বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

বিতর্ক হলো যুক্তি ও বিশেষ তর্কের চর্চা
রোটাঃ রেদওয়ান আহমেদ জাকির

বিতর্ক হচ্ছে বিশেষ তর্কের খেলা ও যুক্তির চর্চা করা। একটি নির্ধারিত বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করাই বিতর্কের মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে যুক্তির আয়নার নিজের ভাবনাগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়। এর ফলে বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান। একটি বিষয়কে বৃত্তের বাইরে গিয়ে কীভাবে আর কতোভাবে ভাবা যায়, তা একজন বিতার্কিকের থেকে ভালো কেউ বলতে পারবে না।

সাধারণত বিতর্কে প্রতি দলে তিনজন করে বক্তা থাকেন। তিনজন বক্তার দলীয় ভূমিকাও আলাদা হয়। প্রথম বক্তা বিতর্কের বিষয়টির প্রধান প্রপঞ্চগুলোর ব্যাখ্যা ও নিজেদের সপক্ষে প্রধান যুক্তিগুলো উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় বক্তা প্রতিপক্ষের যুক্তিগুলো খণ্ডনের পাশাপাশি নিজেদের যুক্তিগুলো ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট উদাহরণ প্রদান করেন। শেষ বক্তা প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডনের পাশাপাশি দুই পক্ষের সার্বিক বিতর্কের হেড-টু-হেড একটি তুলনামূলক আলোচনা করে দেখিয়ে দিয়ে যান কী কারণে তাদের পক্ষের যুক্তিগুলো অধিকতর জোরালো ছিলো এবং কোন্ ভুলগুলোর কারণে প্রতিপক্ষের যুক্তিগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

বিতার্কিক হতে হলে বিষয়ের ওপর সুস্পষ্টজ্ঞান ও সময় জ্ঞান থাকা জরুরি। মনে রাখবেন, একজন ভালো বিতার্কিককে সবদিকে সমান নজর দিতে হয়। ধারালো যুক্তির পাশাপাশি সমন্বয় না করলে যুক্তিগুলো তখন আর শুনতে ভালো শোনায় না। একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রতিপক্ষের যুক্তিগুলোর সাথে মিলিয়ে নিজের যুক্তির দিকে, তুলনামূলক জায়গা থেকে দুই দলের পার্থক্য দেখালে সেটা অধিকতর গ্রহণযোগ্য হয় বিচারকদের কাছে।

উপস্থাপনা হোক ভালো। সুন্দরভাবে কথা বলতে জানলে সবাই আকৃষ্ট হবেই। তার মানে এই না যে, আপনার কণ্ঠ অনেক মিহি আর সুরেলা হতে হবে। এখানে উপস্থাপনা বলতে আপনার অভিব্যক্তি, কণ্ঠের জোর ও আত্মবিশ্বাসকে বোঝানো হয়েছে। যুক্তিতর্কের সময় বক্তার উপস্থাপনা ও বাচনভঙ্গি যেন সাবলীল ও জোরালো হয়। পুরো বক্তব্য হয়তো মুখস্থ রেখে বলা সম্ভব নয়। সেজন্যে চাইলে একটি ছোট কাগজে মূল পয়েন্টগুলো লিখে সেটি হাতে রেখে কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু পুরো সময়জুড়ে স্ক্রিপ্ট দেখে কথা বলা, কথার মাঝে আটকে যাওয়া, যথাযথ আই-কন্টাক্ট না রাখা-এ জিনিসগুলো উপস্থাপনার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। উপস্থাপন যথাযথ ও আই-কন্টাক্টসহ আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।

বিতর্কের শহর চাঁদপুর, পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক বিতর্কের ধারা অব্যাহত থাকুক।

রোটাঃ রেদওয়ান আহমেদ জাকির : সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, মতলব দক্ষিণ;

মতলব ব্যুরো ইনচার্জ ও সহ-সম্পাদক (অনলাইন), দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়