প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
স্কুল ও কলেজের পড়া নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। তারপরও শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কাজ থেকে বিরত নেই। কারো কাছে সৃজনশীল কাজের মধ্যে অন্যতম বিতর্ক।
বিতর্ক একটি শিল্প। সৌন্দর্যমণ্ডিত, পরিশীলিত, যুক্তিপূর্ণ তর্কই হচ্ছে বিতর্ক। সুন্দরভাবে, গুছিয়ে কথা বলা একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। এই যোগ্যতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম বিতর্কচর্চা। বিতর্ক তাই খুব উঁচুমাপের শিল্প। শুধু শিল্প নয়, জ্ঞানচর্চারও একটি অসাধারণ মাধ্যম বিতর্ক।
মুক্তচিন্তা ও বাক্স্বাধীনতা পরিপূরক। এর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে গণতন্ত্রের চেতনা। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্যে মুক্তবুদ্ধি চর্চার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার বিকল্প নেই। সে পরিবেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বিতর্ক। শুধু মুক্তবুদ্ধি চর্চা নয়, পূর্ণাঙ্গ শিক্ষালাভের ক্ষেত্রেও বিতর্কের ভূমিকা পরিপূরক। মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতা পরিপূরক। এর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে গণতন্ত্রের চেতনা। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্যে মুক্তবুদ্ধি চর্চার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার বিকল্প নেই। সে পরিবেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বিতর্ক। শুধু মুক্তবুদ্ধি চর্চা নয়, পূর্ণাঙ্গ শিক্ষালাভের ক্ষেত্রেও বিতর্কের ভূমিকা পরিপূরক।
বিশ্বখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটলের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। তাঁদের জন্ম প্রাচীন গ্রিসে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা বলে স্বীকৃত, সেই গণতন্ত্রেরও জন্মস্থান গ্রিস। গণতন্ত্রের সঙ্গে বিতর্কের সম্পর্ক খুব নিবিড়। বিতর্কচর্চার মধ্য দিয়ে অন্যের কথা, যুক্তি শোনার মানসিকতা তৈরি হয়। শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতার মানসিকতা গড়ে ওঠে। আধুনিক সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। আমাদের সংবিধানেও বাক্-স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিতর্কে নিজেদের দীক্ষিত করতে পারলে নিজের ভেতরে জন্ম নেবে জ্ঞানতৃষ্ণা, যুক্তিবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সর্বোপরি গণতান্ত্রিক চেতনা। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যে মানুষ নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে, সে মানুষই আলোকিত মানুষ। এর জন্যে বিতর্ক অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে।
পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়ার বাইরে বিশাল জগৎ সম্পর্কে জানার জন্যে সৃষ্টিশীল বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যুক্তিসঙ্গত চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিতর্কের সঙ্গে গণতন্ত্র সুসংহতকরণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিতর্কের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শেখে। ধৈর্য ধারণের শিক্ষা পায়। গণতন্ত্র ও পরমতসহিষ্ণুতার কথা বলে।
বিতার্কিক একজন খুদে রেনেসাঁ মানব। মানব সভ্যতার আলোকায়নের যে সুদীর্ঘ যাত্রা, সেই যাত্রায় আজ নেতৃত্ব দিতে হবে বিতার্কিককে। আমরা প্রায়ই শুনি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদের গুরুত্বের কথা। যুক্তিস্নাত সেই রাঙ্গা প্রভাতটি বিতার্কিকরাই এনে দিতে পারেন।
মাহবুব আলম লাভলু : সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর কণ্ঠ বির্তক ফাউন্ডেশন ও ব্যুরো ইনচার্জ, মতলব উত্তর।