প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫, ১৩:৩০
ফুলের সাথেই তার বন্ধুত্ব মাশিয়াতের নয়নতারা আর এমারিলিস

ঢাকার মতিঝিল এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাশিয়াত বিনতে মাহাবুব। ক্লাসের মেধাবী ছাত্রী হলেও তার মন পড়ে থাকে একটু ভিন্ন জগতে রঙিন ফুল আর সবুজ পাতার মাঝে। স্কুল থেকে ফিরেই মাশিয়াত ছুটে যায় তার ছোট্ট বারান্দার বাগানে, যেখানে ফুটে থাকে নয়নতারা আর এমারিলিস লিলির মতো মনকাড়া ফুল।
মাশিয়াতের বাসার বারান্দাটি যেন একখণ্ড বাগান। সেখানে টবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও গাছ। কিন্তু তার সবচেয়ে প্রিয় দুটি ফুল হলো নয়নতারা আর এমারিলিস লিলি। নয়নতারা সাদা, গোলাপি ও বেগুনি রঙে বারান্দা ভরিয়ে রাখে, আর এমারিলিস লিলির বড়ো বড়ো পাপড়ি যেন প্রকৃতির এক বিস্ময়। শুধু সৌন্দর্যেই নয়, এই ফুলগুলোতে রয়েছে মাশিয়াতের মমতা, যত্ন আর ভালোবাসার ছেঁায়া।
মাশিয়াত জানায়, “আমি প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে গাছে পানি দেই। শুকনো পাতা তুলে ফেলি, আর নতুন কুঁড়ি দেখলে খুব আনন্দ লাগে। মাঝে মাঝে ফুলের সাথে কথা বলি, ওরা আমার বন্ধুর মতো।” তার এই ফুলের প্রতি ভালোবাসা পরিবারের সদস্যদেরও মুগ্ধ করে। মা-বাবাও তাকে উৎসাহ দেন নিয়মিত গাছের যত্ন নিতে।
এই ছোট্ট বয়সেই মাশিয়াত বুঝতে পেরেছে প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব করা কতোটা আনন্দের এবং জরুরি। সে শুধু ফুল ভালোবাসে না, গাছ লাগাতেও পছন্দ করে। বিশেষ দিনগুলোতে সে চায় উপহার হিসেবে একটা গাছ, খেলনা নয়।
শুধু নিজের বারান্দাতেই নয়, মাশিয়াত স্বপ্ন দেখে একদিন বড়ো হয়ে আরও বড়ো বাগান করবে, যেখানে থাকবে হাজারো প্রজাতির ফুল, পাখি আর প্রজাপতি। তার ভাষায়, “যদি সবাই একটা করে গাছ লাগায়, তাহলে আমাদের পৃথিবীটা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।”
মাশিয়াতের মতো শিশুদের এই আন্তরিকতা ও ভালোবাসা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যে এক আশার আলো। ছোট্ট বারান্দার এই ছোট্ট বাগানই যেন শেখাচ্ছে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, যত্ন আর দায়িত্ববোধ।
তার বাবা মো. মাহাবুব আলম। মা ফারহানা রহমান ও ভাই মো. মুতাসীম ফাইয়াজ। তার নানা ছিলেন দৈনিক চঁাদপুর কণ্ঠের কলামিস্ট মরহুম এসএম শফিকুর রহমান পাটওয়ারী ও দাদা মরহুম আলহাজ্ব মনির উদ্দিন পাটওয়ারী।
সে জানায়, নানার এবং দাদার ভালোবাসায় গাছ এবং ফুলের প্রতি তার একটি ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। তার বাবা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের মতলব দক্ষিণ নায়েরগঁাও শাখায় কর্মরত রয়েছেন, আর মা একজন আদর্শ গৃহিণী।