প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ২১:৪৩
কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল কারিগর :ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেছেন, ধান সংগ্রহ অভিযান হলো খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার জন্যে সরকারিভাবে পরিচালিত একটি কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল কারিগর।
|আরো খবর
তাদের স্বার্থ রক্ষা ও ন্যায্য পণ্যের মূল্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই ধান সংগ্রহ কার্যক্রম তারই অংশ। কৃষক যেন দালালমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারেন, আমরা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করছি। তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রকৃত ও নিবন্ধিত কৃষকরা যাতে সর্বোচ্চ ৩ টন পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি লেনদেন হবে ডিজিটাল এবং কৃষকের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মূল্য পরিশোধ করা হবে।
এ বছর উপজেলার দুটি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬৮১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা, মণ প্রতি ১৪৪০ টাকা। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
‘সরকারি গুদামে কৃষকের ধান, বাঁচবে কৃষক বাঁচবে প্রাণ, ধানের দাম পাচ্ছে বেশি, কৃষক এখন অনেক খুশি’ প্রতিপাদ্যে মতলব উত্তর উপজেলায় সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) উপজেলা খাদ্য গুদামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ধান সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি মাহমুদা কুলসুম মনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউল হক, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং কৃষকরা।উপজেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকের অ্যাপ এবং উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত নিবন্ধিত কৃষকদের কাছ থেকেই ধান সংগ্রহ করা হবে। 'আগে আসলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে ধান সংগ্রহ করা হবে, যাতে সবাই সমান সুযোগ পান।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাজারে যেখানে ধানের দাম ওঠানামা করে, সেখানে সরকার নির্ধারিত এই মূল্য তাদের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ। ন্যায্য দাম পাওয়ায় তারা খুশি। এই ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুধু কৃষকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং দেশের খাদ্য মজুদের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।