শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আর নয় অলসতা
আহমাদ মুত্তাকী

আজ নয় কাল, আগামীকাল করবো, পরের বছর থেকে করবো, আরো পরে করবো, না এখন নয় -এমন অনেক বাক্য আমরা প্রতিদিন ব্যয় করি কথা বলতে। কোনো কিছু শুরু করতে আমাদের বড়ই অলসতা। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষই হয়না আমাদের জন্য। সময় তার আপন গতিতে বয়ে চলে। কিন্তু আমাদের মনে থাকে না ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না’। আমাদের জন্য এই কাজটা করাই বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, সময়ের কাজ সময়ে করা। তা ধরলাম, সময়ের সঙ্গে তাল মেলানো বেশ কঠিন একটা ব্যপার। সবার পক্ষে তা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু একটা নতুন কিছু করার যে উদ্যমতা হঠাৎ হয়, তাকে আমরা হেলায় হারাই-এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। যেমন : ধরো তোমার আজ মনে হলো একটা রুটিন বানানো দরকার। প্রতিদিনের পাঠ্য সময় ধরে আর সাতদিনে তা ভাগ করে পড়লে পড়াশোনায় একটা ভালো মাত্রা যোগ হয়। সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পড়ায় সময়ের তুলনায় অনেক ভালো পড়াও হয়।

তো যে ভাবা, সেই একটা রুটিন বানাতে লেগে গেলে। কিন্তু ঐ মুহূর্তেই আবার মনে হলো, আচ্ছা এই মাসটা বা বছরটায় তো পড়লাম রুটিন ছাড়াই ; আরো কিছুদিন পড়ি। একবারে পরের মাস অথবা পরের বছর থেকে রুটিন মাফিক পড়বো। এই অলসতাটা তোমার কি ক্ষতি করলো জানো? তোমার কর্মক্ষমতায় একটা ভাটা ফেললো। ফলে বড় ধরনের পরিবর্তনের কিংবা তার পসিবিলিটি বা সম্ভাবনার ক্ষেত্রে বাঁধা তৈরি হয়ে গেলো। পরের মাস বা বছর ঠিকই আসবে কিন্তু ঐ প্রেরণা বা উদ্যমতা নাও আসতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনোটাই আর ফিরে আসে না।

তোমরা আবার ভুল বুঝে বসো না। আমি বলছি না একটা বাধা ধরা ছকের আলোকে তোমায় আগাতে হবে। হ্যাঁ, একটা শৃঙ্খলা তোমার জীবনে অবশ্যই থাকতে হবে৷ অগোছালো জীবন-যাপন কখনো সফলতার মুখ দেখে না, দেখাতে পারেও না কখনো। তবে আমি তা নিয়ে কথা বলছি না। বলছি, কোনো কিছু শুরু করায় বা কোথাও ইনপুট দিলে যদি ভালো আউটপুট পেতে পারো বা তার সামান্য সম্ভাবনাও থাকে তবে তোমার উচিত সেটা করা। কারণ পরবর্তীতে এই সম্ভাবনাটা আর নাও থাকতে পারে। তবে মনে রাখবে, তোমার পদক্ষেপটি যেন হয় সুষ্ঠু তথা সবচেয়ে ভালোটা। কোনোভাবেই তাড়াহুড়ো করে কিংবা কোনো কিছু না ভেবে, যাচাই করেই কিছুর পরিকল্পনা করা বা কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলো না। এটা ভুল আর ভুল কখনো চূড়ান্ত ফলাফলকে ফলপ্রসূ করতে পারে না।

লেখক পাওলো কোয়েলহোর কথা মতো চোখ খোলা রাখা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু চোখ খোলা রাখলে আর তোমার প্রয়োজন পূরণ হয়ে গেলো, বিষয়টা মোটেও এমন কিছু না। চোখ খোলা রাখাটা হচ্ছে একটা পূর্ব প্রস্তুতির মতো। আগে থেকে একটা ভালো প্রস্তুতি থাকলে তো সকল কাজেই ভালো কিছু পাওয়া যায়; তেমনই তুমি চোখ খোলা রাখলে (রুপক অর্থে) তথা তোমার প্রয়োজন, সামর্থ্য, যোগ্যতা, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থা এসব সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান রাখলে তোমার জন্য অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে। যেমন : তোমার জন্য একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যাবে সহজ, তোমার করা কাজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে, নিজের প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যাবে অনেক বেশি। এছাড়াও যেকোনো সমস্যার সমাধানে তোমার পদক্ষেপে যদি কোনো ক্ষতির সম্ভবনাও থেকে থাকে তবে অনেকাংশে কমে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়