শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বিদায় রজনী
সুমাইয়া শিমু

জীবন অনেক সুন্দর, যদি তা সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়। আমাদের প্রতিটা মানুষের জীবনেই হাসি, কান্না আনন্দ, আবেগ, অনুভূতি রয়েছে। আমারা প্রতিটা মানুষেই একটু সুখের জন্য যখন যেটা মনে চায় সেটাই করে বেড়াই, জীবনকে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে হলে সর্বপ্রথম স্কুল পাড়ি দিতে হবে। বাংলাদেশে শতকরা ৯০% শিশুই পড়াশোনা করে। আর এই ৯০% শিশুই তাদের সর্বপ্রথম জীবনের ধারা শিখতে পারে স্কুল জীবন থেকে। স্কুল জীবন শিশুদের এমন একটি জীবন যে জীবনের থেকে তারা জীবনের সঠিক পথ খোঁজে পায়। আমরা প্রায় সকলেই একমত যে ছাত্রজীবন বা স্কুল লাইফ-ই হল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। সাংসারিক জটিলতাও জীবনের বাস্তবিক খুঁটিনাটি থেকে চিন্তামুক্ত এই ছাত্রজীবন। স্নিগ্ধ ও স্বচ্ছ বাতাসের মতোই নির্মল এই ছাত্রজীবন। স্কুল লাইফ বা ছাত্রজীবনে কাটানো সময়গুলো তাই প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই সব থেকে আনন্দঘন মুহূর্ত। স্কুল বা বিদ্যালয় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত।

একেবারে অপরিপক্ক বয়স থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্কুল আমাদের জীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। তাই স্কুলকে বলা হয় আমাদের দ্বিতীয় গৃহ। যে স্কুল আমাদের ছোট থেকে বড় করেছে, প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে থেকেছে, সেই স্কুলের শেষ দিনের বিদায়বেলায় সব অনুভূতিগুলো যেন বর্ণহীন হয়ে যায়। শুধু মনে পড়ে যায় পুরোনো স্মৃতিগুলো, বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো খুনসুটি মাখানো অমূল্য কিছু মুহূর্ত। শিক্ষকের ভালোবাসা মাখানো বকুনি, পরিচিত ক্লাসরুমের চেনা গন্ধ। টিফিন ভাগ করে খাওয়ার আনন্দ আরও কত কী। তাই বিদায় বেলায় এসে স্কুল ছেড়ে যেতে একটুও মন চায় না কারোরই। প্রত্যেকেরই কমবেশি মনে হয় যেন ছোটথাকলেই ভালো হতো। এছাড়াও আরও বিশেষ কিছু অনুভূতি ঘোরাফেরা করে মনের চারিপাশে কিন্তু তা হয়ে উঠতে পারে না। গোপনেই থেকে যায় অব্যক্ত প্রত্যাশা, কারণ বাস্তব যে এটাই। স্কুলবেলার স্বর্ণালী দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না। তাই শুধু স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকা আর ছেলেবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে ভালোলাগার প্রত্যেকটি মুহূর্তগুলো সজীব করে তোলা, এটাই কঠিন সত্য আর এটাই জীবন।

আমার নাম আরোহী। আমি ৫ বছর যাবৎ এই বিদ্যালয় পড়াশোনা করে আসছি। জীবনে ধারা শিখতে পেরেছি এই স্কুল জীবন থেকে। হাসি, কান্না, আবেগ জমে আছে এই বিদ্যালয়ের সাথে। আমার জীবনে পরিবার ২টা। একটা নিজের, আর একটা এই বিদ্যালয়। যেই বিদ্যালয় আমার ধীরে ধীরে পরিবার হয়ে উঠেছে। যেখানে গেলে আমার সব কষ্ট সব রাগ আভিমান ভুলে যাই। যত দুষ্টামি, ফাজলামি এই স্কুল জীবনেই করেছি। যখন খুব পড়ার চাপ থাকে তখন নিশ্চিতে পড়া শেষ না করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এইটা ভেবে যে, সব বান্ধুবীরাই তো কাল ক্লাসে শাস্তি পাবে।

আমি একা পড়ে কি করবো শাস্তি পেলে তো সবাই পাবো। এসব ভেবে খুব হাসতাম। খুব তৃপ্তি পেতাম। তবে স্কুলের যাওয়ার পর কোন বিষয়ে পড়া না পাড়লে বেঞ্চের উপরে সব বান্ধবীরা এক সাথে দাঁড়িয়ে থাকার মজাই অন্য রকম। এক বান্ধবীকে ক্লাস থেকে বের করে দিলে আমরা অন্য সব বান্ধবীরা মিলে হৈ চৈ করে সেই ক্লাসটাকে মাথায় উঠিয়ে ফেলতাম যেন স্যার ক্লাস না করতে পারে। স্যারদের কতই না জ্বালাতন করতাম। টিপিন টাইমে কামাল মামার দোকান থেকে যখন টাকা না দিয়েই টুকিটাকি জিনিজ নিয়ে আসি তখন তো সেই বকা। কে শোনে কার কথা। খাবার নিয়ে তো যেইনা দৌঁড় পিছন থেকে তার হৈ হুল্লো। তবে সবাই মিলে হৈ চৈ করে রাখতাম। ভালোই লাগতো।

একলা খাওয়া টিফিন,

স্কুলের করিডোরে

ছায়ার সাথে লড়াই,

তোকে দেখবো কেমন করে।

তোর জন্য খোলা টিফিন বক্স,

ভাগ করে খাওয়া টিফিন বক্স

বল বন্ধু হবি, ফের বন্ধু হবো

স্টোন পেপার সিজার টিফিন বক্স

দুপুরে সবাই একসাথে ভাগ করে টিফিন খাওয়াই মজাই আলাদা। আহা কি যে তৃপ্তি যেটা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না। কোনো একদিন যদি টিফিন না নেই তবে সে দিনই সবচেয়ে বেশি টিফিন খাওয়া হয়ে যায়। সবার টিফিন মনে হয় সেদিন আমার পেটেই যায়।

কেউ কারো নামে উল্টা পাল্টা কিছু বললে তার রক্ষা রাখতাম না। স্যাররা আমাদের জ্বালায়তো ক্যাপটিন আর বানায় নাই। সবাই ক্যাপটিন। সবার সাথে ঘুরাঘুরি, নিত্য দিনের একটা রুটিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রাইভেটে তারপর স্কুল । আবার প্রাইভেটে, তারপর সন্ধায় বাসায় আসি।

বন্ধু চল রোদ্দুরে

মন কেমন মাঠজুড়ে

খেলবো আজ ওই ঘাসে

তোর টিমে তোর পাশে।

একজন স্কুলে না গেলে বাকি সবাই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফেলতাম। তারপর মায়ের কাছে যা বকা খেতাম যা বলার বাহিরে। যখন আমাদের ব্যাটমিন্টন, ব্যাট-বল খেলতে ইচ্ছে করতো তখনি টাকা না থাকলেও প্রধান শিক্ষকের পকেট মারতেও বাকি রাখি নাই। মাঝে মাঝে স্যার এর কথা বলে পাম দিয়ে টিফিনের টাকা আদায় করতাম। মাঝে মাঝে স্যার, ম্যামদেরকে হালকা পাতলা নাস্তা করিয়ে পরীক্ষার খাতাতে নাম্বার বেশি করার টেকনিক ও সেইভাবে অপস্থাপনা করতাম। বড় আপুদের সাথে দুষ্টামির ছলে ভালো ব্যাবহার দেখিয়ে তাদেরকে হাত করিয়ে রেখে স্কুলের লিডার হওয়ার। আহ কিযে ভালো লাগা, নিজেকে নেতা নেতা ভাব লিডার শিপ দেখানো সবাইকে সবার সামনে গিয়ে নিজেকে উপস্থাপনা করিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। যেটা স্কুল জীবন ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব নয়।

আমি যখন প্রথম এই স্কুলে ভর্তি হই তখন খুব চুপ চাপ, শান্ত শিষ্ট একটা মেয়ে ছিলাম। কারো সাথে তেমন কথা বলতাম না। কেউ কথা না বললে আমিও কথা বলতাম না। স্যারদেরকে খুব ভয় পেতাম। কিন্তু আমার আপু স্যারদের সাথে আমাকে যখন কথা বলিয়ে দিয়ে আসে তাদের সাথে আমি ফ্রী করিয়ে দিয়ে আসে তারপর থেক সবার সাথে স্যার, ম্যাম, হেড স্যার হাতে ক্লাস ফ্রেন্ড সবাই এক নামেই চিনে বৈশু, বৈশু। আহ কি যে ভালোলাগা কাজ করতো তারপর থেকে আর স্কুল ছুটি দেওয়ার কথা ভাবিনি। একদিন স্কুলে না গেলে ম্যামদের কল। কেন যাই নাই? কি হয়েছে না হয়েছে সব খোঁজ। একদিন তো এমনও হয়েছে যে আমি খুব অসুস্থ তাই কিছু দিন স্কুলে যাইতে পারি নাই ম্যাম কল দিয়ে পাগল করে দিয়েছে। তারপর শরীর খারাপ থাকা সত্বেও যেতে হয়েছিলো। এসব কিছু স্কুল জীবন ছাড়া মনে হয় আর কোথাও নাই।

‘বিদায়’ শব্দটা তিন অক্ষরের হলেও এটার বেদনা কতটুকু তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। স্কুলের ছুটির ঘণ্টা আজ মনে হলো একটু তাড়াতাড়ি বেজে গেল।কিন্তু অন্যদিন এই ছুটির ঘণ্টা আর আজ ছুটির ঘণ্টার মধ্যে পার্থক্য একটাই—আজকের পর থেকে স্কুলে ক্লাস করার জন্য আর আমাদের যেতে হবে না। হয়তোবা স্কুলে এসে ক্লাসে করতে অনেক ইচ্ছা হবে। সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না, কথাটা ভাবতেই কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলেই জীবনটা খুব ছোট। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে ভাবতাম, কখন সপ্তমণ্ডঅষ্টম শ্রেণিতে উঠব। আর সপ্তমণ্ডঅষ্টম শ্রেণিতে উঠে ভাবতাম, কবে স্কুলজীবনটা শেষ করব। এখন সেই সময় এসেছে। কিন্তু আজকে কেন এত খারাপ লাগছে। কেন জানি না নিজের অজান্তেই চোখের কোণে দুই চোখের জল এসে বলছে, যেতে তো চাই না তবুও কেন তাড়িয়ে দিচ্ছ আজকে এভাবে। হতে পারে নিজের অজান্তেই স্কুল এবং স্কুলের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি, যা হয়তো দ্বিতীয়-তৃতীয় এবং সপ্তমণ্ডঅষ্টম শ্রেণিতে থাকতে বুঝতে পারিনি।

কিন্তু এখন বিদায়কালে বুঝতে পারছি, কতটা ভালোবাসি স্কুলকে। স্কুলের বন্ধুদের ছেড়ে, স্কুলের শিক্ষকদের ছেড়ে, স্কুলের ফেলা আসা স্মৃতিগুলোর জন্য আমাদের চোখের কোণে জল আসতে পারে। স্কুলে এসে মামুদের জড়িয়ে কুশল বিনিময় করা, শেষ টেবিলে বসা, পড়া না পারলে স্যারের বকা, একজনে দোষ করে আরেকজনকে দোষারোপ করা, ফাজলামি করে স্যারদের কথোপকথন নকল করা, একেকজনকে একেক নামে ডেকে খেপিয়ে দেওয়া, রাবার দিয়ে মারামারি, ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সবাই মিলে গান গাওয়া, একজনের টিফিন আরেকজনে খেয়ে ফেলা, কলম আনিনি বলে স্যার এবং বন্ধুদের থেকে কলম নিয়ে আর ফেরত না দেওয়া। আরও কত কী। শত চেষ্টা করলেও আর ফিরে পাব না স্কুলজীবনের সেই মুহূর্তগুলো। আজ থেকে সব কেন জানি স্মৃতি বিদ্যালয়ের স্মৃতি হয়ে গেল। আসলে দিন কখনো আসে না আস্তে আস্তে চলে যায়। এটাই নিয়তির খেলা। সব কিছুই যেতে যেতে হয়। যাদেরকে আপন ভাবি তাদেরকেও আস্তে আস্তে ছেড়ে যেতে হয়। এটাই বাস্তবতা। জীবনের গতি প্রয়োজনেই সবাইকে পরিবর্তন করতে হয়। আর এটা করতে না চাইলেও করতে হয়। দিন দিন সবাইকে পরিবর্তন হতে হয়।জীবনের চাহিদা, জীবনের গঠন, আবেগ, অনুভূতি টেনে নিয়ে যায়।

আর আজ আমাকেও সেই একটা দিনের সম্মুখীন হতে হবে। যেদিনের পর থেকে নিজের দুষ্টামি, স্যারদেরকে জ্বালানো, বান্ধুবীদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্ত করা। সবার সাথে দুষ্টামি, প্রাইভেটে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া, কোন বেঞ্চে বসবো তা নিয়ে বন্ধুদের সাথে তর্ক করা। বন্ধুদের ব্যাগ দিয়ে বোর্ড মুছে ফেলা, টিফিনের টাইমে কামাল ভাইয়ের দোকানের আচার খাওয়া। স্যারদের থেকে বকা খাওয়া ইত্যাদি সব কিছুই এক দিনেই শেষ। এই দিনের পর থেকে আার কিছু হবে না। আর চাইলেও আগের মতো অধিকার খাটাতে পারবো না। আগের মতো স্যার, ম্যাম বন্ধু বন্ধুবী, করো সাথে কথা বলতে পারবো না।

মন চাইলেও আগের মতো বান্ধুবীর সাথে আড্ডা দিতে পারবো না। শুধু মাএ বিদায় নামে একটি শব্দের কারনে। যার ফলে অধিকার, পরিবার সব কিছুই হারাবো। বোনের মতো বান্ধুবী মা- বাবার মতে শিক্ষক নিজের ঘরের মতে এতো বড় ঘরটাকে হারিয়ে ফেলতে হবে। এই বিদায় নামক একটি শব্দের কারনে। আমাদের প্রতিটা বান্ধুবী আবেগ, অনুভূতি সব এক নিমিশেই শেষ হয়ে যাবে। সব কিছু শেষ করে নতুন করে জীবন চলাতে হবে। নতুন করে নতুন ভাবে, সব নতুন ভাবে শুরু করতে হবে। এটাই হয়তো নিয়তির খেলা তাই আবেগে বলতে পারে। স্কুলে কি পড়েছি তা নেই মনে, কিন্তু স্কুলের প্রতিটি দিন এখনো আছে স্মরণে।

স্কুলে কি পড়েছি তা নেই মনে, কিন্তু স্কুলের প্রতিটি দিন এখনো আছে স্মরণে। স্কুলের প্রথম দিনটা আর শেষ দিনটি একই ছিল, চোখে জল ফেলেছিলাম দুই দিন-ই। কিন্তু কারণটা ছিল একেবারে আলাদা। একটা যাবার আনন্দ। আরেকটি বিদায়ের ব্যথা। যদি আবার কখনো ফিরে আসে স্কুলের স্বর্ণালী দিনগুলি। তাহলে নিশ্চিত যে এবার স্কুলে না যাওয়ার কোনও বাহানা করব না।

স্কুলজীবনটাকে খুব মিস করব, তার থেকে বেশি মিস করব তোদের এবং শেষ কয়েকটা ক্লাস। তোদের অনেক সময় অনেক কিছু বলেছি। মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সবাই ক্ষমা করে দিস। সবার জন্য শুভকামনা থাকল। জানি না স্কুলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব কি না, দেওয়ার চেষ্টা করব।

বিদায় দশম শ্রেণি...বিদায়!

‘বিদায় হলেও জেনো প্রিয় হয়না বিদায়’

বিদায় কইও না প্রিয়, বিদায় লিখোনা যাবার বেলায় ভুলেও বলোনা বিদায় দূরত্ব বাড়লেও প্রিয় ছেড়ো না। তবুও বিদায় নিতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়