প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
গণতন্ত্র বিকাশে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। সেক্ষেত্রে বিতর্ক চর্চা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যা তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখে। তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। যুক্তিবিহীন সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে। এক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে বিতর্ক চর্চা।
বিতর্ক চর্চা অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। উন্নয়নের সঠিক পথে অগ্রগামী হতে সহায়তা করে। তাই রাজনীতি, সমাজনীতি কিংবা পরিবেশের উন্নয়নে বিতর্ক চর্চার অবদান অনস্বীকার্য। তরুণ প্রজন্ম যারা আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে তারা যেন বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে পারে সে লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতো সৃজনশীল শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে।
৭ অক্টোবর থেকে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো। চাঁদপুর জেলার বিতার্কিকরা এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তাদের শাণিত মেধা ও নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখবে। প্রতিযোগিতাটি কোনো রাজনীতিক দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এই প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, ভোটের অধিকার, ন্যায্যতা ও ন্যায় বিচার, জঙ্গিবাদ, সুশাসন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা নিয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় স্থান দেয়া হয়।
বিতর্কের মাধ্যমে একেকজন বিতার্কিক স্মার্ট প্রজন্মের সদস্য হয়ে গড়ে উঠেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিতার্কিকরা তথ্যবহুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে জ্ঞান ও মেধার বিকাশ ঘটে। বিতার্কিকরা সময়, নিয়মানুবর্তিতা শিখে ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগাতে পারে।
তরুণরা বিতর্কের মধ্য দিয়ে নতুন কিছু শিখবে, যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং তাদের চাকরি তথা কর্মজীবনেও সাফল্য বয়ে আনবে। আজকে যেসব তরুণ বিপথগামী, তারা এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সঠিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ভালো বক্তা হওয়ার প্রধান পূর্ব শর্ত হলো ভালো শ্রোতা হওয়া। বিতর্কে জেতার অর্ধেক নির্ভর করে নিজ দলের যুক্তি প্রমাণের উপর, আর বাকি অর্ধেক নির্ভর করে প্রতিপক্ষের ভুলগুলো ধরতে পারার উপর। প্রতিপক্ষের বক্তার বিতর্কের সময় কেউ যদি আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বিগ ব্যাং থিওরি নিয়ে ভাবতে থাকে, তবে সে অপরপক্ষের বক্তব্যের ভুল দিকগুলো আর চিহ্নিত করতে পারবে না। সুতরাং প্রত্যকের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজের বিতর্ক সাজাতে হবে।
রোটাঃ রেদওয়ান আহমেদ জাকির : মতলব ব্যুরো ইনচার্জ ও সহ-সম্পাদক (অনলাইন), দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ
ও সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।