প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ন্যাচারাল থেরাপি
মানবদেহের গ্রন্থিগুলোর গুরুত্ব
মানব দেহে দুই ধরনের গ্রন্থি আছে।
|আরো খবর
বহিঃক্ষরা গ্রন্থি : যেমন লালা গ্রন্থি, যকৃত গ্রন্থি, অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি ইত্যাদি। এই সকল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসকে এনজাইম বলে।
লালা গ্রন্থি : এটি থেকে নিঃসৃত লালা খাদ্যের সাথে মিশে খাদ্যকে পিচ্ছিল করে এবং শর্করা জাতীয় খাদ্যকে হজমে সহায়তা করে। এজন্যে প্রতি লোকমা খাদ্যকে কম পক্ষে ১০ থেকে ১২ বার চিবিয়ে খাওয়া উচিত। ঠিকমতো চিবিয়ে খেলে খাদ্যের পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় এবং খাদ্যের সাথে যথেষ্ট লালা মিশ্রিত হয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য হজমে সহায়তা করে ফলে ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কম খাদ্যেই শরীরের প্রয়োজন মিটে যায় এবং ধীরে ধীরে খাদ্যের চাহিদা কমে যাবে। খাদ্য ঠিকমতো চিবিয়ে খেলে কখন আমাদের পেট ভরে গেছে তা আমরা বুঝতে পারি। খাদ্য চিবিয়ে খাওয়া আমাদের নবী করীম (সাঃ)-এর সুন্নত।
মুখেই আমরা ডায়বেটিসের মতো মারাত্মক রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
যকৃত গ্রন্থি : এ গ্রন্থিটি গাড়ির রেডিয়েটরের মতো শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি হতে ক্ষরিত পিত্তরস পাকস্থলি থেকে আগত অর্ধপরিপাককৃত এসিটিক খাদ্যকে নিষ্ক্রিয় করে।
অগ্নাশয় গ্রন্থি : এ গ্রন্থিটি যে অগ্ন্যাশয় রস ক্ষরণ করে তাতে কার্বো হাইড্রেট (শর্করা) প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের পরিপাকের জন্য বিভিন্ন এনজাইম নিঃসৃত করে থাকে।
অন্তঃক্ষরা : যেমন থাইমাস গ্রন্থি, পিটুইটারী গ্রন্থি, পিনিয়ল গ্রন্থি, থাইরয়েড-প্যরাথাইরয়েড গ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, অগ্নাশয় গ্রন্থি, যৌন গ্রন্থি (প্রোস্টেট ও ডিম্বাশয় ) এবং লসিকা গ্রন্থি। এই সকল গ্রন্থি থেকে নিসৃত রসকে হরমোন বলে। এই গ্রন্থিগুলোর ক্রিয়া এবং ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটলে কি হয় তার একটি বর্ণনা আমার লিখিত ‘আকু-থ্যারাপী’ বইতে দেয়া আছে।
মানবদেহই আল্লাহ তা’য়ালার এক রহস্যময় সৃষ্টি। এর গ্রন্থিগুলো আরও বিস্ময়কর। এদের মধ্যে পিটুইটারী গ্রন্থির কথাই ধরা যাক। মটর দানার (০.৫ গ্রাম) মতো এই গ্রন্থি মানব চরিত্রে এর প্রভাব লক্ষ্য করলেই ¯্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য কিছুটা অনুধাবন করা যায়। এই গ্রন্থিটি সঠিকভাবে কাজ করলে মানব চরিত্রে মানবীয় সকল গুনাবলি বিকশিত হয়। কিন্তু এটি বিকৃত হলে মানব চরিত্রে পশুপ্রবৃত্তি প্রকাশ পেতে থাকে।
এদের ক্রিয়া এতোই জটিল, যে কারো পক্ষে এদের ক্রিয়াকলাপ বুঝা সম্ভব নয়। জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডাঃ লর্ড ব্রেইন এবং ডাঃ জন ওয়ালটন তাদের বিখ্যাত বই ‘উরংবধংবং ড়ভ ঘবৎাড়ঁং ঝুংঃবস’-এ লিখেছেন ‘ডব যধাব ষরঃঃষব শহড়ষিবফমব ধনড়ঁঃ বহফড়পৎরহব মষধহফং ধহফ ফড় হড়ঃ শহড়ি যড়ি ঃড় পড়হঃৎড়ষ ঃযবস.ঞযবু সবহঃরড়হ ঃযধঃ রভ ঃযব ঢ়ধহপৎবধং ভঁহপঃরড়হং ষবংং, ধ ঢ়বৎংড়হ মবঃং ফরধনবঃবং. ইঁঃ যিধঃ যধঢ়ঢ়বহফ রভ ঃযব ঢ়ধহপৎবধং ড়িৎশং সড়ৎব?’
‘অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি সমন্ধে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। আমরা জানি না কিভাবে এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তারা আরও লিখেন অগ্নাশয় গ্রন্থির ক্রিয়া যখন হ্রাস পায় তখন ডায়াবেটিস হয় কিন্তু যখন অধিক ক্রিয়া করে তখন কি হয়?”
এইগুলো কখনো কম সক্রিয় থাকে আবার কখনো অধিক সক্রিয় হয়। তারা আরও সতর্ক করেন যে যদি এ সকল গ্রন্থি সঠিকভাবে ক্রিয়া না করে তবে মানবদেহে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। যা অনেক সমস্যার জন্ম দেয়। এসব গ্রন্থি কম সক্রিয় কিংবা অধিক সক্রিয় হলেই এর একটি প্রভাব এদের সুঁইচ-এর উপর পড়ে অর্থাৎ সেখানে ব্যথা হয়। আকুপ্রেশারের সাহায্যে এদেরকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা যায়। এসব গ্রন্থি অভ্যন্তরীণভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকায় যে কোনো একটি দুর্বল হলে অন্যগুলোও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই গ্রন্থিগুলো প্রায় ১৪০ রকমের হরমোন ক্ষরণ করে। যা রক্তের সাথে মিশে আমাদের দেহ, মন ও চরিত্র গঠনে সহায়তা করে এবং সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।
গ্রন্থিগুলোর কাজ এবং এদের স্বাভাবিক ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটলে কি হয় তার বর্ণনা
থাইমাস গ্রন্থি : শিশু প্রাপ্ত বয়স (১২-১৫ বছর) না হওয়া পর্যন্ত এটি ধাত্রী-মা হিসেবে কাজ করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধেও এই গ্রন্থিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন কারণে এটি যদি পুনরায় (১৫ বছরের পর) সক্রিয় হয়ে উঠে তবে জড়তা ও অবসাদের কারণে দেহ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
থাইরয়েড/প্যারাথাইরয়েড : এ গ্রন্থিটি দেহের সুস্থতা নির্দেশক ব্যারোমিটার। এটি ক্যালসিয়াম বিপাক করে দেহ থেকে বিষাক্ত বস্তু নির্মূল করে। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ¯েœহ, ভালোবাসা, চিন্তাশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যার। ফলে স্বভাবের মধ্যে নির্মল হৃদয়, নিঃস্বার্থ চিত্ত, শান্ত ও সংযমী ভাব দেখা যায়।
স্বাভাবিকের চেয়ে কম সক্রিয় হলে দুর্বলতা ও পেশীতে মোচড় ধরে। যার ফলে রিকেট ও খিঁচুনী দেখা দেয়। মানসিক ভারসাম্য হারায়, বেশি কথা বলে ও অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে।
এই গ্রন্থিটি অধিক সক্রিয় হলে অতি বৃদ্ধি, চোখ ঠেলে উঠা, গলগ-, কণ্ঠের হাড় বেরিয়ে আসা ও স্বভাবে নির্মমতা দেখা দেয়। ফুসফুস ও হৃৎপি- এ গ্রন্থির অধীন থাকে। এই গ্রন্থি ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটলে হার্ট ও ফুসফুস এর স্বাভাবিক ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে ফলে চেহারা ফুলে যায়, সামান্য পরিশ্রম বা উত্তেজনায় বুক ধড়পড় করে এবং হাঁপিয়ে উঠে। হার্টের গতি ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। অস্থিরতা ও অনিদ্রা বেড়ে যায় এবং কর্মদক্ষতা কমে যায়। অধিক হরমোন ক্ষরণের ফলে রক্তের তরলতা কমে যায়।
যৌন গ্রন্থির সাথে এই গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান ধারনের সময়, প্রসবের পর কিংবা জরায়ু অপারেশনের পর দেহ স্থূল হয় এবং পেটে ও কোমড়ে চর্বি জমে।
প্রোস্টেট গ্রন্থি/ডিম্বাশয় : এই গ্রন্থিগুলো সন্তান উৎপাদনের অব্যাহত ধারা সচল রাখে। এরা দেহে ফসফরাস বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দেহে জলীয় উপাদান, ¯œায়ু কোষ, মাংস, হাড় মজ্জা ও বীর্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থি যদি ঠিকমতো কাজ করে তাহলে শরীরের তাপমাত্রার সমতা রক্ষা হয়। কিশোর-কিশোরীদের চেহারা আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। তাদের স্বভাব-প্রকৃতি মনোরম হয় এবং তাদের কথা-বার্তা, আদব-কায়দা মানুষকে মুগ্ধ করে। তারা সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। যৌবনকালে সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করে। মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বাকালে এই গ্রন্থি চিকিৎসা করলে দেহের সৌন্দর্য ঠিক থাকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে : রজঃস্রাব বিলম্বিত, প্রচ- ব্যথা হয়, ¯্রাব খুব কম সময় হয় যার ফলে মুখে ব্রন হয় এবং দেহের তাপ বেড়ে যায় অথবা কখনো কখনো অত্যাধিক রক্ত¯্রাব হয়ে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। শ্বেত প্রদর রোগ দেখা দেয়। কখনও কখনও এই গ্রন্থির কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে সন্তান ধারণক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
ছেলেদের ক্ষেত্রে : এই গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে হস্তমৈথুনের প্রবণতা বেড়ে যায়। স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়, লাজুক হয়ে পড়ে, দাঁড়ি গোঁফ দেরীতে গজায় এবং দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
বার্ধক্য বয়সে যদি এই গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করে তবে হার্নিয়া হতে পারে। ৫০ বছরের পর হতে (১১ থেকে ১৪)নং বিন্দুতে নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করলে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা হ্রাস পায় এবং হার্নিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি : ইনসুলিন উৎপাদন করে রক্তের শর্করা বিপাক ক্রিয়া সম্পাদন করে। যথেষ্ট শক্তিতে কাজ না করলে ডায়েবেটিস রোগ হয়। অধিক কাজ করলে লো-প্রেশার, মাথা ব্যথা মিষ্টি খাবার এবং নেশা করার আকাক্সক্ষা জাগে।
এড্রিনাল গ্রন্থি : প্লীহা, যকৃত, পিত্তাশয় এবং অগ্ন্যাশয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। পিত্ত ও জারক রস সৃষ্টিতে সাহায্য করে, দেহে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং উপযুক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে। শর্করা ও খনিজ লবণের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ও যৌন লক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে। তাছাড়া তীক্ষè উপলদ্ধি, অক্লান্ত পরিশ্রম, কাজে উৎসাহ, অন্তর্নিহিত শক্তি ও সাহস সব কিছুর পিছনে এই গ্রন্থির অবদান রয়েছে। শিশুর চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে এই গ্রন্থির একটি বিশেষ ভূমিকা আছে।
যাদের এই গ্রন্থিটি ক্ষতিগ্রস্ত তারা আত্মগরিমায় ভোগে, উদ্ধত, ছটফটে অসহিষ্ণু এবং ক্রোধী স্বভাবের হয়। তাদের লালসা পূরণ করতে অসামাজিক কাজকর্মে প্রাণশক্তি ব্যয় করে। তারা খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ফলে পেটের গোলযোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। ধীরে ধীরে তারা ভীতু, নিরহী ও জীবনের সমস্যার মোকাবেলায় অসমর্থ হয়ে পড়ে।
পিটুইটরী গ্রন্থি : এই গ্রন্থি দৈহিক বৃদ্ধি, ত্বকের রং, মাতৃদেহের দুগ্ধ ক্ষরণ এবং জরায়ু সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া জনন গ্রন্থির বৃদ্ধি, ক্ষরণ ও কার্য এই গ্রন্থি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষের ইচ্ছা শক্তি, স্মৃতি শক্তি, ও বিচার শক্তি এই গ্রন্থি নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির প্রভাবে মানুষ বিশেষ গুণসম্পন্ন হয় যেমন কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও মানবসেবী ইত্যাদি।
মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই গ্রন্থিটি সঠিকভাবে কাজ না করলে তাদের মধ্যে উৎপীড়ন করা, অবাধ্য হওয়া, মিথ্যা বলা, ভবঘুরে জীবনযাপন করা এমনকি তারা চুরি করতেও দ্বিধা বোধ করে না।
এই গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করলে বামনত্বের সম্ভাবনা থাকে এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজ করলে দেহ বৃহদাকার হতে পারে।
পিনিয়ল গ্রন্থি : এই গ্রন্থির আধিক্যে মানুষ ধার্মিক হয় এবং ঐশী গুণসম্পন্ন হয়। এই সকল ব্যক্তিবর্গ তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন ও দয়ালু স্বভাবের হয়। দৈহিক দুঃখ কষ্টের সময় তারা অবিচল থাকে। এটি মানুষের দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের বিপাক দ্রুত করে। যৌনাঙ্গের সক্রিয়তা ঘটাতে সহায়তা করে।
এ ক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটলে উচ্চরক্ত চাপ, অকালে যৌনতার বিকাশ এমনকি যৌন দোষও ঘটে। দেহে তরল পদার্থের আধিক্য ঘটে অনেক সময় এটিকে কিডনী অসুখ বলে ভুল করে থাকে।
লসিকা গ্রন্থি : এই গ্রন্থিটি অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা পালন করে। সব রকমের কাটা ফোঁড়ার উপর পুঁজ হওয়া রোধ করে এবং ক্ষতস্থান শীঘ্র সারিয়ে তোলে। শরীর থেকে জৈব বিষ ও মৃত কোষ দূর করে।
এ ক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটলে দেহে মৃত কোষের পরিমাণ খুব বেড়ে যায়, এই গ্রন্থির সাথে যে কোন অঙ্গের বিন্দুতে ব্যথা ক্যান্সারের পূর্বাভাস। এই বিন্দুর সাথে অগ্ন্যাশয় বিন্দুর ব্যথা ডায়াবেটিস এর ভয়াবহতার পূর্বাভাস।
(চলবে)
অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ্ উদ্দিন : বিভাগীয় প্রধান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ। ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
[পরের পর্ব আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে]