প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:২৯
কেশরাঙ্গা সপ্রাবির শতবর্ষপূর্তির মিলনমেলায় মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি
অর্থনৈতিক দারিদ্র্য ও অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আমরা এখনও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি
আমার জীবনে হয়তো এমন একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিরল সুযোগ হলো : জামাল নাসের
শাহরাস্তি উপজেলার কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি সকালে বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বেলা ১১টায় এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজ রহমান পাটোয়ারীর সভাপ্রধানে এবং সহকারী শিক্ষক রেদওয়ান হোসেন সেন্টু ও মঞ্জুর আলম সুমনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। তিনি বলেন, শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাওয়া খুবই কঠিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন বিরল। যারা এই আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা প্রাণের টানে এসেছেন।
|আরো খবর
তিনি বলেন, আমি ১৯৬২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর তিনটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এগুলো সামরিক যুদ্ধ হলেও জনগণের অংশগ্রহণ ছিলো। পৃথিবীতে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো যুদ্ধ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা তো সেদিন মরে যেতে পারতাম। আমরা যুদ্ধ করেছি মা, বাবা, ভাই, বোন যেনো শান্তিতে থাকতে পারে। বাংলার প্রতিটি মানুষ যেনো শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আল্লাহর রহমতে জনগণের সহযোগিতায় আমরা যুদ্ধে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, আজ আমরা শত্রুমুক্ত দেশে বসবাস করেও কতটা ক্ষুধামুক্ত হতে পেরেছি। অর্থনৈতিক মুক্তি, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি ও অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আমরা এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রভাবশালীদের প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত হতে না পারলে স্বাধীনতার সার্থকতা পাবো না। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে তা চলতে পারে না। আমাদের ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আপনারা প্রতিদিন সাধ্যমতো একজন মানুষকে সহায়তা করবেন। ২০৪১ সালের যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সকলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা না করলে আমরা তাতে সফল হবো না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জামাল নাসের বলেন, আমার জীবনে এমন একটি অনুষ্ঠানে আর উপস্থিত হওয়ার বিরল সুযোগ হলো। আমি এখানে এসেছি মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে দেখতে। গৌরবের বিষয়, জনগণের জন্যে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে আছেন মেজর রফিকুল ইসলাম। তিনি উপলব্ধি করেছেন, দেশ স্বাধীন হলে হবে না, জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ সৃষ্টি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ, কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।