প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
বিতর্ক প্রতিযোগিতা আমাদের ছেলে-মেয়েদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে বিকশিত করে। সেই সাথে একজন শিক্ষার্থীকে নেতৃত্বদানের যোগ্যতা তৈরি করতে সাহায্য করে। আমার দৃষ্টিতে বিতর্ক হচ্ছে তর্কের খেলা। একটি নির্ধারিত বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করাই বিতর্কের মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে যুক্তির আয়নায় নিজের ভাবনাগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়। এর ফলে বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান। একটি বিষয়কে বৃত্তের বাইরে গিয়ে কীভাবে আর কতভাবে ভাবা যায়, তা একজন বিতার্কিকের থেকে ভালো কেউ বলতে পারবে না।
বিগত দিনগুলোতে চাঁদপুর কণ্ঠ কর্তৃক আয়োজিত পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বির্তক প্রতিযোগিতার সারথি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা যেভাবে চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় বির্তাকিকের জন্ম দিয়ে আসছে, তা অন্য আর কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনকে করতে দেখিনি। টানা ১১টি আসর সফলভাবে সমাপ্তির পর বৈশি^ক করোনার কারণে গত ৩ বছর বন্ধ থাকার পর গত শনিবার কচুয়া উপজেলার মাধ্যমে দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আসর শুরু হয়েছে। যেটি শেষ হবে ২০২৪ সালে। ৮ উপজেলা থেকে বাছাইকৃত বিতার্কিকরা পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে ‘প্রান্তিক, অভিযাত্রা, অগ্রযাত্রা, জয়যাত্রা, জয়ধ্বনি ও উল্লাস’ পর্ব অতিক্রম করবে। এভাবে প্রত্যেক বছরই চাঁদপুরের সব উপজেলাতে বিতর্কের প্রান্তিক পর্ব সম্পন্নের পর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে যখন ফাইনাল (উল্লাস) পর্বে পৌঁছে তখন একেবারেই সঠিক দলটি ফাইনালে পৌঁছবে।
আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের ছেলে-মেয়েদের মেধা বিকাশে এই প্রতিযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে। ভবিষ্যতে তাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে, জীবনের বৈতরণী পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহায়ক অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে। সবশেষে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বির্তক প্রতিযোগিতার আসর সফলভাবে সমাপ্তির জন্য সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন : দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, ব্যুরো ইনচার্জ, কচুয়া উপজেলা।