প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
লাবিবা সুলতানা। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে পড়াশুনা শেষে একজন আদর্শ চিকিৎসক হতে চায়। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তার সাক্ষাৎকার হুবহু তুলে ধরা হলো:
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
লাবিবা : আলহামদুলিল্লাহ্! খুব ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ: তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
লাবিবা : আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
লাবিবা : স্কুলের সব শিক্ষককেই আমি পছন্দ করি। তবে ফারজানা ম্যাডামের পড়া বুঝানোর কৌশল আমার খুব ভালো লাগে। তিনি খুব সহজভাবে আমাদের পড়া বুঝিয়ে দেন।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
লাবিবা : আমি আমার ক্লাসের সব বন্ধুকেই খুব ভালোবাসি। তবে তানহা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। ওর চারিত্রিক গুণাবলি ও বিনয়াবনত কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
লাবিবা : আমি ব্যাডমিন্টন ও দড়ি লাফ খেলি। এই দু’টি খেলায় আমার পারদর্শিতা রয়েছে।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
লাবিবা : গল্পের বই পড়ি। ড্রয়িং করে ও আম্মুর কাজে সাহায্য করে আমার অবসর সময় কাটে।
শিশুকণ্ঠ : বড় হয়ে কী হতে চাও?
লাবিবা : অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পারা মানুষদের কষ্ট আমাকে বড্ড পীড়া দেয়। তাই আমি চিকিৎসক হয়ে মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
লাবিবা : আমি গল্প, কবিতা ও কিশোর উপন্যাস পড়তে সবসময়ই আগ্রহ বোধ করি।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
লাবিবা : আমি ছুটির দিনগুলোতে ঢাকায় ফুফুর বাসায় বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, মোঃ ইকবাল হোসেন ও নাসরিন সুলতানা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান লাবিবা সুলতানা। ইকবাল হোসেনের পেশা শিক্ষকতা। তাঁরা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার আধারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।