মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪, ২২:০১

ফরিদগঞ্জের গল্লাক কলেজের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ, পদত্যাগের দাবি

এমরান হোসেন লিটন
ফরিদগঞ্জের গল্লাক কলেজের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ, পদত্যাগের দাবি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা করা, আন্দোলন করলে অধ্যক্ষ নিজে বাদী হয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করা, ডিসিকে দিয়ে ছাত্রদের হয়রানি করার হুমকি, কলেজে আওয়ামী রাজনীতি ঢুকিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা, কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা, কলেজ পাণ্ডের টাকা দিয়ে আওয়ামী রাজনীতির প্রোগ্রাম করা, কলেজের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্য, অধ্যক্ষ হিন্দু তাই ভিন্ন মতের লোকদের সাথে খারাপ আচরণ করা, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের সাথে অশুভ আচরণ করা, বিভিন্ন মান্যগণ্য অভিভাবকদের সাথে মনের মিল না হলে খারাপ আচরণ করা, মুসলিম বিদ্বেষী আচরণ করা, কলেজ মাঠে যুব শ্রেণী আয়োজিত বাৎসরিক মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলন যেন না হয় তা বন্ধ করতে সকাল ৯ টা হতে বিকেল পর্যন্ত কলেজে পুলিশ এনে রাখা, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা, প্রমাণসহ নারি কেলেঙ্কারি, ছাত্রীদের সাথে শারীরিক ইভটিজিং করা সহ হরেক রকম অভিযোগে অভিযুক্ত ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের পদত্যাগ চাইছে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র কলেজের অনেক সহকারী অধ্যাপক ও কর্মচারীরা।

অভিযোগের আলোকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক কলেজে গেলে জানা যায়, অধ্যক্ষ হরিপদ দাস গত ৫ আগস্ট থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ। তাকে মোবাইল করে ও পাওয়া যায় না, এখন পর্যন্ত তিনি কলেজে আসেন না এবং কলেজে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্ব পালন করার অনুমতি দেন না। এবং তিনি এখন পর্যন্ত কোথায় আছেন তাও জানান না, কোন শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনেও কথা বলেন না।

কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মোঃ রাসেল হোসেন, ওমর ফারুক, নাহিদ হোসেন, তাহমিদ হোসেন, মোঃ ফাহিম, আকলিমা আক্তার, আসমা আক্তার সহ আরো অনেকে উপরে উল্লেখিত অভিযোগগুলো আরো বিস্তারিত এই প্রতিনিধির কাছে প্রকাশ করেন। এবং তার বিরুদ্ধে উপরে উল্লেখিত অভিযোগগুলোর অনেক কিছুরই ভিডিও প্রমাণ সহ মোবাইলে রেকর্ড প্রমাণ আছে। তারা আরো বলেন, অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের পদত্যাগের দাবিতে ইতিপূর্বে আমরা কলেজে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি। এবং আগামী রবিবার থেকে তার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তারা জানান।

অভিভাবকদের মধ্যে মোবারক হোসেন কালু, ওমর ফারুক, মামুন ভুইয়া, কবির জমদার, মিজানুর রহমান সহ আরো অনেকে বলেন, উপরে উল্লেখিত অভিযোগগুলো ছাড়াও হরিপদ দাসের বিরুদ্ধে এমন কিছু ঘটনা আছে যা উল্লেখ করলে অন্যান্য শিক্ষকদের অপমান মনে করা হবে। তারা বলেন, হরিপদ দাসের নিয়োগটাই ছিল অবৈধ। তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্কর! তাকে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বলতে খুবই লজ্জা বোধ করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের একাধিক সহকারি অধ্যাপক বলেন, উনার অধ্যক্ষ পিরিয়ডে আমরা কখনো স্বাধীনভাবে কোন কথা বলতে পারি না। মত প্রকাশ করতে পারি না। অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমরা বললে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবে না, কিন্তু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা যে অভিযোগগুলো উল্লেখ করেছেন তা কোনভাবেই ফেলে দেওয়ার মত না।

স্থানীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল আমিন জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর সাথে যে আচরণ করেছেন তাতে তাকে কোন রকমেই ছাড় দেয়া যায় না। আমাদের এই এলাকার সুনামধন্য এই কলেজটিকে হরিপদ দাস এবং তার ভাগিনা সজীব দত্ত নিজেদের মন মত পরিচালনা করতে গিয়ে কলেজটির সুনাম নষ্ট করা ছাড়াও এলাকার দুর্নাম করেছেন। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগগুলো যথার্থ। অধ্যক্ষ হরিপদ দাস ও তার ভাগিনার বিরুদ্ধে উপরে উল্লেখিত অভিযোগগুলোতে প্রমাণিত অভিযুক্ত। তাই তারা গত ৫ আগস্ট থেকেই এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ। বিষয়গুলো আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়