প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ০৯:১৬
পাঠক ফোরামের কবিতা

মানিক দাস
ভাবনামেঘলা দিনে একা একা
মেঘনার কূলে বসে বসে
কী যেন ভাবনা মাথায় কেবলি ঘুরপাক খাচ্ছে।আবল-তাবল সব ভাবনা মাথায় এসে ভর করছে
মেঘলা দিনে আকাশে
কালো মেঘের ভেলারা ভেসে যাচ্ছে।বিষণ্ন বদনে এক ঝাকরা চুলের
কবি সিসি ব্লকে বসে কী যেন ভাবছে
কবির মনের ভাবনাগুলো
কেউ বুঝতে পারছে না।আমি তো ঝাকরা চুলের কবি নই
ভাবার কিছু নেই মস্তিষ্কে
তবু চেষ্টা করে যাই
ভাবনাকে নিয়ে কিছু লিখতে।***
কী লিখবো
আজ অনেক দিন হয়ে গেল
কলম আর কাগজের সাথে
নেই কোনো মিতালি
তাই তো কী লিখবো ভেবে না পাই।কাগজের গায়ে জমেছে ধূলো
কলমের কালি গিয়েছে শুকিয়ে
চাইলেও কিছু লিখতে পারি না
কী লিখবো, কাকে নিয়ে লিখবো।সমাজের আপন মানুষগুলো
আজ হয়েছে অনেক পর
পর মানুষগুলো হয়েছে
অনেক আপন।কী লিখবো
কাগজ আর কলম দুই তো
আমাকে কষ্ট দিচ্ছে ধুকেধুক
চেষ্টা করেও কিছু লিখতে পারি না।
এম. আবু বকর সিদ্দিক
সৎ নেতৃত্বআর কত দিন দুর্নীতিবাজ থাকবে ডালে ডালে?
রাষ্ট্রীয় সব নির্মাণগুলো যায় খসে অকালে।
আর কত দিন নির্বিচারের কষ্ট রবে মনে?
চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা ছাড় পেয়ে যায় ফোনে।আর কত দিন থাকবে পথে ইভটিজিংয়ের জ্বালা?
বাধ্য হয়ে পরছে মেয়ে বাল্য বিয়ের মালা।
আর কত দিন শিক্ষিতরা থাকবে বেকার হয়ে?
লেখাপড়ার আগ্রহটা যাচ্ছে যেন খয়ে।আর কত দিন চলবে দেশে সিন্ডিকেটের খেলা?
অন্নাভাবে, অর্ধাহারে কাটছে খুকুর বেলা।
আর কত দিন থাকবে ওরা সংখ্যালঘু নামে?
চাঁদা দিয়ে, দাদা ডেকে বাচে শহর গ্রামে।স্রষ্টার আইন, সৎ নেতৃত্ব কায়েম হলে দেশে সকল ব্যথা ঘুচে যাবে থাকব মিলেমিশে।
ছবি-৩১
নজরুল ইসলাম শাকিল
ত্যাগভালোবাসার জন্য মানুষ ঘর-বাড়ি ত্যাগ করে,
ভাই-বোন ত্যাগ করে; এমনকি বাপ-মাও ত্যাগ করে।
কেউ কেউ দেশ ত্যাগ করে, কেউ-বা সমাজ, সংস্কৃতি ধর্মও ত্যাগ করে ফেলে।অথচ আমি স্রষ্টাকে ত্যাগ করেছিলাম, আর তুমি আমারে।
ইমরান শা’কির ইমরু বিবস্ত্র মানবতা
পবিত্র জমিনে শত্রুর মারণাস্ত্র
আকাশে উড়ছে খণ্ডিত মানবদেহ
অথচ তোমরা হাসো
বোতলে বোতল মেলাও
আকাশ আর চাঁদ দেখো!বিশ্বের কি বিবেক আছে?
মানবতা ধর্ষিত শত-সহস্রবার
সত্যের ফাঁসি হচ্ছে দিন-রাত
এসব কেউ দেখে? জাতিসংঘ?
বরাবরের মতো বোবা হয়ে আছে ওরা
ভীষণ অন্ধ, অন্ধকার পৃথিবী
পথিক হাসে
কিসের এতো ভয় ওদের?বাতাসের ভেতর ফিলিস্তিনী শিশুর কান্না
বেশি দিন আমাদের হাসতে দেবে না
ওদের অভিশাপে কাঁপবে পৃথিবী
ধ্বংস হবে জুলুম, আঁততায়ী হাত।
কাউছার আলম রবি চুল বেঁধে রেখো মাধবী
বৃষ্টি হতে পারে মাধবী,
বাড়ি যাওÑ
জড়োসড়ো এমন দিনে
পর্দার আড়ালে থাকো।
জানালায় দেখো
দিনের আলোতে
যা চিরকাল লুকিয়ে থেকেছে,
অপূর্ব নীরব দৃশ্যপট।মেঘ আজ সারাদিন ডাকবে,
নিশ্চিত আমিÑ
উত্তর দিও না তাকে।
এই ভরা মৌসুমে,
ভেতরের দুর্যোগ কম আর বেশি সবারই থাকে,
কী করে যে বোঝাই তোমাকে!
চুল বেঁধে রাখো মাধবী,
হৃদয়ে এমনিতেই হাজার সংকট।
মো. হোসেন বেপারী মানুষ নওএই যে ফুটন্ত গোলাপের শোভা
তুমি তাকে কলুষিত করো
বিবেকের দরজা নড়ে না তোমার
তুমিতো মানুষ নও।শিশু আছিয়ার মতো ফুলকলি
পাপড়ি ফোটার আগেই ঝরে যায়,
শেখার আগেই মানুষ-পশুর ব্যবধান।মানুষের মতো অবিকল তুমি
হাত-পা-চোখ-কান সবই আছে
অথচ মানুষ নও তুমি, নিকৃষ্ট শ্বাপদ
মানুষের থাকে মানবিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞান।মাহমুদ হাসান সজীব
ঢেউ
সরলতার মাঝে বিচক্ষণতা যদি থাকে, সে এক সৌন্দর্য বহন করে। সাগরের ঢেউ যদি আছড়ে পড়ে নদীতে, পদবী একই থাকে, শুধু উচ্চতা বাড়ে।অস্থিরতার চাদর গায়ে দিয়ে আছি, যেন, শীতকে আনবো জোরে-বলে। এদিকে গ্রীষ্ম আমায় ছাড়ছে না, কখনো বৃষ্টি হয় না বলে।