সবজিতে স্বস্তি

চাঁদপুরের বাজারে এখনো প্রচুর সবজি। ব্যাপকহারে বেড়েছে সরবরাহ। ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম অনেক কম। বলতে গেলে সবজি এখন পানির দরে কিনছে ভোক্তারা। দাম কমায় ব্যাগ ভর্তি করে সবজি কিনছে ভোক্তারা। বিক্রেতারা বলছে গত দুই মাস আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) হাজীগঞ্জ বাজারে ও চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি রাস্তার উপর ভাসমান দোকানসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, সাধারণ শিম ২৫ টাকা, বিচিসহ শিম ৩০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, খিড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উন্নতমানের গোলআলু ৪ কেজি ১০০ টাকা ও একটু নরমাল গোলআলু ৫ কেজি ১০০টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি আলুর কেজি ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা।

পাল বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শহিদুল বলেন, বাজারের সবজির দাম তুলনামূলক কম। যে কারণে এই সময়ে এসে ইচ্ছেমতো সবজি কেনা যাচ্ছে। দুই একটি সবজি যেগুলোর এখন মৌসুম নয়, সেগুলো ছাড়া সবধরনের সবজির দামই কম। দুই তিন মাস আগেও সবজির দাম খুবই চড়া ছিল। তখন ক্রেতারা এবং আমি নিজেও হাফ কেজি, আড়াইশ’ গ্রাম করে সবজি কিনেছি। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম। এতে করে ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরেছে। সবজি দামের মতো যদি অন্যান্য সব পণ্যের দাম কম থাকতো তাহলে সাধারণ ক্রেতারা আরো স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারতো।

পুরাণবাজার লোহারপুল পৌর প্রভাতী মার্কেট বাজারের আরেক ক্রেতা সুকুমার বলেন, কিছুদিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা সবজি কিনতে পারতাম না। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম। বলতে গেলে পানির দর। মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামটা আমরা কম পাচ্ছি। তবে শীত চলে গেলে মনে হয় আবারও সবজির দাম বেড়ে যাবে। বাজার সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত হবে সবসময়ের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। নইলে ফের সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে সবজির যে বাজার দর আছে তাতে করে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছেন। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবার জন্যই বর্তমানে সবজির বাজার নাগালের মধ্যে।

সবজির দাম বিষয়ে পুরাণবাজার মাছবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা মনির বলেন, পুরো বছরের মধ্যে বর্তমানে সবজির দাম সবচেয়ে কম। সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। শীতকালীন পুরো সময়জুড়েই সবজির এমন সরবরাহ থাকবে। যে কারণে বাজারের সবচেয়ে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এতে করে আমাদের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। দাম যখন বেশি ছিল তখন একজন ক্রেতা আধা কেজি, আড়াইশ’ গ্রাম করেও সবজি কিনত। বর্তমানে দাম কম থাকায় সেই ক্রেতাই অনেক বেশি পরিমাণে সবজি কিনছে। এতে করে আগে যদি এক আইটেম সবজি ৫ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেই সবজি বিক্রি হয় ১০-১৫ কেজি।