুমু ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বারোয়ারী বিতর্কে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অসামান্য গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়াও আরো অনেক সাফল্য রয়েছে, যা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

বিতর্কায়ন : আপনার দলের বর্তমান ও সাবেক কৃতী বিতার্কিকদের নাম বলুন।

মাসুদুর রহমান : আমার বর্তমান দলটি খুব বেশি ভালো নয়, তারপরও আস্থা নিয়ে আমি আশাবাদী। এ দলের বিতার্কিকরা হলো : ইশরাত রহমান ইফা, ফাহিমা সরকার, ফারজানা আক্তার মীম, স্নেহা দাস, হাবিবা ইসলাম নীহা, আঃ কাদির প্রমুখ। তবে বিগত বছরগুলোতে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কৃতী বিতার্কিক বেরিয়ে এসেছে, যাদের তালিকাটি আসলেই অনেক দীর্ঘ। কাকে ছেড়ে কার নাম বলবো তা নিয়ে সত্যিই দ্বিধায় পড়ে গেছি। তবে যাদের নাম না বললেই নয়, তারা হলো : জান্নাতুল ফেরদৌস আইভী, জুরাইরা মেহজাবীন অশিন, শামীমা আলম সূচনা, সাদিয়া আফ্রিন মারিয়া, নাজনীন সুলতানা নীহা, মাহমুদা আক্তার পুষ্প, তাসনিম তামিল তূর্ণা, সানজিদা আক্তার নীলা, শামীমা আক্তার, সাজিদা খানম সেতুমনি, উম্মে হাবিবা মুমু, নিহার রঞ্জন রাহুল ও আয়েশা আক্তার।

বিতর্কায়ন : পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক চাঁদপুরে না চললে আপনি ও আপনার বিদ্যালয় বিতর্কে এতোটা পথ পাড়ি দিতে প্রণোদনা পেতো বলে মনে করেন?

মাসুদুর রহমান : আসলে আমার স্কুল দলের বিতর্ক যাত্রার সূচনা ঘটে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। এর আগে অন্য প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতো কি না সে তথ্য আমার কাছে নেই। অতএব বলার কমতি রাখে না যে, বিতর্কের অঙ্গনে আজ আমাদের যে সরব পদচারণা, এর পেছনে এ প্রতিযোগিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এজন্যে আমি এ প্রতিযোগিতার কাছে ঋণী এবং দায়বদ্ধ।

বিতর্কায়ন : করোনার কারণে 'পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কে'র যুগপূর্তি ২০২০ সালে পালন না করে ২০২৩-২৪ সালে পালন করছে। আপনার অভিমত কী?

মাসুদুর রহমান : আসলে আমার সীমিত জ্ঞানে আমি যতোটুকু জানি, বাংলাদেশের কোনো জেলায়ই কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা টানা দশ বছর যাবৎ আয়োজিত হয়নি। ব্যতিক্রম পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা। করোনার কারণে পৃথিবীতে কতো ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। ফলে এর প্রতিযোগিতাটিও সাময়িক সময়ের জন্যে বন্ধ রাখতে হয়েছে এবং বন্ধ রাখা প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু এ প্রতিযোগিতা তিন বছর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হবে--এটা অনেকেই কল্পনা করেনি। কিন্তু কাজী শাহাদাত স্যারের মতো হাল না ছাড়ার মানসিকতাসম্পন্ন একজন দৃঢ়চেতা মানুষের কারণে এ প্রতিযোগিতা ঠিকই আবার তার যাত্রা শুরু করেছে। অতএব এ নবযাত্রাকে সাধুবাদ জানানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

বিতর্কায়ন : বিতার্কিকদের পরামর্শ দিয়ে কিছু বলুন।

মাসুদুর রহমান : বিতর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শিক্ষার উৎকৃষ্ট মাধ্যম। বিতর্ক একজনকে মননশীল দেশপ্রেমিক মানুষ হতে সহায়তা করে। অতএব এই লক্ষ্যে ইতিবাচক ও মানসিকতা নিয়েই যেন একজন বিতার্কিক বিতর্ক করতে আসে। কারো মাথায় যেন বিতর্ক করে স্টার হওয়া, কিংবা ভাইরাল হওয়ার হীন মানসিকতা না থাকে-- বিতার্কিকদের প্রতি এটাই আমার পরামর্শ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়