প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
একজন ভালো বিতার্কিকের অধ্যয়ন, করণীয় ও বর্জনীয়
যারা নতুন বিতর্ক চর্চা শুরু করেছেন বা করতে চান তাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই উপযুক্ত দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় অনেক সময় বুঝে উঠেন না বিতর্কে কীভাবে বক্তব্য প্রদান করতে হবে। একজন বিতার্কিকের বক্তব্য অবশ্যই তথ্যবহুল হওয়াটা অনেক জরুরি। আর এজন্যে আপনাকে নিয়মিত সাধারণ জ্ঞানের বইগুলো পড়তে হবে। দেশ ও দেশের বাইরের সংবাদ সংগ্রহ বা শোনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। তথ্যগুলো অবশ্যই সত্য ও সঠিক হতে হবে। ভুল তথ্য দেয়া যাবে না।
বিতর্কে জয়ের চেয়ে তথ্যবহুল উপস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। বিতর্কে জয়লাভ করলেই কি তিনি ভালো বিতার্কিক, নাকি যিনি যুক্তি দিয়ে ভালো বিতর্ক করেন তিনি? নিয়মিত অনুশীলন ও বিতর্কের কিছু কৌশল রপ্ত করার মাধ্যমে ভালো বিতার্কিক হওয়া সম্ভব।
বিতার্কিকদের কথা বলার জড়তা দূর করে সুন্দর উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গির মাধ্যমে যুক্তিবোধসম্পন্ন চৌকস ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ গঠনে বিতর্ক অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম পারবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
একজন ভালো বিতার্কিক হতে হলে অবশ্যই নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। বিতর্ক মানেই যুক্তি। যুক্তি তখনই সুন্দর ও সার্থক হবে, যখন সেখানে জ্ঞান থাকবে। আর জ্ঞানের পূর্ব শর্ত পড়ালেখা। কম পড়ুয়া অনেক বিতার্কিককে বিতর্কে জিততে দেখলেও, যার পড়াশোনার গভীরতা বেশি, পরবর্তী সময়ে তিনি ভালো বিতার্কিকের স্বীকৃতি পাননি--তেমনটা সচারাচর দেখা যায় না। যে বিতার্কিক তথ্য-উপাত্ত, পরিসংখ্যানের ব্যবহার, উক্তি, উদ্ধৃতির ব্যবহার করে তথ্যবহুল যুক্তি দিতে পারবেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই ভালো বিতার্কিক। সমসাময়িক সব বিষয়ে জ্ঞান থাকাটাও অত্যাবশ্যক। চোখের সামনে যা পাওয়া যাবে, সব পড়ে ফেলতে হবে।
সেরা বিতার্কিক সবাই একেকজন কণ্ঠের জাদুকর। বিতার্কিক প্রমিত উচ্চারণ ও উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেন। বাচনিক উৎকর্ষতা হলো উচ্চারণের শুদ্ধতা, বাচনভঙ্গির কুশলতা ও কণ্ঠস্বরের কারুকাজ। উচ্চারণ ও উপস্থাপনার পূর্ণ দক্ষতা ছাড়া সেরা বিতার্কিক হওয়া সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে, স্পষ্ট বলতে হবে।
একজন ভালো বক্তা ও ভালো বিতার্কিক হতে হলে ভালো শ্রোতা হতে হবে। প্রতিপক্ষের কোথায় ভুল আছে, সেটি ধরিয়ে দিতে পারলে অর্ধেক বিতর্ক জেতা যায়।
অবমাননাকর, পক্ষপাতমূলক ও অশালীন শব্দ, সাধু ও চলিত ভাষায় কথা বলা, বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণ করা যাবে না, খুব বেশি নড়াচড়া, আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা, একই স্বরে কথা বলা যাবে না।
লেখক : রোটাঃ সাংবাদিক রেদওয়ান আহমেদ জাকির, মতলব ব্যুরো ইনচার্জ ও সহ-সম্পাদক (অন-লাইন), দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ ও সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।