প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বিতর্ক মানে একটি আন্দোলন
বিতর্ক মানে মাথা উঁচু করে অধিকারের কথা বলা।
বিতর্ক মানে আমি এগিয়েছি
এবং সবাইকে এগিয়ে দেয়া
বিতর্ক মানে সাহিত্যের সুরে দাবি আদায়ের ভাষা।
বিতর্ক মানে মুক্তমঞ্চে
আমিই যেনো রাজা
বিতর্ক মানেই শিল্প
আর শিল্পই হলো
এগিয়ে চলার পাঞ্জেরী।
সেই ছোট বেলা থেকেই ছিলাম বিতর্ক নামক আন্দোলনের এক খুদে যোদ্ধা। প্রাথমিক স্কুলেই বিতর্কের হাতেখড়ি, পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এসে একজন ভালো বিতার্কিক হিসেবে একটা স্থান অর্জন করি।
বিতর্কে আমার প্রাপ্তি : বিতর্ক করে সত্য ও ন্যায়ের চর্চা এবং নীতি-নৈতিকতার চর্চা শিখেছি।
নিজের মতকে যুক্তি দ্বারা প্রকাশ, পরমতসহিষ্ণুতা, মুক্তচিন্তার বিকাশ, সঠিক শিষ্টাচার, জ্ঞান চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে পেরেছি।
প্রবাদ আছে, ‘কথার গুণে বিশ্বজয়, কথার গুণে বিশ্বলয়’। একজন সফল বিতার্কিকই সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তার বাচিক শিষ্টাচারের মাধ্যমে। বিতর্ক একটি তাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠান, আর এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সুদীর্ঘ বছর ধরেই নিজেকে একজন যোদ্ধা হিসেবে নিয়োজিত রেখেছি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় বর্তমানে বিতর্কে বিতার্কিকের মঞ্চ থেকে বিচারকের মঞ্চে এসে উপনীত হয়েছি। শাহরাস্তি উপজেলার দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্কে ক’বছর ধরেই বিচারকের দায়িত্বে আছি। বিতর্ক-জীবনের সবচেয়ে কাছের আইডল ছিলেন ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া স্যার। আর যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন (সিকেডিএফ)। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য কামনা করি এবং চাঁদপুর জেলাতে বিতর্ক আন্দোলনের পথ প্রশস্ত হবে-এটিই মোদের কাম্য।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, শাহরাস্তি, চাঁদপুর।