প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রধান অতিথির বাণী
কোনো জাতির সবচেয়ে বড়ো বিনিয়োগ হলো তার প্রজন্মের বিনির্মাণ। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যে জাতি তার প্রজন্মকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারে না, সে জাতির পক্ষে আগামী দিনের চড়াই-উতরাই মোকাবেলা করা অসম্ভব। প্রজন্মকে যেমন যুগোপযোগী শিক্ষা ও নৈতিকতায় গড়ে তুলতে হবে, তেমনি তার মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক যুক্তির চর্চাও গড়ে তুলতে হবে। আজকের পৃথিবী হলো যোগাযোগের পৃথিবী। যে বা যারা যোগাযোগ স্থাপনে যত বেশি দক্ষ, সে বা তারা তত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ। যোগাযোগ স্থাপনের বড় একটি মাধ্যম হলো ভাষা। ভাষাকে ব্যবহার করে যে স্বল্প সময়ে যৌক্তিকভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে, জগত তাকেই বরমাল্য দেয়।
আজকের প্রযুক্তিবান্ধব সময়ে প্রজন্মকে সকল বিষয়ে গ্রন্থিত করে গড়ে তুলতে হলে বিতর্ক চর্চার কোনো বিকল্প নেই। বিতর্ক কেবল নিজের যুক্তি তুলে ধরতে সহযোগিতা করে না, বরং বিতর্কের মাধ্যমে প্রজন্মকে আমরা পরমতসহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে পারি। আজকের পৃথিবীতে পরমতসহিষ্ণুতার বড়ো অভাব। এ কারণেই পেশি আর অস্ত্রের ঝনঝনানি বেশি। অথচ যুক্তির শক্তির চেয়ে অস্ত্রের শক্তি ঢের বেশি দুর্বল। কোনো রক্তপাত না ঘটিয়ে, কোনো প্রাণহানি না করে নিজেকে দশের মাঝে মেলে ধরতে হলে যুক্তি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সেই যুক্তিকে প্রদর্শনযোগ্য করে অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে হলে বিতর্ক শিল্পের চর্চা অপরিহার্য।
বিতর্ক শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন গত দুহাজার ঊনিশ সালে চালু করেছিলো চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমি। করোনার কারণে কয়ক বছর বিরতি দিয়ে আবারও নবোদ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে এর পাঠদান কর্মসূচি। আমি এই মহতী কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি এবং ভবিষ্যতে এই চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
চাঁদপুরে বিতর্ক আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক, চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমি সফলতা অর্জন করুক।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী
চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, চাঁদপুর।